রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭

বর্ষফল ২০১৮

২০১৮ -র বর্ষফলঃ
*********************************************
আপনার লগ্ন ও রাশির মিলিত ফলই আপনার প্রকৃত বর্ষফল। মনে করুন আপনার রাশি মেষ, লগ্ন কর্কট, তাহলে মেষ ও কর্কট দুটোই পড়ুন। এই দু-এর মিলিত ফল আপনার জীবনে প্রতিফলিত হতে চলেছে ২০১৮ তে।
*********************************************


01/01/2018 00:01Hrs. চন্দ্র-বৃষ রাশিতে; রাহু - কর্কটে; মঙ্গল ও বৃহস্পতি - তুলাতে; বুধ - বৃশ্চিকে; রবি, শনি (দগ্ধ) ও শুক্র (দগ্ধ) - ধনুতে; কেতু - মকরে; লগ্ন কন্যায়।

31/12/2018 23:59Hrs. রাহু - কর্কটে; চন্দ্র, শুক্র- তুলায়; বুধ, বৃহস্পতি- বৃশ্চিকে, শনি(দগ্ধ) ও রবি- ধনুতে; কেতু- মকরে; মঙ্গল- মীনে; লগ্ন কন্যায়।

ইংরেজী ২০১৮ সালের শুরু ও শেষের দিনের রাশিচক্র দেওয়া হল। সেই সঙ্গে প্রতিটি গ্রহের গতির একটা মোটামুটি ধারণা দেওয়া হল। এতে আপনাদের গ্রহের অবস্থান বুঝতে অনেকটা সুবিধা হবে।

রবি ৩০দিন এক একটি রাশিতে অবস্থান করে। চন্দ্র ২৮দিনে ১২টি রাশি অতিক্রম করে। মানে সোয়া দুই দিন এক একটি রাশিতে থাকে। বুধও এক বছরে ১২টি রাশি অতিক্রম করে। শুক্র ২০দিন এক একটি রাশিতে অবস্থান করে। তবে রবির থেকে ২ রাশির বেশী দূরত্বে কখন থাকে না। মঙ্গল ৪৫দিন এক একটি রাশিতে অবস্থান করে। সম্পূর্ণ রাশিচক্র একবার ঘুরে আসতে ২বছর সময় লাগে। বৃহস্পতি প্রায় ১বছর এক একটি রাশিতে থাকে। অর্থাত সম্পূর্ণ রাশিচক্র ঘুরে আসতে ১২বছর সময় লাগে। শনি এক একটি রাশিতে আড়াই বছর থাকে। ১২টি রাশি ঘুরে আসতে সারে উনত্রিশ বছর সময় লাগে। রাহু ও কেতু এক একটি রাশিতে দেড় বছর থাকে।

( রাশি ও লগ্নকেন্দ্রিক বর্ষফল।)

মেষঃ শুরুতে ভরপুর প্রাণ শক্তি ও দৃঢ়তা আপনার জীবনে স্থায়িত্ব আনতে সাহায্য করবে। পারিবারিক জীবনে বিশৃঙ্খলা ও কর্ম ব্যস্ততা আপনার পারিবারিক জীবনে সুখ শান্তির অভাব ঘটাবে। বছরের প্রথম দুমাস আপনার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাবে। উত্তেজনা ও আবেগ পরিহার করুন। পেশাগত দিক থেকে এবছর উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাবেন। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে মে এর মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রেম প্রকাশ পেতে পারে। অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। দূর যাত্রা ফলপ্রসু ও লাভদায়ক হবে। অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে আয় উন্নতি কমতে পারে। এই সময় কঠোর পরিশ্রম প্রয়োজন। স্বামী-স্ত্রীর প্রতি অঙ্গীকার বদ্ধ হতে হবে। পরিবারকে বেশী সময় দিতে হবে। ধর্মভাব জাগ্রত হবে। বীজ বা দীক্ষা গ্রহণ করতে পারেন।
প্রতিকারঃ লাল পলা, পীত পোখরাজ ধারণ করতে পারেন। হনুমান চল্লিশা পাঠ ও বগলামুখীর মন্ত্র জপ করতে পারেন।

বৃষঃ প্রথম দু মাস বিতর্ক বা কলঙ্ক থেকে দূরে থাকুন। এটা আপনার ভাবমূর্তি নষ্ট করবে। বিরোধ এবং সংঘর্ষ আপনার সম্পত্তির ক্ষতি করে আপনাকে অসুবিধায় ফেলতে পারে। জীবনের যেকোন প্রতিযোগীতার সন্মুখীন হতে প্রস্তুত থাকুন। স্বাস্থের প্রতি নজর রাখুন। জীবন সঙ্গীর সঙ্গে ছোট খাট ভ্রমন বা তীর্থস্থান দর্শন করতে পারেন। আপনার সৃজনশীল প্রতিভার সঠিক প্রয়োগে লাভজনক ফল পেতে পারেন। ভাই ও বোনের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে।ছোট ভাই বোন আপনার পরামর্শ চাইতে পারে।
প্রতিকারঃ হীরা, পলা ও শ্বেত পোখরাজ ধারনীয়।

মিথুনঃ এ বছর আপনার কেরিয়ার উজ্জ্বল হবে। কর্মক্ষেত্রে আপনার উন্নতি কেউ আটকাতে পারবে না। প্রেমের ক্ষেত্রেও এবছর বিশেষ ভাল যাবে। ১৩ই জানুয়ারী থেকে ৬ই ফেব্রুয়ারী আপনার প্রেমের সম্পর্কের ভাঙন ধরতে পারে। অক্টোবরের পরে আপনার প্রেমের অবনতি এবং কর্মক্ষেত্রে ক্ষয়খতির সম্ভবনা রয়েছে। পুরান কোন প্রেম আপনার পারিবারিক অশান্তির কারণ হতে পারে। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কোন সম্পর্ক ও বিয়ের যোগ প্রবল। মাথা ব্যথা, গাঁটে ব্যাথা, পায়ে চোট পাওয়া ইত্যাদি থেকে সাবধানে থাকবেন। অক্টোবর মাস পর্যন্ত ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে লাভবান হবেন। লটারিতে অর্থপ্রাপ্তির সম্ভবনা রয়েছে।
প্রতিকারঃ পান্না, পাঁচমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন। সরস্বতী বা ত্রিপুরাসুন্দরীর মন্ত্র জপ করতে পারেন।

কর্কটঃ এবছর আত্মিয় ও বন্ধুবান্ধবের সহায়তা পাবেন। প্রিয়জনের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন। লড়াই করে নিজের জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। আবেগ ও অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা পরিত্যাগ করে দৃঢ় মানসিকতায় নিজের কর্ম করুন। এপ্রিল মে মাস নাগাদ আপনার ইচ্ছা পূরন হতে পারে। জুলাই ও আগষ্ট বেশ আনন্দদায়ক হবে। রাহুর অবস্থান আপনার অলীক কল্পনাকে বাস্তবায়িত করলেও রাহুর মনের কারক চন্দ্রকে প্রভাবিত করে মানসিক অশান্তির কারণ হতে পারে। পারিবারিক জীবনে অনিশ্চিত ও অশুভ পরিবর্তের আশঙ্কা রয়েছে। অক্টোবরের মধ্যে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে অত্যন্ত শুভ ফল পাবেন।
প্রতিকারঃ মুক্ত, পীত পোখরাজ ধারণ করতে পারেন। শ্রীযন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। প্রতি পূর্ণিমা অথবা বৃহস্পতিবার কাঁচা হলুদ বা জাফরান জলে মিশিয়ে স্নান করতে পারেন।


সিংহঃ এবছর যে ক্ষেত্রেই যাবেন রাজার মত দাপট দেখাবেন। যারা চাকরী খুজছেন তারা সরকারী চাকরী বা অন্য কোন চাকরী পেতে চলেছেন। তবে কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যার সন্মুখীন হবেন। বিদ্যার্থীরা বিদ্যায় মোটামুটি ভাল ফল লাভ করলেও আশানরূপ ফল লাভ করবে না। কোন একটা বিষয়ে সমস্যায় পরতে পারেন। ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক বিষয়ে আগ্রহী হবেন, তীর্থ যাত্রাও করতে পারেন। প্রেম বা সম্পর্কে মিশ্র ফল পাবেন। একদিকে ভুলবোঝাবুঝি ও অন্যদিকে ভালোবাসার মানুষের পূর্ণ ভালোবাসা উপভোগ করবেন। দাম্পত্য জীবনে সুখ বৃদ্ধি পাবে। অতিরিক্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আর্থিক উন্নতি অব্যাহত থাকবে। বিদেশ ভ্রমণের সু্যোগ আসতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। পুরান কোন কাজের জন্য এবছর স্বীকৃতি পাবেন।
প্রতিকারঃ রুবি বা তামার আংটি ধারন করতে পারেন। সূর্য্য প্রণাম বা কমলার মন্ত্র জপ করতে পারেন।

কন্যাঃ এবছর আপনার চরম উন্নতির বছর। আপনাকে আর্থিক উন্নতি দিতে এই বছর অনেক সুযোগ আপনার হাতে আসবে। সামাজিক ক্ষেত্রেও প্রতিষ্ঠা লাভ করবেন। পেশাগত দিক থেকেও সময়টা বেশ ভাল। আপনি বিভিন্ন কাজে প্রশংসা পাবেন এবং সাফল্য লাভ করবেন। আপনার মনের ইচ্ছা পূরণ হতে চলেছে। জানুয়ারী থেকে কিছু অপ্রত্যাশিত লাভ আসতে পারে। এপ্রিল ও অক্টোবরের পর বিশেষ আর্থিক উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। আপনি আপনার জীবনসঙ্গীর মাধ্যমে লাভ পেতে পারেন। স্ত্রী ও সন্তানের স্বাস্থের প্রতি যন্ত নিন। পরিবারের সম্পূর্ণ সহযোগীতা আপনি পাবেন। পরিবারে কোন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান হতে পারে। মাথা ঠান্ডা রেখে সবার মন যুগিয়ে আপনার কাজ করে যান।
প্রতিকারঃ পান্না ও পোখরাজ ধারণ করা যেতে পারে। ত্রিপুরাসুন্দরী ও তারার মন্ত্র জপ করা যেতে পারে।

তুলাঃ এবছর তাড়াহুড়ো করে কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না। এবছর শুরুটা বেশ দীপ্তিময় হবে। আর্থিক দিক থেকে বছরটা বেশ ভালই যাবে। আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সময় যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে। প্রেমের ক্ষেত্রেও সচেতনতার সাথে এগনো প্রয়োজন। দাম্পত্য সম্পর্ক ভালই থাকবে। বিদেশ ভ্রমনের সুযোগ আসবে। অপ্রত্যাশিত উপহার বা উপঢৌকন পাবেন। শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে তবে তারা ভাল ফল পাবেন। মার্চের পর বিবাহিত জীবন ভাল হবে। আপনাকে আয়ের নতুন পথ খোঁজার জন্য মনোযোগ দিতে হবে। ভ্রাতা ভগ্নির সহিত মনোমালিন্য ও জ্যেষ্ঠ ভাতার শারিরীক অসুস্থতা লক্ষ্য করা যায়।
প্রতিকারঃ শ্রীযন্ত্র ও কুবের যন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, ডায়মন্ড বা জারকন ধারণ করা।

বৃশ্চিকঃ এই বছর আপনার জীবনে কিছু চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসবে। যদি আপনি দৃঢ়তার সঙ্গে এটাকে নিতে পারেন তাহলে নিজের লক্ষে পৌঁছাতে পারবেন। মার্চ পর্যন্ত স্বাস্থ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। অক্টোবর পর্যন্ত আর্থিক দিক থেকে সচেতন থাকতে হবে। ক্রেরিয়ারে উন্নতি, বেতনে উত্তরোত্তর বৃদ্ধির সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে। প্রেম ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে মিশ্র ফল পাওয়া যাবে। সঙ্গী বা সঙ্গীনির অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। আগষ্ট মাসে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে না পরাই ভাল। অক্টোবরের পর সম্পর্ক জোড়দার হবে। সৃষ্টিশীল কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখুন। অক্টোবরের পর কর্মে দক্ষতা বাড়বে। উচ্চ শিক্ষার জন্য যারা বিদেশে যেতে চান তাদের জন্য এই বছর খুব ভাল। বিবাহিত জীবন সুখময় হবে।
প্রতিকারঃ লাল প্রবাল ধারণ করা যেতে পারে। বগলামুখীর মন্ত্র জপ করা যেতে পারে।


ধনুঃ এবছর যারা চাকরি করছেন সে সব জাতক জাতিকারা বিশেষ উন্নতি করতে পারেন। আর যারা পদপার্থি তারা এবছর চাকরি পেতে পারেন। এক কথায় বলা যায় ক্রেরিয়ারের দিক থেকে এ বছরটা আপনার স্বস্তিদায়ক। বিনিয়োগ করার ব্যাপারে এ বছরটা ভাল নয়। আপনাকে সংযত হতে হবে। ভ্রমন লাভদায়ক হলেও খরচা সাপেক্ষ হবে। একাধিক উৎস থেকে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত আপনি কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন। অক্টোবরের পরে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। কথাবার্তায় সংযত হন, না হলে সম্পর্কে অশান্তি আসতে পারে। দাম্পত্য জীবনে সুখ শান্তি থাকলেও জীবন সঙ্গীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
প্রতিকারঃ হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন।


মকরঃ এবছর আপনি জীবনের গভীরতা বুঝতে পারবেন। ক্রোধ বা উগ্রতা পরিহার করুন। দাম্পত্য জীবনে ঝগড়াঝাটির সম্ভবনা রয়েছে। ৭ই মার্চ থেকে ২রা মে প্রেমের জন্য ভাল। ১১ই অক্টোবরের পর প্রেমের সম্পর্ক সামনে আসতে পারে। পেশাগত কর্ম ব্যাস্ততা বাড়বে। বছরের শেষভাগে কর্মে উন্নতি পরিলক্ষিত হয়। এই বছরে বৃহস্পতির কৃপা আপনার রাশির উপর থাকায় আপনার উন্নতি আটকান অসম্ভব। আশেপাশের বন্ধু ও অফিস কলিগদের সঙ্গে অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক বজায় রেখে চলুন। যে কোন ধরনের স্বরযন্ত্র থেকে দূরে থাকতে চেষ্টা করুন। আপনার কাজের দ্বায়িত্ব কৃতিত্ব এবং সন্মান বৃদ্ধি পাবে। নতুন কোন প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক উন্নতির সম্ভবনা রয়েছে। বৈবাহিক জীবনে কিছু ভুল বোঝাবুঝি সংগঠিত হতে পারে, যা আপনার এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ।
প্রতিকারঃ ৬ ও ৭ মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ, পীত পোখরাজ বা টোপাজ ধারণ করা যেতে পারে।

কুম্ভঃ আপনার মধ্যে যে শেখার ইচ্ছা রয়েছে, আপনার নিজের মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস রয়েছে তা নষ্ট হতে দেবেন না। নিজের গুণগুলকে আকড়ে ধরে রেখে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলার চেষ্টা করুন। জীবন আপনার জন্য সন্তোষজনক মোড় নেবে। ধন বৃদ্ধির দিকে আপনার মূল ফোকাস থাকা উচিৎ। আপনি বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ এবং ফলদায়ক সিদ্ধান্ত নেবেন। আপনার স্বাস্থ্য এবছর ভালই থাকবে। পুরান রোগ থেকেও মুক্তি পেতে পারেন। গুরুজনের সান্নিধ্য, প্রশংসা ও আশির্বাদ পাবেন। বিবাহিত জীবনে সুখ শান্তি থাকলেও জীবন সঙ্গীর স্বাস্থ্য নিয়ে সমস্যা হতে পারে। সন্তান নিয়ে বিব্রত হবেন।
প্রতিকারঃ শিবের মন্ত্র জপ করুন। নীলা বা এমেথিষ্ট ধারণ করুন।


মীনঃ এবছর বিশেষত অক্টোবর মাস পর্যন্ত স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিৎ। অক্টোবরের পরে স্বাস্থ্য ও অর্থ ভাগ্য উন্নতির দিকে যাবে। কর্মক্ষেত্রে আকাঙ্খিত ফললাভ অতিরিক্ত পরিশ্রমের দ্বারাই সম্ভব হবে। পিতা বা পিতৃস্থানীয় ব্যক্তির অশুভ। কর্মে সমস্যা থাকবে। কর্মক্ষেত্রে বদনাম ও আর্থিক ভরতুকির সম্ভাবনা রয়েছে। ফাটকা কারবারে অর্থ লাভের সম্ভবনা রয়েছে। পাশাপাশি কিছু আর্থিক ক্ষতিরও সম্ভাবনা রয়েছে। সন্তানের স্বভাবে খামখেয়ালীপনা দেখা দিতে পারে। বছরের শেষে নিজেকে অনেকটা চাপমুক্ত বলে মনে হবে। ক্রেরিয়ারের উন্নতির পাশাপাশি আর্থিক উন্নতিও পরিলক্ষিত হবে।
প্রতিকারঃ পোখরাজ ও লাল প্রবাল ধারণ করা যেতে পারে। বগলামুখী ও তারার মন্ত্র জপ করা যেতে পারে।




*****************************************
যদি আপনাদের কোন উপকারে লাগে তাহলে
আপনাদের সামর্থমত সাহায্য করুন।



or Paytm করুন এই নং-
Amit Chakraborty
No. 9830637766

******************************************



রবিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৭

টেনশান মুক্তি



আজকের কর্মব্যস্ত যান্ত্রীক জীবনে নানান সমস্যার মধ্যে দিয়ে আমাদের অগ্রসর হতে হয়। প্রতি মূহুর্তে আমাদের জীবনে আসে এক একটা নতুন সমস্যা। এই ক্রমবর্ধমান সমস্যার ফলশ্রুতি হিসাবে আসে টেনশান; আসে অনিদ্রা। এর পিছনে ধাওয়া করে সুগার, প্রেসার, থাইরয়েড ইত্যাদি।

আমাদের জীবনের নানা চাওয়া পাওয়ার অতৃপ্ত বাসনাই জন্ম দেয় টেনসনের। তাই সমস্যা সমূলে উৎপাটিত করতে না পারলে টেনশান কমবে না। সন্তানের প্রতি মা বাবার উচ্চাশা, বিলাস বহূল গাড়ী বাড়ীর প্রতি অনুরাগ, প্রতিবেশী বা সহকর্মীর প্রতি ঈর্শা আমাদের সমস্যা বহুলাংশে বাড়িয়ে দেয়।

আমাদের সবথেকে বড় সমস্যা আমাদের জীবনযাত্রার মান। আমরা প্রতিদিন আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে ফেলছি। এর জন্য প্রয়োজন আর্থিক সচ্ছলতা। আর এখান থেকেই শুরু হয় সফল হওয়ার ইঁদুর দৌড়।

আমরা ভুল করি, ভুল করেই চলেছি। প্রত্যাশা পূরন করতে গিয়ে আমরা আরও হতাশ হয়ে পরি। তাই বাস্তব ও প্রত্যাশার মাঝে এক সেতু গড়তে পারলেই বাজিমাৎ।

এই সেতু গড়ার কাজটা করতে পারে কোন অভিজ্ঞ জ্যোতিষ ব্যক্তিত্ব।

আমি সহজেই  চিন্তামুক্ত বা টেনশানমুক্ত হওয়ার এক উপায় বলি। প্রতিদিন সকালে স্নান করে শুভ্রবস্ত্র ধারন করে নিন্মক্তো মন্ত্র ১০৮বার জপ করতে হবে।

"ওঁ হ্রীং শ্রীং ভগবতী চিন্তামণি,
সর্ব্বার্থসিদ্ধিং দেহি দেহি স্বাহা।"

*****************************************
যদি আপনাদের কোন উপকারে লাগে তাহলে
আপনাদের সামর্থমত সাহায্য করুন।


******************************************

শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭

WEALTH N PROSPERITY

TIPS FOR  ABSOLUTELY FREE FROM ALL UNEXPECTED HAZARDS AND ENHANCE YOUR WEALTH N PROSPERITY.

Happy Navaratri. On this auspicious occassion of Durgapuja between Ashtami n Nabami Sandhipuja takes place. After the ritual is over take the blessings of the flame of 108 diyas (pradip) and please ask Thakurmoshai / Purohitmoshai to give some flowers or Lotus Flower which is already been offered to Maa Durga from the Ghot and keep it covered with red cloths (red salu) in your Thakur Ashana and worship with dhup, deep, flower, red chandan and billo patra everyday for one year followed by under mention mantra. You will be absolutely free from all unexpected hazards and will enhance your wealth n prosperity.

Mantras ::

1) Om jayanti, mongla kali, bhadra kali, kapalini.
Durga, shiva, khama, datri, swaha, sada namostute.
Esha sa chandana gandha puspa billo patranjali ong hring durgaoi namoh.

2) Om Mahishagni, maha maye, chamunde, mundumalini.
Ayuraroggo bijoyang dehi devi namostute.
Esha sa chandana gandha puspa billo patranjali ong hring durgaoi namoh.

3) Om sarbomanglo magalle, shive sarbartho sadike.
shaonnye, tramboke gouri narayani namostute.
Om Saranagata dinarta paritranaye parayane.
Sarba syarti hare, devi narayani namastute.
Om Sristi sthiti binasayang, shakti bhute sanatani.
Guna shraye ghunamoye narayani namastute.
Esha sa chandana gandha puspa billo patranjali ong hring durgaoi namoh

                                         


সমস্ত আপদ বিপদ থেকে পরিত্রাণের এবং সুখ, শান্তি ও ঐশ্বর্য্যের  টোটকাঃ-

শুভ শারদীয়া-র শুভেচ্ছা। বৃহস্পতিবার মহাষ্টমী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে সন্ধিপূজোর পর ১০৮ প্রদীপের আঁচ নেবেন। পূজোয় প্রতিষ্ঠিত ঘট থেকে পূজোর ফুল বা পদ্মফুল বাড়ীতে নিয়ে এসে ঠাকুরের আসনে লাল শালুতে মুড়িয়ে আগামী এক বছর পর্য্যন্ত ধূপ, দ্বীপ, ফুল, লাল চন্দন ও বেল পাতা সহযোগে নিন্মোক্ত মন্ত্রে পূজো করুন। এই বিধি পালন করলে আগামী এক বছর পর্য্যন্ত আপনার ঘরে কোন বিপদ আপদ ঢুকতে পারবে না। সুখ শান্তি ঐশ্বর্য্য আপনার ঘরে বিরাজ করবে।

মন্ত্র ::

১) ওঁ জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী।
দুর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোহস্তুতে।।
এষ সচন্দন গন্ধপুষ্প বিল্ল পত্রাঞ্জলি ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নমঃ।।

2) ওঁ মহিষঘ্নি মহামায়ে চামুন্ডে মুন্ডমালিনি।
আয়ুরারোগ্যবিজয়ং দেহি দেবি নমোহস্তুতে।।
এষ সচন্দন গন্ধপুষ্প বিল্ল পত্রাঞ্জলি ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নমঃ।।

3) ওঁ সর্ব্বমঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সর্ব্বার্থ সাধিকে শরণে ত্র্যম্বকে গৌরি নারায়ণি নমোহস্তুতে।।
ওঁ শরণাগত দীনার্ত্ত পরিত্রাণ পরায়ণে।
সর্ব্বস্যার্ত্তিহরে দেবি নারায়ণি নমোহস্তুতে।।
ওঁ সৃষ্টি-স্থিতি-বিনাশানাং শক্তিভূতে সনাতনি।
গুণাশ্রয়ে গুণময়ে নারায়ণি নমোহস্তুতে।।
এষ সচন্দন গন্ধপুষ্প বিল্ল পত্রাঞ্জলি ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নমঃ।।

Any assistance Help Line : 9830637766

*****************************************
যদি আপনাদের কোন উপকারে লাগে তাহলে
আপনাদের সামর্থমত সাহায্য করুন।



or Paytm করুন এই নং-
Amit Chakraborty
No. 9830637766

******************************************

বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৭

গ্রহের গোচর ফল

                         


আগামী ১২/০৯/২০১৭ তারিখ সকাল ০৬:৫৬মি: বৃহস্পতিগ্রহ কন্যা রাশি পরিত্যাগ করে তুলা রাশিতে চিত্রা নক্ষত্রে প্রবেশ করবে। তুলারাশি রাশিচক্রের সপ্তম স্থান এবং বৃহস্পতিগ্রহ রাশিচক্রের নবম স্থানাধীপতি। অর্থাৎ বলা যায় গোচরস্থ বৃহস্পতির অবস্থান রাশিচক্রের সপ্তমে বা ভাগ্যপতি বৃহস্পতি সপ্তমে অবস্থিত।

বৃহস্পতি তুলা রাশিতে ১১/১০/২০১৮ পর্যন্ত অবস্থান করবে। এই এক বছরের অধিক সময় মেষ ও কর্কট রাশির শুভ সময়।

অন্য দিকে ১৮/০৮/২০১৭ তারিখে রাহু সিংহ রাশি পরিত্যাগ করে কর্কট রাশির আদ্রা নক্ষত্রে প্রবেশ করবে। ঠিক সম সপ্তমে মকর রাশিতে কেতু শ্রবণা নক্ষত্রে প্রবেশ করবে। আগামী ০৭/০৩/২০১৯ তারিখে রাহু ও কেতু স্থান পরিবর্তন করে যথাক্রমে মিথুন ও ধনু রাশিতে গমন করবে।

আবার ২৬/০১/২০১৭ তে শনি ধনু রাশিতে প্রবেশ করেছিল। এবং ০৪/০৪/২০১৭ তারিখে শনি বক্রী হয়ে পুনরায় বৃশ্চিকরাশিতে জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রে ফিরে এসেছে। বর্তমানে শনি বৃশ্চিকরাশিতে থাকলেও ২৭/১০/২০১৭ তারিখে আবার ফিরে যাবে ধনুরাশির মূলা নক্ষত্রে। আগামী ২৪/০১/২০২০তারিখে শনি তার নিজ রাশি মকরে গমন করবে।

এবার ২৭/১০/২০১৭ থেকে ১১/১০/২০১৮ পর্যন্ত চারটি গ্রহের অবস্থান চিত্রে দেওয়া হল। কর্কটে (অধিপতি চন্দ্র) রাহু, মকরে (অধিপতি শনি) কেতু, তুলায় (অধিপতি শুক্র) বৃহস্পতি। ধনু (অধিপতি বৃহস্পতি) শনি।

কর্কটরাশি জল রাশি। কর্কটের অধিপতি চন্দ্র মনের কারকগ্রহ। রাহু চণ্ডাল জাতি। অশুভ রাহুর প্রভাবে মন অশান্ত হবে। মানুষ বদ মেজাজী ও হঠকারী কার্য করবে। পার্থিব বস্তুর প্রতি মানুষের আকাঙ্ক্ষা বারবে। অন্যদিকে মকর ও জল রাশি। এবং কেতু হল অনিশ্চয়তার কারকগ্রহ। ফলে অশুভ রাহু কেতুর প্রভাবে মানুষের জীবন অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পরবে। প্রাকৃতিক দিক থেকে জলোচ্ছ্বাস বা সুনামির সম্ভোবনা থাকছে।

তবে রাশিচক্রের চতুর্থে, সপ্তমে, নবমে ও দশমে এই সকল গ্রহের সঞ্চারের ফলে রাশিচক্রে বেশ কিছু শুভ সমন্বয় লখ্য করা যাচ্ছে। যেমন যাদের দাম্পত্য কলহ চলছে বা যারা অনূঢ়া তাদের সমস্যার সমাধান হতে পারে। কম্পিউটার, মোবাইল প্রভৃতি সংস্থার সাথে যুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পখ্যে শুভ। প্রতিটি মানুষের আর্থিক অবস্থা ও ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে। তন্ত্র ও গুপ্ত বিদ্যার প্রসার লাভ ঘটবে। মানুষ বেশী প্রতারিত হবে।

Help Line : 9830637766
Booking : 9804688364

*****************************************
যদি আপনাদের কোন উপকারে লাগে তাহলে
আপনাদের সামর্থমত সাহায্য করুন।



or Paytm করুন এই নং-
Amit Chakraborty
No. 9830637766

******************************************

দাম্পত্য কলহ



স্বামী স্ত্রী বনিবনার অভাব আজকাল  অতি সাধারণ একটি ঘটনা ।  ছোট খাটো কারণ নিয়ে শুরু হয়ে যায় তুমুল অশান্তি। এই যান্ত্রিক যুগে মানুষ এত টাই ব্যস্ত বা বলা চলে এতটাই চাপে থাকে যে অন্যের সহানুভূতিশীল কথাও তার কাছে বাসের হর্ন এর মতো অশ্বস্তিকর মানে হয়। তবে সবসময় যে শুধু মাত্র এই সামান্য কারণে অশান্তি শুরু হয় তা নয়। এর পিছনে আরো অনেক কারণ থাকতে পারে। ১) তৃতীয় ব্যাক্তির উপস্থিতি ২) আর্থিক সংকট  ৩) শ্বশুর শাশুড়ির সাথে মতের অমিল  ৪) নেশা গ্রস্থ হওয়া  ৫) বাপের বাড়ির অনুপ্রবেশ ইত্যাদি। কারণ যাই হোক সমস্যা একটাই দাম্পত্য কলহ বা বিচ্ছেদ।  এই ধরনের সমস্যা আসে মঙ্গল ও শুক্র থেকে। কারণ ছেলেদের বিবাহ কারক গ্রহ মঙ্গল ও মেয়েদের বিবাহ কারক গ্রহ শুক্র।  সপ্তমপতি বা সপ্তমভাব বিবাহের স্থান। লগ্ন, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম  ও দ্বাদশ  এই  সকল স্থানে মঙ্গলের অবস্থান ভৌম দোষ সৃষ্টি করে। এই মাঙ্গলিক দোষ  থাকলেও জাতক জাতিকার   বিবাহ বিচ্ছেদ এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া  রবি শনি রাহু মঙ্গল ও কেতু যদি সপ্তমপতি দৃষ্ট যুক্ত বা আক্রান্ত হয় বা ভাবপতির সাথে কোন  রকম সম্পর্ক সৃষ্টি করে তাহলে ও এই ধরনের সমস্যা আসতে পারে। এই সকল অশুভ  গ্রহগুলি যদি দশা বা অন্তর্দশার মধ্যে আসে তাহলে ও এই ধরনের সমস্যা আসতে পারে। শনির সারেসাতি বা ধাইয়া  চলা কালীন প্রচন্ড মানসিক অশান্তি দাম্পত্য কলহ হতে দেখা যায়।কালসর্প যোগ  থাকলেও এই একই ধরনের সমস্যা আসতে পারে। সমস্যা যাই হোক সমাধান এর জন্য প্রয়োজন শাস্ত্রীয় বিধান অনুযায়ী সম্পূর্ণ বৈদিক বা তান্ত্রিক মতে উক্ত মন্ত্র সংস্কার পূর্ব্বক  জপ ও  রত্ন ধারণ করা প্রতিকারের জন্য। বগলামুখীর মন্ত্র জপ করতে পারেন, রত্ন ধারণ করতে পারেন।

*****************************************
যদি আপনাদের কোন উপকারে লাগে তাহলে
আপনাদের সামর্থমত সাহায্য করুন।



or Paytm করুন এই নং-
Amit Chakraborty
No. 9830637766

******************************************

বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৭

গ্রহণে তন্ত্রের ভূমিকা


‘তন্ত্র’ শব্দের অনেক অর্থের মধ্যে একটি হলো ত্রাণ বা মুক্তি। যে শাস্ত্রানুযায়ী সাধন করলে জীবের মোক্ষ বা মুক্তি লাভ হয়, সাধারণভাবে তাকেই বলা হয় তন্ত্র। তত্ত্ব ও মন্ত্রের সমন্বয় হচ্ছে তন্ত্র।                           

সূর্য্য ও চন্দ্রের সঙ্গে মানুযের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্য্য গ্রহণ শুধুমাত্র কোন প্রাকৃতিক ঘটনা নয়, মানুষের স্বপ্নপূরণ বা সিদ্ধিলাভের অমৃতযোগ। তান্ত্রিকেরা এই সময় প্রস্তুত থাকে হোমাদি দ্বারা গুহ্য মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে সিদ্ধিলাভের আশায়। গ্রহণের এই ব্রহ্মক্ষণে মহাজাগতিক শক্তির বিক্ষিপ্ত বিকিরণে গুহ্যতন্ত্র পূর্ণত্ব লাভ করে। আর এই তন্ত্রের হাত ধরেই বহুদিনের আটকে থাকা কাজ সহজেই করে ফেলা যায়।
তাই দেরি না করে এক্ষুনি ফোন করুন:- ৯৮৩০৬৩৭৭৬৬ এই নম্বরে।


****** চন্দ্রগ্রহণের বিশেষ টোটকা ******
চন্দ্রগ্রহণের সময় শ্বেত অপরাজিতার মূল তুলে ছেলেরা ডান হাতে ও মেয়েরা বাম হাতে সাদা সুতায় ধারণ করলে অভিষ্ঠ কাজ সিদ্ধ হয়।

*****************************************
যদি আপনাদের কোন উপকারে লাগে তাহলে
আপনাদের সামর্থমত সাহায্য করুন।



or Paytm করুন এই নং-
Amit Chakraborty
No. 9830637766

******************************************

ইচ্ছাপূরনে গণেশজী

                                         


“গণেশ পুরাণ” এর অন্তর্গত একটা ঘটনা বলি। পুরাকালে চন্দ্রবতী নামক এক রাজ্য ছিলো। সেখানে পর পর কয়েক বছর অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরাতে মাঠের ফসল মাঠেই শুকিয়ে গেলো। কৃষকগণ আর ফসল খামারে তুলতে পারলোই না। গবাদি প্রানী সকল বিনষ্ট হতে লাগলো। অনাহারে মানুষও প্রাণ হারাতে লাগল। একদিন দেবর্ষি নারদ মুনি আকাশমার্গে গমনের সময় এই রাজ্যের দুরাবস্থা দেখে অত্যন্ত দুঃখিত হয়ে কৈলাসে গমন করলেন। হর পার্বতীকে বন্দনা করে বললেন- “প্রভু! এ কি দুরাবস্থা আজ দেখত হল। চন্দ্রাবতী রাজ্যে এমন হাহাকার যে সেখানে মানবেরা খাদ্য জলের অভাবে যন্ত্রনা ভোগ করে মৃত্যুর দিকে যাচ্ছে। হে প্রভু, হে মাতা। এর থেকে কি মুক্তির উপায় নেই?”

ভগবান শিব বললেন- “হে মহামুনে। অবশ্যই নিবৃত্তির উপায় আছে। আর তাহাদের সকল বিঘ্নের অবসান করবে স্বয়ং বিঘ্নবিনাশক গণেশ।” পুত্র গজাননকে ক্রোড়ে নিয়ে দেবী শঙ্করী আদর স্নেহ প্রদান করে বললেন- “পুত্র। মর্তধামে এবার তোমার মহিমা প্রচার করো।” দেবর্ষি নারদ মুনি তখন গণেশের বন্দনা করে বললেন- “হে গজবক্ত্র। হে গৌরীনন্দন । এবার আপনি কৃপা করে চন্দ্রাবতী রাজ্যের দুঃখ নিবৃত্তি করুন।” এই বলে দেবর্ষি নারদ ব্রাহ্মণের বেশে চন্দ্রাবতী রাজ্যে গেলেন। ভিক্ষা চাইলেন। সেখানের লোকেরা দেবর্ষিকে সম্মান প্রদর্শন করে বললেন- “হে বিপ্রদেব! আমাদের রাজ্যে চরম দুর্দশা। আমরা নিজেরাই অভুক্ত , আপনাকে কি ভিক্ষা দেবো?” দেবর্ষি বললেন- “তাই যদি হয়, তবে তোমরা বিঘ্নহর্তা শিবতনয়ের পূজা কেন করছ না?” লোকেরা বলল- “হে বিপ্রদেব। যদি শ্রীগণেশের পূজা করে আমাদের সঙ্কট নাশ হয়, তবে আমরা তাহাই করবো। কৃপা করে আপনি সেই পূজাতে পৌরহিত্য করুন।”

দেবর্ষি নারদ তখন নিজেই গণেশ মূর্তি নির্মাণ করলেন। পূজাতে বসে প্রার্থনা মন্ত্র উচ্চারন করলেন-

এইভাবে পূজা সমাপন হল। অভাবের সময় তারা সামান্য নৈবদ্য দিয়ে পূজা করেছিলো। হঠাত মূর্তি জীবন্ত হয়ে উঠলো। গজানন আবির্ভূত হলেন। সকলে স্তব স্তুতি করে প্রণাম করলো। গণেশ জী বললেন – “এত সামান্য নৈবদ্য কেন? আমাকে শত হাণ্ডি পরমান্ন অর্পণ করো।” দরিদ্র লোকেরা বলল এই অভাবে এত নৈবদ্য কোথায় পাবো ! গণেশ জী ক্ষুব্ধ হয়ে বললেন- “সত্বর আমাকে শত হাণ্ডি পরমান্ন নিবেদন করো । আমি খুবুই ক্ষুধার্ত । না হলে তোমাদের গ্রাস করবো।” শেষে অত দুধ ও চাউল শর্করা কোথায় পাবে। খুজে খুজে এক ছটাক দুধ ও সামান্য হাতের তালুতেও ধরে না, সেই রকম চাউল, শর্করা পাওয়া গেলো। গণেশ জী বললেন- “তাই দিয়ে রন্ধন করে সত্বর আমাকে ভোগ নিবেদন করো।” এক বৃদ্ধা ভাবলেন এই সামান্য জিনিষে কি আর শত হাণ্ডি পরমান্ন হবে। আজ নিশ্চয়ই গণেশ জী আমাদের গ্রাস করবেন। দুর্ভিক্ষে মরার থেকে বরং গণেশ ঠাকুরের হাতে মরা ভালো। বুড়ী এই ভেবে রান্না চাপালো। একটু পড় হাণ্ডি খুলে দেখলো পরমান্ন উপচে পড়ছে। সামান্য ঐ এক ছটাক দুধে আর চাউলে যে এত পরমান্ন হয় তা তাদের জানা ছিলো না। নারদ মুনি মনে মনে হাস্য করলেন। ঐ এক ছটাক দুধ, চাউলে শত হাণ্ডি পরমান্ন হলে, গণেশ জীকে নিবেদন করলেন সকলে। সবার বুঝতে বাকী রইলো না যে এটা গণেশজীর কৃপা। শ্রীগণেশ আশীর্বাদ করে বললেন- “আমি তোমাদের সেবায় প্রসন্ন। অচীরে এখানে দুর্ভিক্ষ দূর হবে। বৃষ্টি হবে। অনেক পরিমাণে ফসল হবে। ততদিন এই শত হাণ্ডি থেকে পরমান্ন খেয়ে তোমরা জীবন ধারণ করবে। এই শত হাণ্ডি ততদিন তোমাদের পরমান্ন প্রদান করবে।” সত্যি তাই হল। গণেশ জীর কৃপায় সেই রাজ্যে প্রচুর বৃষ্টি হয়ে খরা দূর হল। প্রচুর ফসল হল। এই ভাবে গণেশ ঠাকুরের লীলা প্রচার হল।

গণেশ হিন্দু দেবতা। শিব ও পার্বতীর পুত্র গণেশ সিদ্ধিদাতা হিসেবে বিশেষভাবে পূজিত হন। তিনি খর্বাকৃতি, ত্রিনয়ন, চতুর্ভুজ এবং হস্তিমস্তক। শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্মধারী গণেশের বাহন হচ্ছে ইঁদুর।

গণেশ মঙ্গল ও সিদ্ধির জনক বলে সব দেবতার আগে পূজিত হন। গণেশের গজানন এবং একদন্ত হওয়ার পেছনে পৌরাণিক কাহিনী বিদ্যমান।গণেশপুরাণ বলছে- গণেশই ওঁকাররূপী ভগবান। গণেশ বেদের আদিতে প্রতিষ্ঠিত ও বেদের সারতত্ত্ব। ইন্দ্র ও অগ্নি সহ সকল দেবগণ শ্রীগণেশকে সর্বদা হৃদয়ে ধারণ করেন- ওঁকাররূপী ভগবান্ যো বেদাদৌ প্রতিষ্ঠিতঃ। যং সদা মুনয়ে দেবাঃ স্মরন্তীন্দ্রাদয়ো হৃদি।

গণেশ যে শুধুই আমাদের উমার সন্তান, তা নয়। গণেশ নিত্য, অক্ষরব্রহ্ম এবং শাশ্বত সত্য। মহাশক্তির পুত্র হওয়ার দরুন তিনি অমিত বলবিক্রম সম্পন্ন, আবার স্বয়ং বিষ্ণুর অংশজাত হওয়ায় তিনি পরমতত্ত্বের আধার এবংসর্বজ্ঞানী। গণেশের স্তুতি করেছেন স্বয়ং বিষ্ণু।

পিতা শঙ্করও আপন পুত্রের বিঘ্ননাশ করার শক্তির প্রশংসা করে স্তব করেছেন "দ্বৈমাতুর"-এর। হেরম্ব, গণেশ, একদন্ত, লম্বোদর, গজানন, বিঘ্ননাশ, শূর্পকর্ণ এবং গুহাগ্রজ- শ্রীগণেশের এই অষ্টনাম প্রতিদিন কীর্তন করলে যাবতীয় বিঘ্ন ধ্বংস হয়ে থাকে।

গণেশের জন্মঃ-

বিভিন্ন পুরাণে তাঁর বিভিন্ন জন্মকথা বর্ণিত হয়েছে। ব্রহ্মবৈবর্ত্তপুরাণ বলছে, গণেশ নারায়ণের বরে ভূমিষ্ঠ এবং তিনি সাক্ষাৎ নারায়ণই। বিষ্ণুর ন্যায় তাই তিনিও শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্মধারী। বিবাহের পরে সন্তানলাভহেতু বিহ্বল পার্বতীকে মহাদেবই বিষ্ণুর আরাধনা করার নির্দেশ দেন। সেইমত জগদম্বা ব্রতধারণ করে নারায়ণকে পুত্ররূপে কামনা করেন।

অপরদিকে সাক্ষাৎ পরমেশ্বরী ভগবতীকে আপন মাতারূপে লাভ করার বহুদিনের সাধ শ্রীহরির। দুজনের এই ঐশী ইচ্ছার ফলস্বরূপ শ্রীগণেশের আবির্ভাব। দুর্গা হরিকে সন্তানরূপে পেয়ে আহ্লাদিত, হরিও দুর্গাকে "মা" ডেকে পরিতৃপ্ত। বামনপুরাণ আবার ভিন্ন ঘটনা বলছে। হিমালয়দুহিতা উমা আপন দেহমল থেকে লম্বোদর, সর্বসুলক্ষণ, চতুর্ভুজ এক বালকমূর্তির সৃষ্টি করেন। নায়ক (পুরুষ সংসর্গ) বিনা তাঁর জন্ম বলেই তিনি "বিনায়ক" নাম ধরলেন। তবে এ হেন পরমগুণবান, সত্যদ্রষ্টা, জ্ঞানীদের মধ্যে অগ্রগণ্য, বিষ্ণুস্বরূপ গণেশ কিনা গজমুণ্ডধারী! এর সন্দর্ভেও রয়েছে কাহিনী।

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের গণেশ খণ্ডে আছে – বিষ্ণুর ইচ্ছায় মহাদেবের পুত্র হিসাবে গণেশের উৎপত্তি হয়েছিল ভিন্নতর পরিমণ্ডলে।বিষ্ণু বুঝতে পেরেছিলেন যে, মহাদেব ও পার্বতীর মিলনের ফলে যদি মহাদেব পার্বতী যদি গর্ভবতী হন, তাহলে পার্বতী একটি অতিকায় দেব-পীড়নকারী পুত্র প্রসব করবেন।মহাদেব -এর এই অনিষ্টকারী পুত্রের জন্মরোধের উদ্দেশ্যে বিষ্ণু একটি কৌশলের আশ্রয় নেন।

মহাদেব-পার্বতীর মিলনের শেষ মুহূর্তে, বিষ্ণু দরিদ্র ব্রাহ্মণ বেশে মহাদেব -পার্বতীর মিলনগৃহের সামনে উপস্থিত হন এবং উচ্চস্বরে ভিক্ষা প্রার্থনা করতে থাকেন। মহাদেব ব্রাহ্মণরূপী বিষ্ণুর সম্মানার্থে দ্রুত মিলন ত্যাগ করেন, এর ফলে তাঁর স্খলিত শুক্র বাহিরে নিক্ষিপ্ত হয়। এই স্খলিত শুক্র থেকেই গণেশের জন্ম হয়।এভাবে গণেশের জন্ম হলেও, পার্বতী তাঁকে নিজপুত্র রূপে গ্রহণ করেন।

গণেশ হলেন গজাননঃ-
শিবপুরাণমতে মহাদেব স্বহস্তে পুত্রের মুণ্ডচ্ছেদ করে ভগবতীর কোপভাজন হয়েছিলেন। ব্রহ্মবৈবর্ত্তপুরাণ বলছে, গণেশের হস্তীমুণ্ড হওয়ার পেছনে হাত রয়েছে শনির। গণেশের জন্মসংবাদ পেয়ে অন্যান্য দেবগণের সঙ্গে শনিও এসেছিলেন দর্শন করতে, কিন্তু আপন সর্বনাশা দৃষ্টির কথা মনে রেখে মাথা হেঁট করে দাঁড়িয়ে রইলেন। শনির এহেন আচরণে দুর্গা অসন্তুষ্ট হয়ে বারংবার সন্তানের মুখ দেখতে পীড়াপীড়ি করায় শনি তাকানোমাত্র গণেশের মুণ্ড উড়ে গেল।

হাহাকার স্তব্ধ করতে তখন শিবের নির্দেশে নারায়ণ গিয়ে পুষ্পভদ্রা নদীর তীরে গভীর জঙ্গলে উত্তরদিকে মাথা করে ঘুমিয়ে থাকা এক হাতীর মস্তক কেটে নিয়ে এলেন। ব্রহ্মা সেই মস্তক মৃত বালকের স্কন্ধে জুড়তেই "গজানন" নাম নিয়ে পার্বতীনন্দন পুনরুজ্জীবিত হলেন।যার ছিন্ন শির গণেশের গ্রীবায় সংযোজিত হয়েছিল, সে গজেন্দ্র কে ? ইনিই স্বয়ং ইন্দ্রের বাহন ঐরাবত ।

একদা মুনিবর দুর্বাসা বিষ্ণুদত্ত পারিজাত ইন্দ্রকে উপহার দিয়েছিলেন । মদগর্বে গর্বিত ইন্দ্র সে পারিজাত নিজে গ্রহণ না করে অবজ্ঞাবশে তা স্থাপন করে ঐরাবতের মস্তকে । তদ্দর্শনে দুর্বাসা অভিসম্পাত করেন । ইন্দ্র শ্রীভ্রষ্ট হবে এবং ঐরাবতেরও মাথা কাটা যাবে । এখানে আর একটি বিষয়ে বেদের একটি মন্ত্রে ইন্দ্রকেই বলা হয়েছে গণপতি । বেদের গণপতি পুরাণে এসে অনেকাংশে রূপান্তরিত হয়েছেন, তা বলাই বাহুল্য । কিন্তু এই রূপান্তরের মধ্যেও বৈদিক সংস্কার অক্ষুণ্ন রাখার তাগিদেই কি ইন্দ্র হস্তীর মস্তক গণেশের হয়ে সংযোজিত ?

গণেশ পূজায় তুলসী বর্জিতঃ-

গণেশের পূজাতে কিন্তু তুলসী সর্বতোভাবে নিষিদ্ধ। শোনা যায়, ধর্মধ্বজের কন্যা তুলসী গণেশের বীর্যবত্তা ও জ্ঞানগরিমা দেখে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে প্রণয়ের জন্য আহ্বান করেন। কিন্তু দারপরিগ্রহে অনিচ্ছুক গণেশ সরাসরি তুলসীকে প্রত্যাখ্যান করলে ক্রুদ্ধা তুলসী অভিসম্পাত করেন- "তোমাকে বিবাহ করতে হবেই এবং তুমি দ্বিস্ত্রীর স্বামী হবে।"

রুষ্ট গণেশও পাল্টা অভিশাপ দেন- "তুমি হবে দানবের ভোগ্যা।" দুজনের অভিশাপই সফল হয়েছিল। গণেশ বিবাহ করেছিলেন ঋদ্ধি ও সিদ্ধিকে এবং তুলসী দানব শঙ্খচূড়কে। সেইথেকে গণেশপূজায় তুলসী বর্জিত হয়ে গেল।

সকল পূজার আগে গণেশ পূজা করা হয়ঃ-

বিষ্ণুর কৃপায় হস্তিমুন্ড পেয়ে গণেশ বেঁচে ওঠেন। হস্তিমুন্ড গণেশ যাতে অবহেলিত না হয় সেজন্য বিষ্ণু বিধান দেন যে, সকল পূজার আগে গণেশ পূজা করতে হবে,অন্যথায় কোন পূজাই গৃহীত হবে না। শিবপুরাণে বলা হয়েছে – সবার আগে গণেশ পূজার বিধান দিয়েছিলেন মহাদেব।এছাড়া বিষ্ণু তাঁকে ব্রহ্মজ্ঞান দান করেন।দেবতারা তাঁর আটটি নাম প্রদান করেন।এই নামগুলি হলো- একদন্ত,গজানন,গণেশ,বিনায়ক, লম্বোদর, শূর্পকর্ণ, শ্রীবিঘ্নেশ ও হেরম্ব।ব্রহ্মা তাঁকে কমণ্ডলু দান করেন,যোগপট্ট দেন শিব, ইন্দ্র দেন রত্ন সিংহাসন, সূর্যদেব দেন মণির কুণ্ডল, চন্দ্র দেন মণিমালা, কুবের মুকুট,অগ্নিশুদ্ধ কাপড় দেন অগ্নি, লক্ষ্মী দেন কেয়ুর, রত্নের বলয়, রত্নের নুপূর, সাবিত্রী ও সরস্বতী দেন গলার হার। এছাড়া অন্যান্য দেবদেবী ও মুনি ঋষিরা আরও বহুবিধ উপহার দেন। ধরিত্রী মাতা গণেশকে ইঁদুর দিয়েছিলেন খেলার উপকরণ হিসাবে। কালক্রমে এই ইঁদুর তাঁর বাহন হিসাবে গৃহীত হয়।

গণেশ একদন্তঃ-
ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ মতে, শিব-পার্বতীর দ্বাররক্ষক ছিলেন গণেশ। সেখানে পরশুরামের সঙ্গে গণেশের ভীষণ যুদ্ধ হয়। পরশুরামের কুঠারাঘাতে গণেশের একটি দাঁত সমূলে উৎপাটিত হয়; এজন্য গণেশ একদন্ত।

ওঁ গং গণপতয়ে নমঃ

একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদরং গজাননম্৷।
বীঘ্নবিনাশকং দেবং হেরম্বং প্রণমাম্মহাম্৷

*****************************************
যদি আপনাদের কোন উপকারে লাগে তাহলে
আপনাদের সামর্থমত সাহায্য করুন।



or Paytm করুন এই নং-
Amit Chakraborty
No. 9830637766

******************************************

মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র

মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র ও তার প্রভাব

ওম ত্র্যম্বাকম যজামহে সুগন্ধিম  পুষ্টিবর্ধনম 

উর্বারুকামিব বন্ধনম মৃত্যর মুক্ষয় মামৃতাত।




*****************************************
যদি আপনাদের কোন উপকারে লাগে তাহলে
আপনাদের সামর্থমত সাহায্য করুন।



or Paytm করুন এই নং-
Amit Chakraborty
No. 9830637766

******************************************



দশমহাবিদ্যা

১)  মা কালী     ০ মন্ত্র ০   ক্রীং 

যাদের রাশি চক্রে শনির সরেসাতি বা শনির ধাইয়া চলছে  অথবা  যাদের সব কাজে বাধা হচ্ছে তারা মা কালির উক্ত মন্ত্র  ১০৮/১০০৮ বার জপ করুন।

২) মা তারা    ০ মন্ত্র  ০  ওম  হ্রীং শ্রীং হুম ফট্

যাদের রাশি চক্রে বৃহঃস্পতি  বক্রী  বা  বৃহঃস্পতি  নীচস্ত  বা অশুভ গ্রহ গত  তারা উক্ত মন্ত্র জপ করতে পারেন। জপ সংখা ১০৮/১০০৮।

৩)  ত্রিপুরাসুন্দরী    ০ মন্ত্র ০   হুম শ্রীং হ্রীং বজ্র  ভারচান্যে হুম হুম ফট্ এং।
যাদের রাশি চক্রে বুধ দুর্বল বা বক্রী বা যার রাশি চক্রে নির্বুদ্ধি বা নপুংশক যোগ আছে তারা  উক্ত মন্ত্র  ১০৮/১০০৮ বার জপ করুন।

৪)

*****************************************
যদি আপনাদের কোন উপকারে লাগে তাহলে
আপনাদের সামর্থমত সাহায্য করুন।



or Paytm করুন এই নং-
Amit Chakraborty
No. 9830637766

******************************************

তন্ত্রের রহস্যভেদ


সাধারণ মানুষের ধারণায় তন্ত্র একটি রহস্যে ঢাকা বিদ্যা। সেই কারণে তন্ত্র সাধক বা তান্ত্রিকদের ব্যাপারে মানুষের একটা অমুলক ভয় আছে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে, পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে যেখানেই কোন দেব বা দেবীর পূজা হোক না কেন তা হয় ১) বৈদিক ২) পৌরাণিক ও ৩) তন্ত্র মতে। পৌরাণিক পূজো বহুলাংশেতন্ত্র দ্বারা প্রভাবিত। শুধু বেদ তন্ত্রের সকল রকম প্রভাব থেকে মুক্ত। কিন্তু সাধারণ মানুষ বৈদিক মতে পূজো করার সময়ও তন্ত্রের অনেক আচার অনুষ্ঠান অজান্তেই পালন করে। যেমন পূজোর আগে নিজের শুদ্ধিকরণের জন্য মন্ত্র বলতে হয়-- " ওঁ অপবিত্র পোবিত্রবা সর্বাবস্থাং গতপিবা যতস্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষ ইত্যাদি " যার মানে যাকিছু অপবিত্র সব পবিত্র হোক - বলে গঙ্গা জল ছিটিয়ে দেওয়া হয়। এটা আসলে তন্ত্রের মন্ত্র।

তন্ত্র সম্বন্ধে সাধারণ মানুষের মনে সংশয়ের কারণ হল তন্ত্র দর্শন ঠিক প্রণালীবদ্ধ ভাবে উপস্থাপিত করা ছিল না। বেদ, উপনিষদ, কোরাণ, বাইবেল সবই প্রথম থেকে প্রণালীবদ্ধ ভাবে বেধে দেওয়া আছে। তন্ত্রের পুরাণ যেমন খাপছাড়া তেমনি তন্ত্রের আচার বিচার গুলিও সুনির্দিষ্ট ভাবে লিপিবদ্ধ নয়। তন্ত্র সাধকেরা যে যার নিজের খুশিমতো নতুন নতুন আচারপ্রথা তন্ত্রের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। তাই সুনির্দিষ্ট ভাবে এটাই তন্ত্রের শেষ কথা বলার কোন উপায় নেই।

তন্ত্রের দ্বিতীয় সমস্যা হল, তন্ত্রের জন্ম কোথায় কিভাবে হয়েছে কেউ জানে না। এই ব্যাপারে বিভিন্ন পণ্ডিতের বিভিন্ন মত। তন্ত্রের যে সকল বই আমাদের হাতে আছে তাতে পণ্ডিতরা বলেছেন বেদ হল শেষ কথা। কিন্তু অন্যদিকে এটাও বলেন বেদ সর্বোচ্চ কিন্তু আমরা তার সমান। কারণ হিসাবে তারা বলেন বেদ ব্রহ্মার কথা, ব্রহ্মার মুখ থেকে বেরিয়েছে। আর তন্ত্র শিবের মুখ থেকে বেরিয়েছে। তাই তন্ত্র ও বেদ সমান। বেদ কবে লেখা হয়েছে, কবে সৃষ্টি হয়েছে তা জানার কোন উপায় নেই। তন্ত্রও তাই। তন্ত্রের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দেবতা হলেন শিব। শিব ছাড়া তন্ত্রের কল্পনা করা যায় না, যদিও বৈষ্ণবতন্ত্রে শিবকে কোন গুরুত্ব দেওয়া হয় নি, কিন্তু বাকি সব তন্ত্র মানেই শিবের কথা।

সংস্কৃতে যেকোন শব্দের একটা ধাতু থাকে, ধাতুটা হল উৎস। এই ধাতুর ব্যবহার ল্যাটিন ভাষাতেও আছে। ধাতুদিয়ে শব্দের অর্থকে বোঝা যায়। যেমন বেদ এসেছে বিদ্ ধাতু থেকে, বিদ্ মানে জানা, মানে জ্ঞান। তন্ত্রও ওই অর্থই হয়। জানা বা জ্ঞান, যেখান থেকে জ্ঞান জন্ম নিচ্ছে বা প্রসারিত হয়েছে। তন্ত্র শাস্ত্র অধ্যায়ন করলে জ্ঞানের উন্মেষ হবে। জ্ঞান শুধু জন্মই দেয় না, ওখান থেকে ঈশ্বর জ্ঞান প্রসারিত হয়, বাড়তে থাকে। অনেকের মতে তত্ত্ব আর মন্ত্রের সন্ধি হল তন্ত্র। মন্ত্র বিজ্ঞান দিয়ে যখন তত্ত্বজ্ঞান লাভ হয় তখন সেই বিষয়কে তন্ত্র বলা হয়। তার মানে তন্ত্রের দুটো খুব গুরুত্বপূর্ণ দিক, প্রথম হল মন্ত্র, মন্ত্র ছাড়া কখনই তন্ত্র হবে না। আর মন্ত্রের মূল কাজ হল তত্ত্বজ্ঞান দেওয়া। এখানে এসেইবাকি সব দর্শন, তন্ত্র থেকে আলাদা হয়ে যায়।

"কুলাচারং বিনা দেবি শক্তিমন্ত্রো ন সিদ্ধিদঃ। তস্মৎ কুলাচারতঃ সাধয়েচ্ছক্তিসাধনম্।" শিব বলেছেন, যতক্ষণ কুলাচার না করা যায় অর্থাৎ কৌল মতে যতক্ষণ সাধনা না করা হয় ততক্ষণ শক্তিমন্ত্রে সিদ্ধি হয় না। কুলাচারের মধ্যেই আছে পঞ্চ-মকার সাধনা। পঞ্চ-মকার মানে, মদ্য, মাংস, মৎস, মুদ্রা ও মৈথুন। এই পাঁচটি 'ম' দিয়ে যতক্ষণ না সাধনা করা হচ্ছে ততক্ষণ কুলাচার সাধন কখনই সম্পূর্ণ হয় না। পঞ্চ-মকার সাধনা প্রত্যেক সাধকের অবশ্যই করনীয়। মহানির্বানতন্ত্র অনেক পরের দিকের রচিত বলে অনেক কিছুকে আর মার্জিত করে পঞ্চ-মকার সাধনে অনেক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। বেদান্তের পঞ্চতত্ত্ব- আকাশ, বায়ু, তেজ, জল ও পৃথিবী এই পাঁচটা তত্ত্বকে মহানির্বানতন্ত্রে পঞ্চ-মকারের পাঁচটা জিনিষের সাথে জুড়ে দিয়েছে। এই কারণে তন্ত্রের দুটো পথ হয়ে গেছে। একটা পথে (বামাচার) তন্ত্রের সাধকরা আক্ষরিক অর্থেই পঞ্চ-মকার সাধনা করছে, মদ, মাংস, মাছ, চালভাজা, ছোলাভাজা, মেয়ে সামনে রেখে সাধনা করছে। আবার অন্য পথে (দক্ষিণাচার) পঞ্চ-মকার সাধনে পঞ্চতত্ত্বকে এই পাঁচটি দ্রব্যের বিকল্প রূপে প্রয়োগ করে পঞ্চ-মকার সাধনা করছে। যেমন আরতির সময় দীপ, বস্ত্র, শঙ্খের জল, পুষ্প ও চামর দিয়ে আরতি করছেন, এই পাঁচটাই হয়েগেল পঞ্চ-মকারের বিকল্প পঞ্চমহাভূত। এটাই মহানির্বাণতন্ত্রের বৈশিষ্ট। সেই জন্য শিব বলেছেন, " মদ্যং, মাৎস্যং তথা মৎস্যং মুদ্রা মৈথুনমেবচ। শক্তিপূজাবিধাবাদ্যে পঞ্চতত্ত্বং প্রকীর্ত্তিতম্।" এই পঞ্চ-তত্ত্ব ব্যাতীত শক্তিপূজা কখনই সম্বব নয়। এই পঞ্চ-তত্ত্ব ব্যাতীত শক্তিপূজা করলে সাধনা কোনদিন সফল হবে না। শিব বলেছেন "পঞ্চতত্ত্বং বিনা পূজা অভিচরায় কল্পতে। নেষ্টাসিদ্ধিভবেৎ তস্য বিঘ্নতস্য পদে পদে।" এই শ্লোকে শিব তন্ত্রের প্রাচীন যে পরম্পরা মত সেটাকে উল্লেখ করে বলেছেন পঞ্চ-মকার সাধনা না করলে ইষ্ট সাধন হবে না। সিদ্ধি তো হবেই না, তার সাথে সাথে পদে পদে বিঘ্ন আসবে।

চৈতন্য যে কোন ধর্মের প্রধান বিষয়। মানুষ যতই বুদ্ধিমান লোক হোক না কেন চৈতন্যের স্বরূপ ধারনা করতে পারবে না। চৈতন্য সত্ত্বার প্রকাশ মানে সেই চৈতন্য শক্তি। এই শক্তিকে ধরতে হলে মন্ত্র দিয়েই ধরতে হয়। তন্ত্র বলছে, মহাজাগতিক সমষ্টিরই ছোট্ট একটি রূপ হল কম্পন। যেমন বৈদ্যুতিক শক্তি হল একটা চৌম্বক ক্ষেত্র, সেখানে একটা কম্পন হচ্ছে। ঠিক তেমনি যখন বলছি ওঁ বা ক্লীং বা হ্রীং, এগুলোতেও একটা কম্পন হচ্ছে। তন্ত্রও তাই বলছে, মা হল বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের শক্তি। যখন মন্ত্রের হ্রীং উচ্চারণ করা হছে তখন সেই শক্তির একটা কম্পন হচ্ছে। এই স্পন্দনের সাহায্যে মূল স্পন্দনকে ধরে নেওয়া যায়। এটাই হল মন্ত্রের সংযোগ।

তন্ত্রের সব উপাচারের উদ্দেশ্য হল ভোগ আর অপবর্গ। যেখানেই কোন নিয়ম অনুসারে শারীরিক প্রক্রিয়া থাকবে সেটাই উপচার। মহানির্বানতন্ত্র বলবে যেখানে যোগ সেখানে ভোগ হয় না, আর যেখানে ভোগ সেখানে যোগ হতেই পারে না। কিন্তু তন্ত্রের বিশেষত্ব হল এখানে যোগ ও ভোগ একসাথে চলে। বেদান্ত মতে কেউ সাধনা করতে চাইলে প্রথমেই তাকে ভোগ ত্যাগ করতে বলা হয়। ফলে সাধারণ মানুষ সাধনা থেকে দশ হাত দূরে চলে যায়। তন্ত্রের বাধানিযেধ নেই। তন্ত্রে প্রথমেই বলা হয় সাধনা করতে। মনকে একাগ্র করতে। পরে ভোগের সামগ্রী ( মঞ্চ-মকার) সাধনার অনুমতিদেওয়া হয়। তাই তন্ত্রের প্রতি সাধারণ মানুষ আকৃষ্ট হয়। তন্ত্র এই ব্যাপারে খুবই খোলামেলা।

তন্ত্র সাধারণ মানুষের মনের মতন। তোমার কি কি ভোগ করার ইচ্ছা আমাকে বল, আমার কাছে এলে সব করার সুযোগ পাবে। এই ভোগকে আমরা পাল্টে দেব যোগের মধ্যে। এখান থেকেই তন্ত্রের সাধনা শুরু হয়। প্রথমে এই সব ভোগের আকর্ষণে অনেকেই সাধনাতে নেমে পড়ে, তারপর তন্ত্র সাধনার কঠোর অনুশীলন ও পরিশ্রমের জোয়াড়ে ভেসে যায় ভোগের লালসা। তন্ত্রের শদ্ধিকরণ এইখান থেকেই শুরু হয়। এতদিন যেই মনটা ভোগের মধ্যে পড়ে ছিল, সেই ভোগ থেকে মনটাকে টেনে নিয়ে এসে পরে ঐ জিনিষগুলোই তার সামনে দিয়ে চেষ্টা করা হবে তাকে যোগে কিভাবে নিয়ে যাওয়া হবে। ভোগাসক্ত মনটাকে এবার এমন ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে যাতে সে ধীরে ধীরে যোগের দিকে যেতে পারে। এটাই হল তন্ত্রের পদ্ধতি।

তন্ত্র জগত ও জগতের বাইরে যা কিছু সবটাকেই স্বীকার করে। এই ব্যাপারে তন্ত্রের সাথে ইসলাম ধর্মের মিল আছে। অন্য ধর্মের মতে "যারা গরীব তারাই স্বর্গ পাবে"। স্বামীজী এর প্রতিবাদে বলেন "আমি সেই ভগবান কে বিশ্বাস করি না যে ভগবান আমাকে এখানে একটা রুটি দিতে পারে না অথচ আমার মৃত্যুর পর আমাকে স্বর্গে নিয়ে যাবে।" তন্ত্রের মতে যোগ যতটা সত্য, ভেগটাও ততটা সত্য। কারণ, শক্তি সত্য। শক্তি যদি সত্য হয় তাহলে জগতটাও সত্য। জগত যদি সত্য হয় তাহলে ভোগ করাটাও সত্য। ভোগকরা যদি সত্য হয় তাহলে ভোগ করার ইচ্ছাটাও সত্য। আবার কেউ যদি ভোগ ত্যাগ করে অপবর্গের দিকে যেতে চায় তখন সেটাও সত্য। সবটাই সত্য হয়ে যাচ্ছে। স্বামীজী বার বার সেবার আদর্শের উপর জোর দিয়ে গেছেন। জগতটা যদি মিথ্যাই হয়, সৃষ্টি যদি মায়া হয় তাহলে সেবার প্রয়োজন কোথায়! তা নয়, শক্তি মতে জগতটা সত্য। সেইজন্য তন্ত্রমতে এই জগতে যা কিছু হচ্ছে সবটাই সত্য। তন্ত্র যখন জগতকে সত্যরূপে নিচ্ছে তখন জগতের সমস্যাগুলো সত্য। এই সমস্যাগুলকে মোকাবিলা করার জন্য তন্ত্রের উপাচারের বাহুল্যের শেষ নেই। তন্ত্রে যে কতরকমের উপাচার রয়েচে তা বলে শেষ করা যায় না। তন্ত্রের যে সাধারণ আচার উপাচার রয়েছে এর বেশিরভাগই হল শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের শুদ্ধিকরনকে নিয়ে। এছাড়া প্রাণায়াম, ন্যাস, শারীরিক ও মানসিক পূজা। এই উপাচারের সাথে সাথে স্নানের উপরেও খুব জোড় দেওয়া হয়েছে। মানুষের ধারনা তান্ত্রিকরা হাড় গোড় নিয়ে নুংরা হয়ে থাকে তা নয়। তন্ত্রে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার খুব গুরুত্ব। একানে তর্পণের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ এতে মনের শুদ্ধি ও তৃপ্তি আসে। এর পর ভূত শুদ্ধি ও ধ্যান। ধ্যানের দ্বারা ইষ্টের সাথে সাধকের একাত্মভাবটাকে জাগিয়ে দেওয়া হয়। এর পর হোম। নিজেকে উৎসর্গ করে দেওয়ার নামই হোম। হোমের পর সাধকের নিজস্ব সত্ত্বার কোন অস্তিত্ব থাকে না, ইষ্টের সাথে নিজের ব্যাক্তিত্ব এক হয়ে যায়। বেদের সাথে এর অনেক মিল আছে। বেদে যে যজ্ঞাদি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে করা হত, তেমনই তন্ত্রে পূজার সবকিছুকে উৎসর্গ করে দেওয়া হয়। হোম করা মানে নিজেকে ঢেলে দেওয়া আর যজ্ঞ করা মানে একটা বিশেষ কর্ম করা। এই যজ্ঞই পরবর্তী কালে হোমে রূপান্তরিত হয়ে গেছে।

বেদে প্রচুর আচার বিধি মেনে চলতে হত। মহানির্বানতন্ত্রে এক জায়গায় বলা হয়েছে তোমাকে ইষ্ট মন্ত্র দেওয়া হয়েছে, সেই ইষ্ট মন্ত্র জপ করে দিলেই সব শুদ্ধ হয়ে যাবে। আমরা যদি অজান্তেই কোন নোংরা কাজ করে ফেলি বা নোংরা কোনকিছুতে পা দিয়ে ফেলি তাহলে ইষ্ট মন্ত্র জপ করলেই শুদ্ধ হয়ে যাব।কিন্তু আচারি বৈদিক ব্রাহ্মণ যতক্ষণ না স্নান করবে বা মাথায় গঙ্গা জল নেবে ততক্ষণ নিজেকে শুদ্ধ বা পবিত্র মনে করতে পারবে না। তন্ত্র পুরো দৃষ্টিভঙ্গীকেই পাল্টে দিচ্ছে। তন্ত্র বাস্তবধর্মী ও সহজ। তন্ত্রকে যে যাই বলুক না কেন, তন্ত্রের সবকিছুই অত্যন্ত সরল। তন্ত্র সম্বন্ধে আমাদের অন্যরকম ধারণা থাকলেও কিন্তু সারা ভারত এই তন্ত্রদর্শনের উপরই চলছে। যত পূজা, দীক্ষাদি ও সাধনা সবই তন্ত্র মতে হচ্ছে। ইদানিং কালে ধর্মীয় যা কিছু হচ্ছে তন্ত্র, যোগ, বেদান্ত সব মিলে মিশে এক নতুন আকার নিয়েছে।

বেদের বৈশিষ্ট থেকে তন্ত্রের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হল তন্ত্র পুরপুরি পরীক্ষালব্ধ বিজ্ঞান, অর্থাৎ এখানে তত্ত্বের কিছু নেই, এখানে সব কিছু হাতেনাতে করতে হবে। আর যে, তন্ত্র অনুশীলন করবে সে নিজে নিজের জন্যই করবে। পরের দিকে এখান থেকে একটু সরে এসে তন্ত্রে পুজারী আর যজমানের প্রথা নিয়ে আসা হয়। কিন্তু ঠিক ঠিক যারা তন্ত্রের সাধনা করেন তাঁদের সাধনা পুরটাই (Experimental) এই Experiment করতে গিয়ে তাঁরা দুটো জিনিসকে কাজে লাগান একটি হল Use of Ritual দ্বিতীয়টি Use of Energy Work আমাদের শরীরের ভিতরে যে ভরপুর প্রাণশক্তি রয়েছে বা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে যে অফুরান্ত শক্তির খেলা চলছে, এনারা তাকে কাজে লাগান। তিথির সাথে পূজোকে এনারা যোগ করে দেন কারণ পূর্ণিমা, আমাবস্যা প্রভৃতি বিভিন্ন তিথিতে প্রকৃতির মধ্যে যে শক্তির তারতম্যের খেলা চলে সেটাকে তন্ত্রে কাজে লাগানোর জন্য। সাথে সাথে শক্তির ভিতরে যে প্রাণিক শক্তি চলছে সেটাকেও তন্ত্রের পূজাতে কাজে লাগান হয়।

তন্ত্রের মূল মন্ত্র 'হ্রীং' 'শ্রীং' 'ক্রীং'। 'ক্রীং' বীজমন্ত্রে যাঁরা সাধনা করেন তাঁদের প্রচুর ধন সম্পদ হয়। 'শ্রীং' বীজমন্ত্রে যাঁরা সাধনা করেন তাঁদের সব রকমের কাম উপলব্ধি হয়। 'হ্রীং' বীজমন্ত্রের সাধকের ধর্ম সাধন হয়। আর 'ওঁ' হল মোক্ষপ্রাপ্তির সাধনা। এখন কেউ যদি এই মন্ত্র জপ করে - " ওঁ হ্রীং শ্রীং ক্রীং পরমেশ্বরী স্বাহা "। এতে প্রথমে তাঁর পরমেশ্বরীর সাধনার সিদ্ধি হবে, তারপর ধনদৌলত হবে, এরপর সব রকমের কাম সাধন হবে আর ধর্ম সাধন হবে। ধর্ম সাধন হওয়া মানে, ইহলোক ও পরলোকে যতভাল গুণ আছে সব তাঁর মধ্যে এসে যাবে। আর 'ওঁ' সাধনা করছে বলে মোক্ষ পেয়ে যাবে। কিন্তু বেদান্তশাস্ত্রের অনেক জায়গায় বলা হয়েছে যে, ওঁ সাধনা করছে তার সব মনঃকামনা ও ইচ্ছা পূর্ণ হয়। শক্তিমতে আবার অন্যভাবে নিয়ে যাওয়া হয়। তন্ত্রমতে এই বীজমন্ত্রের প্রচণ্ড মাহাত্য ও ক্ষমতা। বলা হয় প্রণব আর বীজমন্ত্র যদি একসাথে থাকে তাহলে সেই মন্ত্র খুব শক্তিশালী হয়। তবে সব মন্ত্রই গুরুমুখে লাভ করতে হয়। গুরুমুখে না পেলে, গুরু শক্তিসঞ্চার না করলে কোন কাজ হয় না। 
*****************************************
যদি আপনাদের কোন উপকারে লাগে তাহলে
আপনাদের সামর্থমত সাহায্য করুন।



GPay / PhonePe
Amit Chakraborty
No. 9830637766

******************************************