বুধবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৮

রাশিফল (কার্তিক ১৪২৫)




রাশিফল (কার্তিক ১৪২৫)

জ্যোতিষ দেবজ্ঞ অমিতশ্রী।
Call : 9830637766


কার্তিক মাসে রবি বৃশ্চিক রাশিতে বিরাজ করে। বৃশ্চিক রাশি রাশিচক্রের অষ্টম স্থান। বৃশ্চিক রাশির অধিপতী মঙ্গল সৈনিকগ্রহ। বৃশ্চিক রাশিতে আবার চন্দ্র নীচস্থ হয়। শেষের দিকে মঙ্গল কুম্ভ রাশিতে প্রবেশ করবে।

মেষরাশিঃ মেষরাশির জন্য এই মাসটা শুভ নয়। আর্থিক ক্ষতির সম্ভোবনা আছে। বৃহস্পতি অশুভ হওয়ায় ভাগ্য সাথ দেবে না। রোগব্যাধির প্রকোপ বাড়বে।

বৃষরাশিঃ বৃষরাশির আয় উন্নতি বাড়বে। ব্যাবসার শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে। নতুন কর্মলাভ জতে পারে। কর্মক্ষেত্রে যোগাযোগ বাড়বে। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়েও শুভ প্রভাব পড়বে। প্রেমের বা বিবাহের সম্ভোবনা দেখা দিতে পারে।

মিথুনরাশিঃ আগুন হতে সাবধান। আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে বিরোধ হতে পারে। মাসের শেষের দিকে শারিরীক সমস্যা কমবে। কর্মপ্রাপ্তির সম্ভবনা আছে।

কর্কটরাশিঃ মাসের শেষের দিকে শারিরীক সমস্যা বাড়বে। রক্ত সংক্রান্ত সমস্যা বাড়বে। অস্থিভঙ্গের যোগ আছে। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হবে।

সিংহরাশিঃ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই মাসের বেশিটা সমস্যায় কাটলেও শেষের দিকে সময়টা আপনার অনুকূলে আসবে এবং প্রেম ও বিয়ের সম্ভবনা দেখা দিবে।

কন্যারাশিঃ এই সময়টা বিশেষ শুভ নয়। নানা দিক দিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে।

তুলারাশিঃ এই সময় তুলা রাশির জাতক-জাতিকা হীনমন্যতা বা ডিপ্রেশনে ভুগবে। আর্থিক যোগান ঠিকঠাক থাকলেও মানসিক বল ভেঙে যাবে।

বৃশ্চিকরাশিঃ বৃহস্পতির উপস্থিতি এই রাশিকে বলবান করেছে। এই সময় বিদেশ যাত্রার সুযোগ আসতে পারে। তবে বিয়েতে বাধা আসতে পারে।

ধনুরাশিঃ শরীর নিয়ে চিন্তার কারণ আছে। হঠাত আঘাত প্রাপ্তি ও দুর্ঘটনার সম্ভবনা আছে। তেমন আর্থিক উন্নতি নেই।

মকররাশিঃ কর্মক্ষেত্রে শুভ প্রভাব থাকলেও দাম্পত্য কলহ থাকবে। জীবনের সঞ্চয় বাস্তব রূপ পাবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভবনা আছে।

কুম্ভরাশিঃ ব্যয় বাড়বে। কর্মপ্রাপ্তির যোগ আছে। শেষের দিকে শারিরীক অসুস্থতা বাড়বে। বিলাসিতায় অর্থ নষ্ট হতে পারে।

মীনরাশিঃ ভাগ্য সুপ্রসন্ন বলা চলে। কর্মে সামান্য জটিলতা ও পরিশ্রম থাকলেও তেমন কোন সমস্যা হবে না। তবে প্রেম ও বিয়েতে বাধা আসতে পারে।

বুধবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৮

#নবরাত্রি





নবরাত্রির প্রতিদিনের আরাধ্য দেবী ও তাঁর মন্ত্র।

১ম দিন- মা শৈলপুত্রী
ওম্ হ্রীং শ্রী শৈলপুত্রী দুর্গায়ৈ নমঃ।।

২য় দিন- মা ব্রহ্মচারিণী
ওম্ হ্রীং শ্রী ব্রহ্মচারিণী দুর্গায়ৈ নমঃ।।

৩য় দিন- মা চন্দ্রগন্ধা
ওম্ হ্রীং শ্রী চন্দ্রগন্ধা দুর্গায়ৈ নমঃ।।

৪র্থ দিন- মা কুশমুণ্ডা
ওম্ হ্রীং শ্রী কুশমুণ্ডা দুর্গায়ৈ নমঃ।।

৫ম দিন- মা স্কন্দ
ওম্ হ্রীং শ্রী স্কন্দমাতা দুর্গায়ৈ নমঃ।।

৬ঠ দিন- মা কাত্যায়নী
ওম্ হ্রীং শ্রী কাত্যায়নী দুর্গায়ৈ নমঃ।।

৭ম দিন- মা কালারাত্রি
ওম্ হ্রীং শ্রী কালারাত্রি দুর্গায়ৈ নমঃ।।

৮ম দিন- মা মহাগৌরী
ওম্ হ্রীং শ্রী মহাগৌরী দুর্গায়ৈ নমঃ।।

৯ম দিন- মা সিদ্ধিদাত্রী
ওম্ হ্রীং শ্রী সিদ্ধিদাত্রী দুর্গায়ৈ নমঃ।।

নয় দিন ধরে মায়ের এই নব রূপের আরাধনা করলে কোন কিছুই তার পথের বাধা হতে পারে না। সে হয়ে ওঠে অজেয়, অমর। অমর এখানে নিরোগ দেহ বোঝায়। পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি দেখা দেয়।

এবার আসি সন্ধিপূজার কথায়। অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষনে হয় সন্ধিপূজো। ঐ সময় পূজোর শেষে ঘট থেকে একটি পদ্মফুল নিয়ে এসে লাল শালুতে মুড়ে ঠাকুরের আসনে রেখে দিলে আগামী একবছর সকল সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। ঘরে কোন অশুভ শক্তি প্রবেশ করতে পারে না। ঘর হয় রোগমুক্ত ও শান্তির।



জ্যোতিষ দেবজ্ঞ অমিতশ্রী।
৯৮৩০৬৩৭৭৬৬

শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

#রাশিফল (আশ্বিন ১৪২৫)




রাশিফল (আশ্বিন ১৪২৫)

জ্যোতিষ দেবজ্ঞ অমিতশ্রী।
Call : 9830637766


আশ্বিন মাসে রবি কন্যা রাশিতে বিরাজ করে। কন্যা রাশি রাশিচক্রের ষষ্ঠস্থান। কন্যা রাশির অধিপতী বুধ, বালক গ্রহ বা বুদ্ধির কারক গ্রহ। কন্যা রাশিতে বুধ তুঙ্গে থাকে। এই মাসে রাশিচক্রে একটা বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ১১ই অক্টোবর ২০১৮তে রাত সারে আটটা নাগাদ বৃহস্পতি তুলারাশি ছেড়ে বৃশ্চিকরাশিতে প্রবেশ করবে।

মেষরাশিঃ মেষরাশির মাসটা মোটামুটি ভালো গেলেও ১১ই অক্টোবরের পর আর্থিক ক্ষতির সম্ভোবনা আছে। ভাগ্য সে সময় সাথ দেবে না।

বৃষরাশিঃ বৃষরাশির আয় উন্নতি বাড়বে। কর্মক্ষেত্রে যোগাযোগ বাড়বে। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়েও শুভ প্রভাব পড়বে। শেষের দিকে ব্যবসায় উন্নতি লখ্য করা যায়। প্রেমের বা বিবাহের সম্ভোবনা দেখা দিতে পারে।

মিথুনরাশিঃ যানবাহন বা সম্পত্তি লাভ হতে পারে।
কর্মপ্রাপ্তির সম্ভবনা আছে। শেষের দিকে ভাগ্য সাথ না দেওয়ায় সমস্যায় পড়তে পারেন।

কর্কটরাশিঃ আয় বৃদ্ধি পাবে। পারিবারিক সমস্যা কিছুটা মিটবে। বিদ্যায় শুভ ফল লাভ হবে। কর্মপ্রাপ্তির সম্ভবনা থাকছে। সুদিন আসছে বলা যায়।

সিংহরাশিঃ এই মাসের বেশিটা সমস্যায় কাটলেও শেষের দিকে সময়টা আপনার অনুকূলে আসবে।

কন্যারাশিঃ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভবনা আছে। ১১ই অক্টোবরের পর কর্মক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আসতে পারে। প্রয়োজনীয় কাজ যথাসময়ে শেষ করুন।

তুলারাশিঃ কর্মক্ষেত্রে শুভ প্রভাব থাকবে। শেষের দিকে কিছু আর্থিক ক্ষতির সম্ভোবনা আছে। নিকট আত্মীয়ের সথে সম্পর্কের অবনতী হবে।

বৃশ্চিকরাশিঃ ব্যয় বৃদ্ধি পেলেও মাসের শেষের দিকে আয় ব্যয়ের সমতা রক্ষা পাবে। শরীর স্বাস্থ্য ভালো যাবে।

ধনুরাশিঃ চাকুরী প্রাপ্তির যোগ রয়েছে। এমাসে যথেষ্ট সঞ্চয়ের যোগ আছে।

মকররাশিঃ আর্থিক উন্নতি লখ্য করা যায়। দাম্পত্যকলহ থাকবে। রোগ মুক্তির সম্ভোবনা আছে। কর্মক্ষেত্রে শুভ প্রভাব থাকবে।

কুম্ভরাশিঃ পতি/পত্নীর স্বাস্থহানী এমনকি মৃত্যু পর্য্যন্ত হতে পারে। ব্যবসায় ক্ষতি। অন্যান্য দিকে শুভ ফল আশা করা যায়। কর্মপ্রাপ্তির সম্ভবনা আছে।

মীনরাশিঃ দাম্পত্য কলহ এমন কি বিচ্ছেদও অসম্ভব নয়। ১১ই অক্টোবরের পর সমস্যা অনেকটাই কেটে যাবে। এবং সেই সময় ভাগ্য আপনার আজ্ঞাবহ হবে।



সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

দেবীর আগমন ও প্রত্যাবর্তন



শিউলীর মিষ্টি গন্ধ, কাশফুলে ঢাকা মাঠ, এসেগেলো বাঙ্গালির সবচেয়ে প্রিয় দুর্গোৎসব। ঢাকে কাঠি পড়তেই বাঙ্গালি মেতে ওঠে, বাপের বাড়িতে মেয়ে আসলে ঠিক যেমনটি হয়; তেমনই। ষষ্ঠীতে অধিবাসের পর সপ্তমীতেই দেবী প্রবেশ করেন পিতৃগৃহে। এবছর দেবী দুর্গা আসছেন অশ্ব বা ঘোটকে। ফিরে যাবেন দোলায় বা পালকিতে।

নিজের বাহন থাকতেও প্রতিবছর দেবী দুর্গা চারটি বাহনে ভর করে আসেন ও যান। এই চারটি বহন হল- গজ/হাতি, অশ্ব/ঘোটক, দোলা/পালকি এবং নৌকা। বার অনুযায়ী এই বাহনগুলি নির্ধারিত হয়েছে। যেমন-
রবি ও সোমবার- গজ বা হস্তি।
মঙ্গল ও শনিবার - অশ্ব বা ঘোটক।
বুধবার - নৌকা।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার - দোলা বা পালকি।

দেবীর বিভিন্ন বাহনে আগমন ও গমন এর ফলাফল-
১. হস্তী বা গজ : অত্যন্ত শুভ প্রতীক। যে বছর হস্তীতে আগমন হয় দেবীর সেই বছর তাঁর আশীর্বাদে মানবজীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
২. নৌকা: নৌকায় যে বছর আসেন দেবী, সেই বছর বন্যার পাশাপাশি কৃষি-সমৃদ্ধিও দেখা দেয়।
৩. দোলা বা পালকি : দোলায় আগমনও ক্ষতিকর। কারণ দোলায় আগমন হলে, সেটি নানান রোগ ও মহামারীর ইঙ্গিত বহন করে। সেই বছর মহামারীতে সমাজ ভুগবে বলে আশঙ্কা করা হয়। তাই শাস্ত্রীয় মতে, সবাই সবার পাশে থাকলে, তবেই এই পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।
৪. অশ্ব বা ঘোটক: দেবীর অশ্ব বা ঘোটকে আগমন এক ঘোরতর সর্বনাশের  ইঙ্গিত দেয়। এককথায় ছত্রভঙ্গম।

যেহেতু সপ্তমিতেই দেবীর পিতৃগৃহে প্রবেশ ধরা হয় তাই সপ্তমি যেই বার হবে সেই বারের নির্ধারিত বাহনেই তার আগমন ঘটবে। দশমীর বার অনুযায়ী নির্ধারিত হবে তার প্রস্থানের বাহন। এবছর ১৪২৫ সালে অর্থাৎ ২০১৮তে সপ্তমি ১৬ই অক্টোবর মঙ্গলবার। তাই দেবী আসছেন অশ্ব বা ঘোটকে। এবং দশমী ১৯শে অক্টোবর শুক্রবার। অর্থাৎ দেবী বিদায় নেবেন দোলা বা পালকিতে।

বার অনুযায়ী বাহন নির্ধারনে একটা জিনিষ স্পষ্ট যে, শনি ও মঙ্গলবার যাত্রা (ঘোটক) অশুভ। রবি ও সোমবার যাত্রা (গজ) শুভ। বুধবার যাত্রা (নৌকা) মধ্যম। কথায় আছে 'মঙ্গলে উষা, বুধে পা যথা ইচ্ছা তথা যা'। মঙ্গল পার করে বুধের উষাকলে যাত্রাও শুভ হয়।
এবং বৃহস্পতি ও শুক্রবারও যাত্রা (দোলা) তেমন শুভ হয় না।

এখানে একটা কথা অনস্বীকার্য, ঘোটকে আগমনের আগাম ফল আমরা পেতে শুরু করেছি। মৃত্যু, হানাহানি ইত্যাদি। দোলায় গমনের ফলে আসবে মহামারি। এখন আমাদের আরও সংঙ্গবদ্ধ হতে হবে যে কোন কঠিন পরিস্থিতির মোকেবেলায়।

বৃহস্পতিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৮


১) পান অভিমন্ত্রিত করে বশীকরনঃ-

হরে পান হরিয়ালে পান।। চিকনী সুপারী শ্বৈত খৈর।। দাহিনে কর চুনা।। মোহি লেয় পান।। হাথ মে দে।। ঞাথ রস দে।। এ পেট মে ইয়া।। পেট রস লে।। শ্রী নরসিংহ বীর।। থারী শক্তি।। মেরী ভক্তি। ফুরো মন্ত্র।। ঈশ্বর মহাদেব কী বাচা।।

       উপরি লিখিত মন্ত্র একটি সতেজ পানে অভিমন্ত্রিত করে কোন নারীকে খেতে দিলে উক্ত নারী সাধকের বশ হবে। আগে মন্ত্রটি বিধি অনুযায়ী সিদ্ধ করে নিতে হবে। তারপর ৭বার বা ২১বার অভিমন্ত্রিত করতে হবে।

২) দ্রুত বশ করার মন্ত্র। এই মন্ত্রটিকে আগে বিধিমত জপ করে সিদ্ধ করে নিতে হবে। পরে কোন নারীকে উদ্দেশ্য করে ৭বার বা ২১বার জপ করলে কার্য্য সিদ্ধ হবে।

মন্ত্রঃ-  ওঁ কামদেবায় কামবশম কামবশম করায় অমুকস্য হৃদয়ম স্তম্ভয়।

৩)   (এটি একটি স্বয়ংসিদ্ধ মন্ত্র)
ওঁ নমো নমঃ বিশানী রূপ ত্রিশূলে
খড়্গহস্তে সিংহারুরে (অমুকং) মে
বশমাগচ্ছ বশমাগচ্ছ কুরু কুরু স্বাহা।।

উক্ত মন্ত্রটি একটি স্বয়ংসিদ্ধ মন্ত্র যা সিদ্ধ করার কোন প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র এই মন্ত্র পড়েই যেকোন নারীকে বশ করা যায়।

৪) সাময়িক ভাবে কোন পুরুষ বা নারীর যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির মন্ত্রঃ-
মাকরান, মাকরান, জাবরান জাবরান,
হুবাহু কুস্তুরে হায়্যুল হায়্যুল মাকজাল।

       উপরিউক্ত মন্ত্র প্রথমে ১২৩৩ বার জপ করে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এর পর কোন খাদ্যদ্রব্যের উপর ২১ বার অভিমন্ত্রিত করে কোন পুরুষ বা মহিলাকে খেতে দিতে হবে। এই বিশেষ বশীকরন কেবলমাত্র ১ঘন্টা কার্য্যকারী থাকে। এর মধ্যেই আপনাকে আপনার কার্য্য সিদ্ধ করে নিতে হবে। অন্যথায় এই মন্ত্রের কোন সুফল পাওয়া যাবে না।

৫) নারী ও পুরুষ বশীকরনের আর একটি শক্তিশালী মন্ত্র। এটি একটি সাবর মন্ত্র ও অত্যন্ত প্রাচীন। সাবর মন্ত্র উচ্চারণ সহজ হলেও অনেক সময় মনে হয় মন্ত্রে কোথাও ভুল আছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই সাবর মন্ত্র কোনরকম পরিবর্তন না করেই উচ্চারণ করতে হয়। সাবর মন্ত্র স্বয়ং সিদ্ধ তাই একে সিদ্ধ করতে হয়না।

কামরুপদেশ কামাক্ষা দেবী।
তহা বসে ইস্মায়ল। যোগী নে।
দীস্থা বীড়, পহলা বীড়া।
আতো জাতী, দূজা বীড়।
দিখাবে ছাতীং তীজা বীড়া।
অঙ্গ লিপটাই ফুরে মন্ত্র। ঈশ্বরো বাচা।
দুহাই গুরু গোরখনাথ কী।

৬) চুল দিয়ে নারী বশীকরণ। কোন নারীর চুল নিয়ে এসে নিম্নলিখিত মন্ত্র ২১ বার পাঠ করে সেই চুল আগুনে পুড়িয়ে তা কোন কবচে ভরে নিজ হাতে ধারণ করলে উক্ত নারীকে বশ করা যায়। মন্ত্রটি আগে বিধীমত জপ করে সিদ্ধ করে নিতে হবে।

ওম কঙ্কালী, মহাকালী, কেলি কলা ভ্যাঙ্গে স্বাহা।

৭) সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার সময় নিজ হাতের কড়তল দর্শন করে নিন্মোক্ত মন্ত্র পাঠ করলে প্রচুর অর্থ অর্জন করা যায়।

করাগরে বসতি লক্ষী, করমোধ্য সরস্বর্তী
করমূলে তু গোবিন্দ, প্রভাতে কর দর্শনম।।

Late Marriage / বিবাহ বিলম্ব



বিবাহ এক সামাজিক বন্ধন বা প্রথা, যা শুধু দুটি মানুষের মধ্যে নয় দুটি পরিবারে মধ্যেও নিবীঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলে। পূর্বে বাল্যকালে বিবাহ দেওয়ার প্রচলন ছিল ঠিকই কিন্তু আধুনা সরকার নির্ধারিত বয়সের পরেই বিবাহ দেওয়ার অধিক প্রচলন। অনেক সময় দেখা য়ায যে, বিবাহের বয়স অতিক্রম করা স্বত্বেও অনেকের বিবাহ হয় না। বিশেষ করে এই সমস্যা মেযেদের বা তাঁর পরিবারকে বেশী পোহাতে হয়।
বিবাহ বিলম্বের বা বিবাহ একেবারেই না হওয়া বা বিবাহ বিচ্ছেদের অনেক রকম কারণ আছে। আমরা এখানে সেই জটিলতায় যাব না। রাশিচক্রের কোন অবস্থানের জন্য এই ধরণের সমস্যা আসতে পারে বা এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় কি সেই নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা।
রাশিচক্রের সপ্তমস্থান বা কালপুরুষের সপ্তমস্থান হল তুলা রাশি বা শুক্র গ্রহ। সপ্তমস্থান থেকেই জাতক জাতিকার বিবাহ বিচার করা হয়। দাম্পত্য জীবনে যেহেতু যৌনতার সমাদর রয়েছে সেহেতু বিবাহ বিচারে শুক্রকে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়। আবার শুক্র সৌখিনতার কারক গ্রহ। তাই জীবনে সুখ ও শান্তি পেতে এর শুক্রকে বলবান হতেই হয়।
আবার মঙ্গল যোদ্ধা গ্রহ হলেও মেয়েদের বিবাহের জন্য মঙ্গলকে বিশেষ প্রধান্য দেওযা হয়। মঙ্গল হল কালপুরুষের লগ্ন ও অষ্টমভাবাধীপতি।তাই এই মঙ্গল নারীদেহকে প্রভাবিত করে। মঙ্গলের শুভ প্রভাব বিয়ের আকাঙ্খা জাগ্রত করে। আবার এই মঙ্গল যদি লগ্ন(১), চতুর্থ(৪), সপ্তম(৭), অষ্টম(৮) ও দ্বাদশ(১২) স্থানে অবস্থান করে তাহলে জাতক বা জাতিকার ভৌম্যদোষ দেখা দেয়। এটি একটি অশুভ যোগ। শাস্ত্রমতে রাশিচক্রে এই যোগ থাকলে জাতক জাতিকার বিবাহে বিড়ম্বনা দেখা দেয়, বা বিবাহে অহেতুক দেড়ি হয় বা বিবাহই হয় না। যদিও কখনো হয় বিবাহিত জীবন সুখের হয় না। দাম্পত্য কলহ, অশান্তি, বিচ্ছেদ এমন কি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোন একজনের মৃত্যু পর্য্যন্ত হতে পারে।
শনি নৈসর্গিক অশুভ গ্রহ হলেও বিবাহে এর বেশ অবদান রয়েছে। ইদানিংকালে শনিকে অনেক সময় বিবাহের ঘটক হিসাবে কাজ করতে দেখা যায়। শনির দশা বা অন্তর্দশায় বিবাহের যোগ লক্ষ্য করা যায়। আবার শনি রাশিচক্রের দ্বিতীয়ে অবস্থান করলে বিবাহে বিলম্ব দেখা দেয় বা বিবাহই হয় না।
লগ্নপতি বা সপ্তমপতি যদি শুভ ভাবে থাকে এবং লগ্ন বা সপ্তমে যদি কোন গ্রহ শুভভাবে অবস্থান করে তবে জাতক বা জাতিকার বিবাহিত জীবন অত্যন্ত সুখের হবে। কিন্তু যদি ভাবপতি অশুভ ভাবে থাকে বা লগ্ন বা সপ্তমস্থান কোন অশুভ গ্রহ দ্বারা প্রভাবিত হয় তাহলে বিবাহিত জীবন সুখের হয় না। এখানে যেমন বিবাহে নানা রকমের বাধা আসতে পারে তেমনি জীবনে নানা রকমের সমস্যাও আসতে পারে।
বিবাহের সঠিক অনুমানের জন্য নবাংশচক্র বা সাথীচক্র খুব ভালকরে বিচার প্রয়োজন। উপরে উল্লিখিত সমস্ত রকমের বিচার নবাংশচক্রের নিরিখে পুনরায খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
যদি বিবাহে বিলম্ব দেখা দেয় বা বিবাহ ঠিক হয়ে গিয়েও ভেঙ্গে যায় অথবা বিয়ের জন্য যথেষ্ট সম্বন্ধ না আসে তাহলে নিম্নে দেওয়া টিপস ও টোটকাগুলো প্রয়োগ করে দেখে নিতে পারেন।

১) নিজ হাতে পায়েস রান্না করে শিব মন্দিরে ভোগ হিসাবে দিন ও নিজেরা সেই প্রসাদ গ্রহণ করুন। দেখবেন বিয়ের বাধা কাটবে।
২) কাঁচা হলুদ মিশ্রিত জলে প্রতিদিন স্নান করুন।
৩) তুলসি গাছে জাফরাণ জল প্রতিদিন ঢালুন।  
৪) চার সপ্তাহ বা ষোল (১৬) সোমবার শিবের ব্রত করা যেতে পারে। সারাদিন উপবাস থেকে দেবী পার্বতীর মত নিজেকে সাজিয়ে পবিত্র মনে শিব / পার্বতীর মন্দিরে গিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে শীঘ্র বিয়ের সংকল্প বা মনোষ্কামনা করে পূজো দিয়ে শিব-পার্বতীকে স্বাক্ষী করে আঁচলে গিঁঠ বাধলে শীঘ্র বিয়ে হবে এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।
৫) লাল শাড়ি, চুড়ি ও সিন্দুর শিব মন্দিরে পার্বতীর উদ্দেশ্যে উপহার দিলেও বিবাহ বাধা কাটে।
৬) বাড়িতে খরগোস পুষে তাকে নিয়মিত নিজ হাতে খাওয়ালেও বিবাহের যোগ সৃষ্টি হয়।
৭) অবিবাহিত কন্যাকে তার অজান্তে তাজা জবা গাছের ডাল দিয়ে আচমকা আঘাত করলে কন্যার শীঘ্র বিবাহের সম্ভবনা দেখা দেয়।
৮) দুর্গাপুজা, কালিপূজা, লক্ষীপূজা, বাসন্তিপূজা বা অন্নপূর্ণাপূজার পর বিসর্জনের সময় দেবী মূর্ত্তি বেদী থেকে তোলা মাত্র যদি অবিবাহিত কোন কন্যাকে সেই বেদীতে জোড় করে তার অজান্তে ঠেলে বসিয়ে দেওয়া হয়, বছর ঘুরতে না ঘুরতে তার বিবাহ হয়ে যায় এতে কোন সন্দেহ নেই।
৯) রুপোর বাঁশি তৈরী করে রাধা-কৃষ্ণের মন্দিরে দান করতে হবে। রাধা-কৃষ্ণের মূর্ত্তি বা ফটো পূর্বদিকের দেওয়ালে ও ময়ূরের পালক দক্ষিণ-পূর্ব কোণে ঝোলাতে হবে। এতে বিবাহ ভাঙবে না এবং দ্রুত্র বিবাহ সম্পন্ন হবে। এখানে একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, বিবাহ হয়ে গেলে অষ্টমঙ্গলায় বর-বধু আসার আগেই সেই মূর্ত্তি ও পালক সরিয়ে ফেলতে হবে বা কোন মন্দিরে দান করে দিতে হবে। এই টোটকাটি অত্যন্ত ফলপ্রসু ও বহুজন দ্বারা পরীক্ষিত।
১০) যদি দেখা যায় বিয়ের কোন সম্বন্ধ আসছে না বা খুবই কম আসছে তাহলে প্রতি বৃহস্পতিবার হলুদ রঙের কোন নতুন পোষাক এবং শুক্রবার সাদা রঙের কোন নতুন পোষাক কন্যাকে পারাতে হবে। এইভাবে চার(৪) সপ্তাহ পালন করলে সম্বন্ধ আসা শুরু হবে। কোন সম্বন্ধ এলে তখন আবার নতুন কাপড় পরিয়ে কন্যাকে পাত্রের সামনে উপস্থিত করতে হবে। দেখবেন কথা পাকা হয়ে যাবে। যদি এতেও না হয় তাহলে পুনরায় একইভাবে চার(৪) সপ্তাহের ব্রত পালন করতে হবে।
১১) যখন বিয়ের জন্য কোন পাত্র নিজে কোন পাত্রীকে দেখতে আসবে তখন কন্যাকে চুল খোলা রেখে আনন্দ সহকারে পাত্রের সামনে বসাতে হবে এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার তাকে খেতে দিতে হবে। এতে পাত্রের মন নরম হবে এবং বিয়েতে সম্মতি দেবে।
১২) বহু ব্যবহৃত হওয়া কোন পুরান তালা (বন্ধ অবস্থায়) কোন অবিবাহিত মেয়ের মাথার উপর দিয়ে তার বিয়ের কথা চিন্তা করতে করতে সাত(৭)বার ঘুরিয়ে কোন চৌরাস্তার মোড়ে ফেলে দিয়ে আসতে হবে। ফেলার পর আর পিছনে ফিরে দেখা যাবে না। খেয়াল রাখতে হবে যাতে তাকে কেউ দেখতে না পারে। তাই এই সকল কাজ অত্যন্ত ভোরে করাই বাঞ্ছনিয়। সম্পূর্ণ কার্য্য সঠিক ভাবে করতে পারলে নিশ্চিতভাবে বিবাহ সম্পন্ন হবে বলে মনে করা হয়।
১৩) বিবাহ অনুষ্ঠান হচ্ছে এমন কোন বাড়ি থেকে যদি পাত্র বা পাত্রীর গায়ের হলুদ  লুকিয়ে নিয়ে এসে বিয়ে হচ্ছে না এমন কোন পাত্র বা পাত্রীর গায়ে লাগান যায় তাহলে নিশ্চিতভাবে বলা যায় তাদের শীঘ্র বিয়ে হয়ে যাবে। এটি বহুজনপরীক্ষিত ও প্রাচীন।
১৪) কুমোরেরা হাঁড়ি, পাতিল তৈরী করার সময় যে, ডান্ডা বা লাঠি ব্যবহার করে, সেই লাঠি বা ডান্ডা লুকিয়ে বা অর্থ ও ফল মিষ্টির বিনিময়ে নিয়ে এসে অবিবাহিত নারীর বিছানায় মাথার নিচে রেখে দিলে দ্রুত বিয়ের সম্ভবনা দেখা দেয়।
১৫) নবরাত্রীর প্রথম দিন বা দুর্গাপূজো বা বাসন্তিপূজোর ঘট স্থাপনের দিন নিজের বয়সের সমান লবঙ্গ একটা লাল সূতোয় মালার মতো বেধে দেবতার পায়ে অর্পণ করার পর পূজো শেষে তা কোন প্রবাহিত জলে বিসর্জন দিলে বিবাহের সম্ভবনা দেখা দেয়।




রাশিচক্রে বিবাহের বাধা কাটানোর কয়েকটি বিশেষ উপায়ঃ-
১) ১৫ থেকে ২০ রতি রক্তপ্রবাল ধারণ করা যেতে পারে।
২) ৪ থেকে ৬রতি পোখরাজও ধারণ করা যেতে পারে।
৩) ৩মুখী রুদ্রাক্ষ মঙ্গলের জন্য এবং ৯মুখী রুদ্রাক্ষ দেবী দুর্গার ধারণেও বিয়ের জন্য উপকারী।
৪) প্রজাপতী কবচ বা গৌরি কবচ ধারণে অসাধারণ শুভ ফল লাভ করা যায়। এব্যাপারে জানিয়ে রাখা ভাল যেকোন অভিজ্ঞ তান্ত্রীক বা কোন বৈদিক পণ্ডিত-এর কাছ থেকেই এই ধরণের কবচ বানানো যেতে পারে। তবে কবচ ধারণে বিশেষ কিছু বিধি নিয়ম রয়েছে।

বাস্তুগত কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমেও বিবাহ তরান্বিত করা যায়।
১) যে নারীর বিবাহ হচ্ছে না তাকে ঘরের উত্তর-পশ্চিম কোনে বা বায়ুকোনে যে কক্ষ আছে সেই কক্ষে উক্ত নারীর থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। বিবাহযোগ্য নারীর রুম বায়ুকোনে হলে তার বিবাহ শীঘ্র হওয়ার সম্ভবনা দেখা দেয়।
২) অনেক সময় দেখা যায় আমাদের বাড়ি বহু পুরান বিয়ের নিমন্ত্রণের কার্ড-এ ভরে থাকে। হতে পারে তার মধ্যে কিছু কার্ড নতুন বা যে সব কার্ডের বিয়ের তারিখ এখনও আসে নি। আবার কিছু কার্ড বহু পুরানো। কার্ড নতুন হোক বা পুরানো কার্ডটি পরার পর তার ছিঁড়ে জলে ফেলে দেওয়া খুবই জরুরী। এই পুরানো কার্ড আপনার ঘরের সম্ভাব্য বিবাহ আঁটকে দিতে পারে। তাই পুরানো কোন কার্ড কখনোই ঘরে জমাবেন না।
৩) বায়ুকোনে মেয়ের ঘরে শিব-পার্বতী বা রাধা-কৃষ্ণের যুগল মূর্তিই রাখতে হবে। একা রয়েছেন এমন কোন দেব দেবীর ছবি বা মূর্ত্তিও রাখা যাবে না।



অনেক সময় দেখা যায় পাত্র ও পাত্রী উভয়ে বিয়ের জন্য প্রস্তুত থাকলেও তৃতীয় কোন পক্ষের অপছন্দে বিবাহ ভেস্তে যেতে বসে। সেই সকল ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত যন্ত্রের সাহায্যে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৫৭০৫
৫৭০৯
৫৭১২
৫৭৯৮
৫৭১১
৫৭৯৯
৫৭০৮
৫৭১০
৫৭০০
৫৭১৪
৫৭০৭
৫৭০৩
৫৭০৮
৫৭০২
৫৭০১
৫৭১৩


উপরের উল্লিখিত যন্ত্রটি সাদা কাগজে বা ভূর্জপত্রে কস্তুরি ও কেশর মিশ্রিত জাফরান-এর কালি দিয়ে (সম্ভব না হলে সাদা কাগজে লাল রঙের জেল পেন দিয়ে লিখে নিতে পারেন)লিখে কোন সোনা বা রূপার তাবিজে ভরে মেয়েরা বাম হাতে বা গলায় লাল সুতো বা সোনা / রূপার চেনে মঙ্গলবার বা শনিবার ধারণ করতে পারেন।


বিবাহের বাধা দূর করার আর কয়েকটি অমোঘ তন্ত্রের প্রতিকার জানতে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বিবাহের পূর্বে ও পরে বইটি সংগ্রহ করুন অথবা আমাদের ফোন করুনঃ-

Phone : 8697190840 / 9830637766
www.digdarshan.org 

রবিবার, ৫ আগস্ট, ২০১৮

কৌশিকী অমাবস্যা # Kaushiki Amabashaya





২৩শে ভাদ্র রবিবার ১৪২৫ সাল (ইং- ৯ই সেপ্টেম্বর ২০১৮) কৌশিকী অমাবস্যা ৷ এই অমাবস্যার আরেক নাম তারা রাত্রি৷ শাস্ত্রকারেরা মনে করেন শুধু হিন্দু শাস্ত্রে নয়, বৌদ্ধ শাস্ত্রেও তন্ত্র সাধনার জন্য এই অমাবস্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে৷ কী এই কৌশিকী অমাবস্যা ?

কৌশিকী অমাবস্যা, অন্য সব অমাবস্যার থেকে একটু আলাদা কারণ তন্ত্রশাস্ত্র মতে ভাদ্র মাসের এই তিথিটিতে অনেক কঠিন ও গুপ্ত সাধনা করলে আশাতীত ফল মেলে। বৌদ্ধ ও হিন্দু তন্ত্রে এই দিনের বিশেষ 'মাহাত্ব আছে, বলা হয়, যে সকল সাধক কুন্ডলিনী চক্রকে জয় করেছেন এক বিশেষ মুহুর্তে তাঁদের সাধনায় স্বর্গ ও নরক দুই এর দুয়ার মুহূর্তের জন্য উম্মুক্ত হয় ও সাধক নিজের ইচ্ছা মতো ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক শক্তি নিজের সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করে ও সিদ্ধি লাভ করে ৷

ব্রহ্মাকে তুষ্ট করে সুম্ভ ও নিসুম্ভ এমন বর পেলেন যে, শুধু কোনও অ-যোনি সম্ভূত নারী ব্যতীত অন্য কেউ তাদের বধ করতে পারবে না। ব্রহ্মার বরে পুষ্ট সুম্ভ ও নিসুম্ভের অত্যাচারে পীড়িত দেবকূল কৈলাশে আশ্রয় নিলেন। শিব তখন পার্বতীকে 'কালিকা' নামে সম্বোধন করে বললেন দেবতাদের উদ্ধার করতে। পূর্বজন্মে পার্বতী দক্ষের যজ্ঞস্থলে আত্মাহুতি দেওয়ার কারণে তার মেঘের ন্যায় কলোরূপ দেখেই শিব তাঁকে 'কালিকা' বলে সম্বোধন করেছিলেন। ক্ষুব্ধ ও অপমানিত পার্বতী মানস সরোবরের ধারে কঠিন তপস্যা করলেন ও তপস্যান্তে শীতল মানস সরোবর এর জলে স্নান করে নিজের দেহের সব কালো কোশিকা পরিত্যাগ করলেন ও পূর্নিমার চাদের মতো গাত্র বর্ণ ধারণ করলেন ও ওই কালো কোশিকা গুলি থেকে এক অপূর্ব সুন্দর কৃষ্ণবর্ণ দেবীর সৃষ্টি হয় ইনি দেবী কৌশিকী। এই সেই তিথি যেদিন এই দেবীর উৎপত্তি হয় এবং যিনি সুম্ভ ও নিসুম্ভ কে বধ করেন, তাই এই অমাবস্যার নাম কৌশিকী অমাবস্যা, আবার এই দিনে দশ মহাবিদ্যার অন্যতম দেবী তারা মর্ত ধামে আবির্ভূতা হন। তাই প্রতি বছর কৌশিকী আমাবস্যায় পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার তারাপীঠে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধু-সন্ত ও তান্ত্রিক পণ্ডিতরা এসে তন্ত্রসাধনা করেন মানুষের কল্যাণ সাধনে ও নিজ সিদ্ধি লাভের উদ্দেশ্যে।

২৩শে ভাদ্র রবিবার ১৪২৫ সন (ইং- ৯ই সেপ্টেম্বর ২০১৮) কৌশিকী অমাবস্যার দিনে তারাপীঠে সকলের মঙ্গলার্থে বিশেষ হোম ও তন্ত্রক্রিয়া  করা হবে। ২০/০৮/২০১৮ তারিখের মধ্যে নাম নথীভুক্ত করান। Phone / WhatsApp এ বিশদে জেনে নিন।

অমিতশ্রী (অমিত চক্রবর্ত্তী)
Call : 9830637766
www.astrokolkata.com

বৃহস্পতিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৮

শ্রাবণে শিবের অর্চণা


শ্রাবণ মাস শিবের জন্মমাস। সোমবার শিবের জন্মবার। ২৩ ও ৩০শে জুলাই এবং ৬ ও ১৩ই আগষ্ট ২০১৮ শ্রাবণের সোমবার। শ্রাবণ মাসের প্রতিটি দিন শিবের মাথায় জল ঢাললে প্রত্যাশা পূরণ হয়। নিদানপক্ষে চার সোমবার শিবের মাথায় জল ঢাললেও মনের আশা অপূর্ণ থাকে না।
বহুবছর ধরে বহুমানুষ এই সময় পায়ে হেঁটে শ্যাওড়াফুলি থেকে গঙ্গাজল বাঁকে করে কাঁধে নিয়ে গিয়ে তারকেশ্বরে শিবের মাথায় ঢালেন। এক অফুরান্ত উদ্দ্যম ও ভগবান শিবের প্রতি প্রচণ্ড বিশ্বাস ও ভক্তি থেকেই তাঁরা এই কাজ করে থাকেন। বহু সিনেমা ও গল্প উপন্যাসে এর উল্লেখ আছে।
যারা এত কষ্ট সহ্য করতে পারেন না তাদেরও দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই। ভক্তিসহকারে তার নাম স্মরণ করলেও অনুরূপ ফল মেলে। ঘরে শিবলিঙ্গ থাকলে তাঁকে দুধ, জল, বেলপাতা, ভাটফুল, সিদ্ধিপাতা ইত্যাদি দিয়ে পূজা করলে এবং " ওঁ নমঃ শিবায় ।" উক্ত মন্ত্র ১০৮ বার জপ করলে সকল মনবাসনা পূর্ণ হয়। যেসকল মেয়েদের বিয়েতে বাধা আসছে বা বার বার বিয়ে হতে গিয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে তারা অবশ্যই শ্রাবণ মাসে শিবের মাথায় জল ঢালুন (ওপরের বিধি অনুযায়ী) বিয়ের বাধা দূর হবে। অন্তত সোমবারগুলো শিবের মাথায় জল ঢেলে ১০৮ বার শিবের মন্ত্র জপ করলেও জীবনের সকল সমস্যা দূর হয়।

বুধবার, ১৮ জুলাই, ২০১৮

রাশিফল (শ্রাবণ ১৪২৫)




শ্রাবণ মাসে রবি কর্কট রাশিতে বিরাজ করে। কর্কট রাশি রাশিচক্রের চতুর্থস্থান। কর্কট রাশির অধিপতী চন্দ্র মনের কারক গ্রহ।

মেষরাশিঃ মেষরাশির এই মাস খুবই শুভ যাবে। ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ভাল চলবে। চাকুরীজীবিদের আয় উন্নতি বাড়বে। বিদ্যার্থীদের শুভ। প্রেম ও বিয়ের যোগ রয়েছে।

বৃষরাশিঃ অর্থ ও কাজকর্মে জটিলতা বাড়বে। মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকে প্রেমের প্রকাশ বা বিয়ের যোগ সৃষ্টি হতে পারে। ভাই বোনের সাথে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।

মিথুনরাশিঃ চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মানসিক দৃঢ়তা আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর্থিক ও শারীরিক অশুভ প্রভাব পড়তে পারে। সুনামহানীর সম্ভবনা আছে। বিদ্যার্থীরাও শুভ ফল পাবে।

কর্কটরাশিঃ এই মাসে আর্থিক দিক থেকে শুভ প্রভাব থাকবে। ব্যবসা ও চাকুরীতে শুভ প্রভাব থাকলেও পারিবারিক ক্ষেত্রে অশুভ প্রভাব লখ্য করা যায়।

সিংহরাশিঃ ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। চটজলদি কোন সিদ্ধান্ত না নাওয়াই ভাল। বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার সুযোগ পাবে না। মেয়েরা মেয়েলি সমস্যায় ভুগবে।

কন্যারাশিঃ হঠাত অর্থের আমদানি হতে পারে। আর্থিক শুভ প্রভাব থাকবে। কর্মক্ষেত্রে অশান্তি দেখা দিতে পারে।

তুলারাশিঃ কর্মক্ষেত্রে বিশেষ উন্নতির যোগ রয়েছে। তবে বাধার সম্মুখীন হতে হবে। বিদ্যার্থীদের বিশেষ উন্নতি কিছু দেখা যাচ্ছে না।

বৃশ্চিকরাশিঃ হঠাত অর্থপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। যারা শিল্পকলা নিয়ে কাজ করছেন তাদের জন্য বিশেষ শুভ।

ধনুরাশিঃ শারিরীক অসুস্থতা ও বিপদআপদের সম্ভবনা রয়েছে। প্রেম প্রীতি ও বিয়ের যোগ লখ্য করা যায়। সামান্য কিছু অর্থপ্রাপ্তি ও মান সম্মান প্রাপ্তির যোগ আছে।

মকররাশিঃ দাম্পত্যকলহ বা ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। প্রেমে আঘাত খাওয়ার সম্ভোবনা আছে। চাকুরী ক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভবনা বর্তমান। ব্যয় বৃদ্ধি পাবে।

কুম্ভরাশিঃ প্রেম প্রীতি ও বিবাহের আদর্শ সময়। ভাগ্য সাথ দেবে। শিল্পীরা শুভফল আশা করতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে কোন কোন বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন।

মীনরাশিঃ পড়াশুনায় অমনযোগীতা দেখা দেবে। মন চঞ্চল বা অস্থির থাকবে। কর্মক্ষেত্রে টেনশন থাকবে। নার্ভের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আপনাদের মূল্যবান মতামত দিন।
জ্যোতিষ দেবজ্ঞ অমিতশ্রী।
Call : 9830637766


বুধবার, ২০ জুন, ২০১৮

আষাঢ়ের রাশিফল ১৪২৫

আষাঢ় মাসের রাশিফলঃ-



আষাঢ় মাসে রবি মিথুন রাশিতে বিরাজ করে। মিথুন রাশি রাশিচক্রের তৃতীয় স্থান। মিথুন রাশির অধিপতী বুধ বুদ্ধিদীপ্ত, চঞ্চল ও বালক গ্রহ। মিথুনরাশিকে যমজ রাশিও বলা হয়। রবি মিথুনরাশিতে শুভ ফল প্রদান করে।

মেষরাশিঃ গত মাসের তুলনায় এমাসে কিছুটা আর্থিক মন্দা থাকবে। ব্যবসায়ীদের ব্যবসা মোটামুটি ভাল চলবে। বিদ্যার্থীদের অমনোযগীতা আসবে। টেনশন থাকবে।

বৃষরাশিঃ অর্থের যোগান বাড়বে। বিদ্যার্থীদের শুভ। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা থেকেই যাবে। মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকে প্রেমের প্রকাশ বা বিয়ের যোগ সৃষ্টি হতে পারে।

মিথুনরাশিঃ মানসিক দৃঢ়তা আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর্থিক ও শারীরিক শুভ। সুনামহানীর সম্ভবনা আছে। বিদ্যার্থীরাও শুভ ফল পাবে।

কর্কটরাশিঃ ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। মাসের শেষের দিকে গাড়ী ও বাড়ী ক্রয়ের ও বিশেষ যোগ রয়েছে।

সিংহরাশিঃ আয় ও ব্যয়ে সমতা রক্ষা পাবে। মাসের শেষভাগ কর্মপার্থীদের জন্য শুভ সময়। গুপ্তরোগ বা কোন পুরান রোগ সমস্যায় ফেলবে।

কন্যারাশিঃ বেকারদের চাকরী লাভের প্রবল যোগ রয়েছে। আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য থাকবে। লটারিতে অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে বিশেষ উন্নতি দেখা যায়।

তুলারাশিঃ হঠাৎ ভাগ্যের আমূল পরিবর্তন। আর্থিক দিকটাও বেশ শুভ। নতুন কর্মলাভ, চাকরীতে উন্নতি, ব্যাবসায় উন্নতি এমনকি বিবাহেরও শুভ যোগ বর্তমান। বিদ্যায়ও শুভ ফল আশা করা যায়।

বৃশ্চিকরাশিঃ আর্থিক অশুভ প্রভাব। প্রেম বিবাহের যোগ শুভ। বিদেশ যাওয়ার সুযোগ আসবে। শেষের দিকে ব্যবসায়ী ও চাকুরীপার্থীদের সুযোগ আসবে।

ধনুরাশিঃ দূর্ঘটনা থেকে সাবধান থাকতে হবে। শত্রুরা সক্রিয় থাকবে। বদনাম বা প্রেমহানীর সম্ভবনা। হঠাত অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে শুভফল লাভ।

মকররাশিঃ শেষের দিকে হঠাত শারিরীক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। চাকুরী ক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভবনা আছে। শেষের দিক ব্যয় বৃদ্ধি পাবে।

কুম্ভরাশিঃ প্রেম প্রীতি ও বিবাহের ক্ষেত্রে শুভ সময়। ব্যবসায় শুভফল আশা করা যায়। বিদ্যাস্থানও বেশ ভাল। শেষের দিকে কর্মক্ষেত্রে কোন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

মীনরাশিঃ পড়াশুনায় অমনযোগী হয়ে উঠতে পারে। মন চঞ্চল বা অস্থির থাকবে। কর্মক্ষেত্রে টেনশন থাকবে। শারিরীক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।

শনিবার, ১২ মে, ২০১৮

জ্যৈষ্ঠ মাসের রাশিফল





জ্যৈষ্ঠমাস মলমাস। এই সময় প্রচুর সরস ফল পাওয়া যায় ববলে একে মধুমাসও বলে। জ্যৈষ্ঠমাসে রবি বৃষ রাশিতে বিরাজ করে। বৃষরাশি রাশিচক্রের দ্বিতীয় স্থান। বৃষরাশির অধিপতী শুক্র সুপুরুষ, যুবক ও বিলাসীতার কারক গ্রহ। বৃষরাশি বা শুক্র প্রভাবিত মানুষ জীবনে প্রচুর ভোগ ও বিলাসিতা করে। এরা খুবই রোমান্টিক হয়।

মেষরাশিঃ শুরুতেই কোন শোক সংবাদ পেতে পারেন। আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকবে। ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ভাল চলবে। বিদ্যার্থীদের অতিব পরিশ্রম করতে হবে। টেনশন থাকবে।

বৃষরাশিঃ শুরুতেই চোখ নিয়ে সমস্যায় পরতে হবে। কর্মক্ষেত্রে সুযোগ এলেও হাতছাড়া হতে পারে। ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। শেষের দিকে ভ্রাতা ভগ্নির সঙ্গে সর্ম্পকের উন্নতি হতে পারে।

মিথুনরাশিঃ এই মাসটা প্রায় আরামেই কাটাবেন। আর্থিক শুভ। শারীরিক ও মানসিক সবদিক থেকেই ভাল। প্রেম ও বিয়ের যোগ রয়েছে। বিদ্যার্থীরাও শুভ ফল পাবে।

কর্কটরাশিঃ শুরুতেই পিতার অশুভ। মাসের শেষের দিকে প্রেম প্রীতি ও বিবাহ সংক্রান্ত শুভ প্রভাব দেখা যায়। গাড়ী ও বাড়ী ক্রয়ের ও বিশেষ যোগ রয়েছে।

সিংহরাশিঃ শুরুতেই চাকুরীতে গোলমাল বা বদনামের সম্ভবনা আছে। বেকারদের চাকুরী প্রাপ্তির সম্ভবনাও দেখা যায়। আয় ও ব্যয় সমান ভাবে চলবে।

কন্যারাশিঃ শুরুতেই চোখের কোন সমস্যা আসতে পারে। দৃষ্টিশক্তি কমতে পারে। আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য থাকবে। লটারিতে অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে বিশেষ উন্নতি দেখা যায়। সম্পত্তি যোগ শুভ।

তুলারাশিঃ মানসম্মান নষ্ট হতে পারে। আর্থিক দিকটাও বেশ অশুভ। চিকিৎসা বা অন্য কোন খাতে অর্থ নষ্ট হতে পারে। চাকুরীতে রদবদল বা বদলীর সম্ভবনা আছে। মাসের শেষের দিকে বিদেশ যাত্রা ও অন্যান্য শুভ ফল আশা করা যায়।

বৃশ্চিকরাশিঃ শুরুতেই দাম্পত্য কলহ বা বিচ্ছেদের সম্ভবনা থাকছে। স্ত্রীরোগে কষ্ট পেতে পারেন। অবিবাহিতদের বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। বিদেশ যাওয়ার সুযোগ আসতে পারে।

ধনুরাশিঃ দূর্ঘটনা এড়িয়ে চলুন। শত্রুরা সক্রিয় হবে। অপ্রত্যাশিত ভাবে কিছু অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে। জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার শুভ। কর্মে উন্নতি। প্রেম ও ভালবাসার ক্ষেত্রে সংযোগ সৃষ্টি হতে পারে।

মকররাশিঃ রোগ মুক্তির সম্ভবনা আছে। বিদ্যায় শুভফল আশা করা যায়। অংশীদারি ব্যবসায় বা চাকুরী ক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভবনা আছে। শেষের দিক প্রেমের যোগ লখ্য করা যায়।

কুম্ভরাশিঃ ব্যবসায় বেশ কিছুটা শুভফল আশা করা যায়। বিদ্যাস্থানও বেশ ভাল। যোগাযোগ ও সম্পত্তি সংক্রান্ত শুভ। কর্মক্ষেত্রে বিশেষ উন্নতি বা ভাগ্যের শুভ পরিবর্তন রয়েছে।

মীনরাশিঃ মান-সম্মান হানীর সম্ভবনা আছে। বিদ্যায় অমনোযোগীতা আসলেও শুভ ফল পাওয়া যাবে। কর্মক্ষেত্রে অশুভ প্রভাব পরতে পারে। চাকুরী নিয়ে টেনশন থাকবে।

বৈশাখ মাসের রাশিফল



বৈশাখ মাসে রবি মেষ রাশিতে তুঙ্গী হয়ে বিরাজ করে। মেষ রাশি রাশিচক্রের প্রথম স্থান অর্থাৎ নিজ বা লগ্ন স্থান। মেষরাশির অধিপতী মঙ্গল যোদ্ধা গ্রহ। অর্থাৎ মেষ রাশি বা মঙ্গল প্রভাবিত মানুষ জীবনে সংগ্রামের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে।

মেষরাশিঃ নতুন কর্ম প্রাপ্তি। আর্থিক স্বচ্ছলতা। অর্থ প্রাপ্তি। ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ভাল চলবে। মাসার্দ্ধের পর চাকুরীতে উন্নতি। বিদ্যার্থীদের অতিব শুভ।

বৃষরাশিঃ ব্যয় বৃদ্ধি। নতুন কর্ম প্রাপ্তির সম্ভবনা। ভ্রাতা ভগ্নির অশুভ। দুর্ঘটনা ও পায়ে আঘাত লাগার সম্ভবনা থাকছে। দাম্পত্যকলহ চলবে।

মিথুনরাশিঃ আর্থিক অশুভ। ব্যবসায় চাপ বৃদ্ধি । বিদ্যার্থীরা শুভ ফল পাবে।

কর্কটরাশিঃ ভাগ্যে বিশাল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ১৫ বৈশাখের পর বিদ্যাস্থান শুভ। দাম্পত্য কলহ।

সিংহরাশিঃ মানসিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। ভাগ্যের বিশেষ পরিবর্তন ও বিদেশ যাত্রার সুযোগ আসতে পারে।

কন্যারাশিঃ আর্থিক চাপ থাকবে। আত্মীয়তা বাড়বে। সম্পত্তি যোগ শুভ।

তুলারাশিঃ বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভবনা আছে। ১৫ই বৈশাখের পর সম্পত্তি সংক্রান্ত শুভ ফল পাওয়া যাবে।

বৃশ্চিকরাশিঃ ভাই বোনের সাথে শত্রুতা বৃদ্ধি পাবে। স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা আসবে। বিদেশ যাওয়ার সুযোগ আসতে পারে।

ধনুরাশিঃ কর্মে প্রধান হওয়ার সম্ভবনা আছে। দূর্ঘটনা থেকে সাবধান।

মকররাশিঃ কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। শুভপ্রভাব অব্যাহত থাকবে। বিদ্যায় শুভফল আশা করা যায়।

কুম্ভরাশিঃ যোগাযোগ ও সম্পত্তি সংক্রান্ত শুভ। তবে হঠাত বিশেষ কারণে আর্থিক সংকটে ও পড়তে পারেন।

মীনরাশিঃ আয় বৃদ্ধি পাবে। কর্মক্ষেত্রে শুভ প্রভাব ও নতুন কর্ম লাভ। বিদ্যায় অমনোযোগ। 

রবিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৮

Rashiphal 1425 রাশিফল ১৪২৫



বর্ষফল - ১৪২৫
********************************************
আপনার লগ্ন ও রাশির মিলিত ফলই আপনার প্রকৃত বর্ষফল। মনে করুন রাশি মেষ, লগ্ন কর্কট, তাহলে মেষ ও কর্কট দুটোই পড়ুন। এই দু-এর মিলিত ফল আপনার জীবনে প্রতিফলিত হতে চলেছে ২০১৮ তে।
********************************************

১লা বৈশাখ ১৪২৫ রবিবার, সকাল ৫টাঃ চন্দ্র-মীন রাশিতে বুধ যুক্ত; রবি, শুক্র - মেষে; রাহু - কর্কটে; বৃহস্পতি - তুলাতে (বক্রী); মঙ্গল ও শনি- ধনুতে; কেতু - মকরে।

৩০শে চৈত্র ১৪২৫ রবিবার, সকাল ৫টাঃ চন্দ্র- কর্কটে; বৃহস্পতি (বক্রী), কেতু, শনি - ধনুতে; শুক্র - কুম্ভে; রবি, বুধ - মীনে।

১৪২৫ -এর শুরু ও শেষের দিনের রাশিচক্র দেওয়া হল। এতে প্রতিটি গ্রহের গতির একটা মোটামুটি ধারণা পাওয়া যাবে। যা আপনাদের গ্রহের অবস্থান বুঝতে অনেকটা সাহায্য করবে।

[ রবি ৩০দিন এক একটি রাশিতে অবস্থান করে। চন্দ্র ২৮দিনে ১২টি রাশি অতিক্রম করে। মানে সোয়া দুই দিন এক একটি রাশিতে থাকে। বুধও এক বছরে ১২টি রাশি অতিক্রম করে। শুক্র ২০দিন এক একটি রাশিতে অবস্থান করে। তবে রবির থেকে ২ রাশির বেশী দূরত্বে কখন থাকে না। মঙ্গল ৪৫দিন এক একটি রাশিতে অবস্থান করে। সম্পূর্ণ রাশিচক্র একবার ঘুরে আসতে ২বছর সময় লাগে। বৃহস্পতি প্রায় ১বছর এক একটি রাশিতে থাকে। অর্থাত সম্পূর্ণ রাশিচক্র ঘুরে আসতে ১২বছর সময় লাগে। শনি এক একটি রাশিতে আড়াই বছর থাকে। ১২টি রাশি ঘুরে আসতে সারে উনত্রিশ বছর সময় লাগে। রাহু ও কেতু এক একটি রাশিতে দেড় বছর থাকে।]

( রাশি ও লগ্নকেন্দ্রিক বর্ষফল।)

মেষঃ অধিপতি মঙ্গল। মঙ্গল প্রাণশক্তির কারক গ্রহ। মঙ্গল যোদ্ধা বা সৈনিক গ্রহ। বছরের শুরুতে ব্যবসা ওও কর্মে অপ্রত্যাশিত লাভ ও শ্রীবৃদ্ধি লক্ষ্য ককরা যায়। শরীর সস্বাস্থ ভালই থাকবে আশা করা যায়। তবে সর্দ্দি-কাশি, লিভারের সামান্য সমস্যা ও মানসিক অস্থিরতা থাকতে পারে। পড়াশুনার ব্যাঘাত ঘটলেও উচ্চ বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাওয়া যাবে। আশ্বিন মাস থেকে আয় উন্নতি কমতে পারে। বছরের শুরুতেই আপনার প্রেম প্রকাশ পেতে পারে। কার্তিক মাস থেকে প্রেম নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। ধর্মে মন হবে। বীজ বা দীক্ষা গ্রহণ করতে পারেন।
শুভ বারঃ মঙ্গল; শুভ সংখ্যাঃ ৯। প্রতিকারঃ বিল্বমূল, অনন্তমূল, তামা, লাল পলা, চূণী ও পীত পোখরাজ ধারণ করতে পারেন। হনুমান চল্লিশা পাঠ ও বগলামুখীর মন্ত্র জপ করতে পারেন।

বৃষঃ অধিপতি শুক্র। শুক্র বিবাহ, প্রেম ও বিলাসিতার কারক গ্রহ। শরীর স্বাস্থ্য ভালই যাবে। বাতজ সমস্যা ছাড়া তেমন কোন সমস্যা সৃষ্টি হবে না। আশ্বিন মাস থেকে প্রেম, বিবাহ ও দাম্পত্য সমস্যার উন্নতি হবে। আর্থিক দিক থেকেও শুভ ফল পাওয়া যাবে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন হতে পারে। চাকুরীজীবী রা কর্মে শুভ ফল লাভ করবে। আশ্বিন মাসের পর থেকে ব্যবসা ও অংশীদারিতেও শুভ ফল পাওয়া যাবে। জীবনের যেকোন প্রতিযোগীতার সন্মুখীন হতে প্রস্তুত থাকুন। জীবন সঙ্গীর সঙ্গে ছোট খাট ভ্রমন বা তীর্থস্থান দর্শন করতে পারেন। আপনার সৃজনশীল প্রতিভার সঠিক প্রয়োগে লাভজনক ফল পেতে পারেন। ভাই ও বোনের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে।
শুভ বারঃ শুক্র; শুভ সংখ্যাঃ ৪, ৬ প্রতিকারঃ রামবাসক মূল, হীরা, পলা ও শ্বেত পোখরাজ ধারনীয়।

মিথুনঃ অধিপতি বুধ। বুধ প্রাণচঞ্চল বালক গ্রহ। বুধ বুদ্ধিমত্তার কারক গ্রহ। এ বছর আপনার অত্যন্ত শুভ।
এ বছর আপনার কেরিয়ার উজ্জ্বল হবে। কর্মক্ষেত্রে আপনার উন্নতি কেউ আটকাতে পারবে না। তবে কর্মক্ষেত্রে কিছু ক্ষয় ক্ষতির সম্ভবনা আছে। মামলা মোকদ্দমায় জয়ের সম্ভবনা থাকলেও বড় ধরনের কোন বদনামের ভাগীদার হতে পারেন। আশ্বিন থেকে অগ্রহায়নের মধ্যে প্রেম ও বিয়ের যোগ প্রবল। মাথা ব্যথা, গাঁটে ব্যাথা, পায়ে চোট পাওয়া ইত্যাদি থেকে সাবধান। লটারিতে অর্থপ্রাপ্তির গৃহ সংস্কারের সম্ভবনা রয়েছে।
শুভ বারঃ বুধ; শুভ সংখ্যাঃ ৫, প্রতিকারঃ বৃদ্ধদারকার মূল, পান্না, চারমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন। সরস্বতী বা ত্রিপুরাসুন্দরীর মন্ত্র জপ করতে পারেন।

কর্কটঃ কর্কট রাশির অধিপতি চন্দ্র। চন্দ্র মনের কারক গ্রহ। রাহুর অবস্থান আপনার অলীক কল্পনাকে বাস্তবায়িত করলেও রাহু মনের কারক চন্দ্রকে প্রভাবিত করে মানসিক অশান্তির কারণ হতে পারে। পারিবারিক জীবনে অনিশ্চিত ও অশুভ পরিবর্তের আশঙ্কা রয়েছে। অাশ্বিনের মধ্যে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে অত্যন্ত শুভ ফল পাবেন। তবে বিষয় সম্পত্তি নিয়ে মামলা মোকদ্দমা হতে পারে। ভাই বোন সম্পত্তি নিয়ে শত্রুতা করতে পারে।
শুভ বার- সোমবার। শুভ সংখ্যা- ২। প্রতিকারঃ বামনহাটির মূল, মুক্ত, পীত পোখরাজ। শিবের পূজা করতে পারেন।

সিংহঃ অধিপতি রবি। রবি তেজ ও শক্তির কারক গ্রহ। রবি আনে দৃঢ়তা। এই রাশির জাতক জাতিকা কফ-কাশি, লিভারের সমস্যা ও মানসিক অবসাদে থাকবে। বিদ্যায় বাধা, কর্মে বাধা প্রভৃতি অশুভ।বন্ধুর দ্বারা উপকৃত হবেন। শত্রু ক্ষতি করবে। ফাল্গুন মাসের পর কর্মক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে। গর্ভবতী মহিলাদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। পুরান কোন কাজের জন্য এবছর স্বীকৃতি পাবেন।
শুভ বার- রবিবার। শুভ সংখ্যা- ১। প্রতিকারঃ বিল্বমূল, চূণী, তামার আংটি ধারণ ককরতে পারেন। সূর্য্য প্রণাম বা কমলার মন্ত্র জপ করতে পারেন।

কন্যাঃ অধিপতি বুধ। বুধ প্রাণচঞ্চল বালক গ্রহ। বুধ বুদ্ধিমত্তার কারক গ্রহ। এবছর বিদ্যাস্থান শুভ হলেও যথেষ্ট পরিমান পরিশ্রমের প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য ভাল হলেও লিভারের সমস্যায় ভুগতে হবে। বছর জুড়ে শনির ঢ্যাইয়া চলবে। তাই সব কাজেই বাধার সম্মুখীন হতে হবে।
ভাই বোনের সাথে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ বা মামলা-মোকদ্দমা হতে পারে। তবে সম্পত্তির যোগ রয়েছে। অলসতা কাটিয়ে উঠুন ও সংযমী হন। মাথা ঠান্ডা রেখে সবার মন যুগিয়ে আপনার কাজ করে যান।
শুভ বারঃ বুধ; শুভ সংখ্যাঃ ৫, প্রতিকারঃ বৃদ্ধদারকার মূল, পান্না, চারমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন। সরস্বতী বা ত্রিপুরাসুন্দরীর মন্ত্র জপ করতে পারেন।

তুলাঃ অধিপতি শুক্র। শুক্র বিবাহ, প্রেম ও বিলাসিতার কারক গ্রহ। শরীরস্বাস্থ্য মোটামুটি ভালই থাকবে। বিদ্যায় অবহেলা পরিত্যাগ করতে হবে। উচ্চবিদ্যায় সাফল্য আসবে। কার মধ্যস্থতায় সমস্যার সমাধান হবে। আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সময় যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে। প্রেমের ক্ষেত্রেও সচেতনতার সাথে এগনো প্রয়োজন। দাম্পত্য সম্পর্ক ভালই থাকবে। ভ্রাতা ভগ্নির সহিত মনোমালিন্য ও জ্যেষ্ঠ ভাতার শারিরীক অসুস্থতা লক্ষ্য করা যায়। চাকুরীতে অশান্তি থাকবে। ব্যবসায় শুভ।
শুভ বারঃ শুক্র; শুভ সংখ্যাঃ ৪, ৬ প্রতিকারঃ রামবাসক মূল, হীরা, পলা ও শ্বেত পোখরাজ ধারনীয়।

বৃশ্চিকঃ অধিপতি মঙ্গল। মঙ্গল প্রাণশক্তির কারক গ্রহ। মঙ্গল যোদ্ধা বা সৈনিক গ্রহ। শরীর স্বাস্থ্য মোটামুটি গেলেও বুকের ব্যাথায় হঠাৎ কষ্ট পাওয়ার সম্ভবনা। ক্রেরিয়ারে উন্নতি, বেতনে উত্তরোত্তর বৃদ্ধির সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে। আশ্বিনের পর কর্মে দক্ষতা বাড়বে। প্রেম ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে মিশ্র ফল পাওয়া যাবে। আশ্বিনের পর সম্পর্ক জোড়দার হবে। সৃষ্টিশীল কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখুন। কবি সাহিত্যিক তারকাদের আয় বৃদ্ধি পাবে। বিদ্যায় বাধা থাকলেও উচ্চ শিক্ষার জন্য যারা বিদেশে যেতে চান তাদের জন্য এই বছর খুব ভাল। গৃহ সংস্কারের যোগ আছে।
শুভ বারঃ মঙ্গল; শুভ সংখ্যাঃ ৯। প্রতিকারঃ বিল্বমূল, অনন্তমূল, তামা, লাল পলা, চূণী ও পীত পোখরাজ ধারণ করতে পারেন। হনুমান চল্লিশা পাঠ ও বগলামুখীর মন্ত্র জপ করতে পারেন।

ধনুঃ অধিপতি গুরু বৃহস্পতি। বৃহস্পতি ফলদায়ী গ্রহ।
যারা চাকরি করছেন সে সব জাতক জাতিকারা বিশেষ উন্নতি করতে পারেন। আর যারা কর্ম পার্থি তারা এবছর চাকরি পেতে পারেন। এক কথায় বলা যায় ক্রেরিয়ারের দিক থেকে এ বছরটা আপনার পক্ষে শুভ। বিনিয়োগ করার ব্যাপারে এ বছরটা ভাল নয়। আপনাকে সংযত হতে হবে। ভ্রমন লাভদায়ক হলেও খরচা সাপেক্ষ হবে। একাধিক উৎস থেকে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। অক্টোবরের পরে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। কথাবার্তায় সংযত হন, না হলে সম্পর্কে অশান্তি আসতে পারে। বছরের শেষের দিকে দাম্পত্য জীবন বিঘ্নিত হতে পারে।
শুভ বারঃ বৃহস্পতিবার; শুভ সংখ্যাঃ ৩। প্রতিকারঃ ব্রহ্মযষ্ঠীর মূল, সোনা ও পীত পোখরাজ ধারণ করা যেতে পারে। হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন। তারার মন্ত্র জপ করা যেতে পারে। প্রতি পূর্ণিমা অথবা বৃহস্পতিবার কাঁচা হলুদ বা জাফরান জলে মিশিয়ে স্নান করতে পারেন।

মকরঃ অধিপতি শনি। শনি সততার প্রতীক। নিষ্ঠা, পরিশ্রম ও নিয়মানুবর্তিতা এর প্রধান বৈশিষ্ঠ। শরীর নিয়ে ভুগতে হবে। ছোট ছোট সমস্যাই বড় আকার ধারণ করবে। পেশাগত কর্ম ব্যাস্ততা বাড়বে। ব্যবসা ও চাকুরী উভয় ক্ষেত্রেই আয় ভালই বাড়বে। আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলেও ব্যয় বাড়বে। আপনার সততা ও শৃঙ্খলার কারণে আপনার উন্নতি আটকান অসম্ভব। আশেপাশের বন্ধু ও অফিস কলিগদের সঙ্গে অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক বজায় রেখে চলুন। যে কোন ধরনের স্বরযন্ত্র থেকে দূরে থাকতে চেষ্টা করুন। আপনার কাজের দ্বায়িত্ব কৃতিত্ব এবং সন্মান বৃদ্ধি পাবে। নতুন কোন প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক উন্নতির সম্ভবনা রয়েছে। বৈবাহিক জীবনে কিছু ভুল বোঝাবুঝি সংগঠিত হতে পারে, যা আপনার এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ। প্রয়োজনে ভ্রমণ করুন।
শুভ বারঃ শনিবার; শুভ সংখ্যাঃ ৮। প্রতিকারঃ সীসা, ঘোড়ার নাল, ও নীলা ধারণ করা যেতে পারে। ৬ ও ৭ মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ, পীত পোখরাজ বা টোপাজ ধারণ করা যেতে পারে। দক্ষিণাকালির মন্ত্র জপ ও পূজা করা যেতে পারে।

কুম্ভঃ অধিপতি শনি। শনি সততার প্রতীক। নিষ্ঠা, পরিশ্রম ও নিয়মানুবর্তিতা এর প্রধান বৈশিষ্ঠ। এই বছর ছোটখাট নানান শারীরিক সমস্যায় ভুগতে হবে। পুরান রোগ থেকেও মুক্তি পেতে পারেন। আপনার মধ্যে যে শেখার ইচ্ছা রয়েছে, আপনার নিজের মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস রয়েছে তা নষ্ট হতে দেবেন না। নিজের গুণগুলকে আকড়ে ধরে রেখে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলার চেষ্টা করুন। উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সময়টা মধ্যম। তবে শেষের দিকে সফলতা আসবে। ধন বৃদ্ধির দিকে আপনার মূল ফোকাস থাকা উচিৎ। গুরুজনের সান্নিধ্য, প্রশংসা ও আশির্বাদ পাবেন। বিবাহিত জীবনে সুখ শান্তি থাকলেও জীবন সঙ্গীর স্বাস্থ্য নিয়ে সমস্যা হতে পারে। সন্তান নিয়ে বিব্রত হবেন।
শুভ বারঃ শনিবার; শুভ সংখ্যাঃ ৮। প্রতিকারঃ সীসা, ঘোড়ার নাল, ও নীলা ধারণ করা যেতে পারে। ৬ ও ৭ মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ, পীত পোখরাজ বা টোপাজ ধারণ করা যেতে পারে। দক্ষিণাকালির মন্ত্র জপ ও পূজা করা যেতে পারে।

মীনঃ অধিপতি গুরু বৃহস্পতি। বৃহস্পতি ফলদায়ী গ্রহ। এবছর শরীর, স্বাস্থ্য ভালই যাবে। অাশ্বিনের পরে স্বাস্থ্য ও অর্থ ভাগ্য উন্নতির দিকে যাবে। কর্মক্ষেত্রে আকাঙ্খিত ফললাভ অতিরিক্ত পরিশ্রমের দ্বারাই সম্ভব হবে। পিতা বা পিতৃস্থানীয় ব্যক্তির অশুভ। কর্মে সমস্যা থাকবে। বিদ্যায় অশুভ প্রভাব তবে উচ্চ বিদ্যায় কিছুটা শুভ ফল পাওয়া যাবে। কর্মক্ষেত্রে বদনাম ও আর্থিক ভরতুকির সম্ভাবনা রয়েছে। ফাটকা কারবারে অর্থ লাভের সম্ভবনা রয়েছে। পাশাপাশি কিছু আর্থিক ক্ষতিরও সম্ভাবনা রয়েছে। সন্তানের স্বভাবে খামখেয়ালীপনা দেখা দিতে পারে। আশ্বিনের পর নিজেকে অনেকটা চাপমুক্ত বলে মনে হবে। ক্রেরিয়ারের উন্নতির পাশাপাশি আর্থিক উন্নতিও পরিলক্ষিত হবে।
শুভ বারঃ বৃহস্পতিবার; শুভ সংখ্যাঃ ৩। প্রতিকারঃ ব্রহ্মযষ্ঠীর মূল, সোনা ও পীত পোখরাজ ধারণ করা যেতে পারে। হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন। তারার মন্ত্র জপ করা যেতে পারে। প্রতি পূর্ণিমা অথবা বৃহস্পতিবার কাঁচা হলুদ বা জাফরান জলে মিশিয়ে স্নান করতে পারেন।


*************************************************
অমিতশ্রী
জ্যোতিষ দেবজ্ঞ ও বাস্তু রত্ন
452, K. K. Road, P.O.+ P.S.- Haridevpur,
Kolkata-82.
Call : 9830637766/ 9804688364
www.astrokolkata.com
*************************************************

রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৮

বিদেশ যাত্রা




বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রে জাতকের রাশিচক্র বিচার করে অনুমান করা যায় যে, তার বিদেশে যাওয়ার কোন রকম সম্ভবনা আছে কিনা বা বিদেশ যাওয়ার সম্ভব্য সময়। এই বিদেশ যাত্রা তার সাময়িক না স্থায়ী তারও হদিশ মেলে রাশিচক্র থেকে।

জীবিকা, শিক্ষা বা ব্যাবসার প্রয়োজনে মানুষ দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়ায়। করতে হয় বিভিন্ন অনুকূল ওও প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা। নতুন পরিবেশে নতুন মুখ, নতুন সংস্কৃতি তাদের জীবনে এক নতুন অভিজ্ঞতা সংযোজন করে। কিছু মানুষ সফল ভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতিকে অনুকূলে নিয়ে আসে, আবার অনেকে তা না পেরে নিজের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলে। বিদেশ গমন মানে নিজের দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে নতুন দেশের সঙ্গে নতুন সম্পর্কে আবদ্ধ হওয়া।

রাশিচক্রের চতুর্থ স্থান হল জাতকের জন্মস্থান এবং নবম স্থান নির্দেশ করে বিদেশকে। চতুর্থ স্থান যদি বলবান হয় অর্থাৎ নিজগৃহ বা তুঙ্গী হয় বা কোন শুভ গ্রহ দৃষ্ট হয় বা চতুর্থপতি ১,৪,৫ ও ৯ অবস্থান করে তাহলে জাতক নিজ দেশেই উন্মতি করে। আবার যদি নিচস্থ বা শত্রু গৃহগত হয় বা ৬,৮ ও ১২ স্থানে অবস্থান করে তবে জাতক জন্মস্থান থেকে দূরে গেলেই উন্নতি করে। ঠিক তেমনি নবম স্থান যদি বলবান হয় অর্থাৎ নিজগৃহ বা তুঙ্গী হয় বা কোন শুভ গ্রহ দৃষ্ট হয় বা চতুর্থপতি ১,৪,৫ ও ৯ অবস্থান করে তাহলে জাতক বিদেশের মাটিতেই উন্নতি করে। কিন্তু যদি নিচস্থ বা শত্রু গৃহগত হয় বা নবমপতি যদি ৬,৮ ও ১২ স্থানে অবস্থান করে তবে জাতক বিদেশে বিভিন্ন সমস্যার সন্মুখীন হতে পারে।

চতুর্থ ও নবমস্থান ছাড়া দ্বাদশস্থানও বিদেশ যাত্রার জন্য বিচার্য বিষয়। দ্বাদশস্থান থেকে আমরা ব্যয় বা লোকসান বুঝি। লগ্নপতি যদি দ্বাদশস্থানে অবস্থান করে তবে বুঝতে হবে জাতক নিজেকে হারাবে। নিজেকে হারাবে মানে নিজ দেশ ছেড়ে বিদেশে যাবে। অন্যভাবে বললে এই দ্বাদশস্থান হল জন্মস্থান বা চতুর্থ স্থানের নবমস্থান। অর্থাৎ চতুর্থ স্থানের বিচারে বিদেশ যাত্রারস্থান।

বৃহস্পতি ফলদায়ী গ্রহ এবং এই বৃহস্পতিই বিদেশ যাত্রার কারক গ্রহ। বৃহস্পতি প্রকৃতপক্ষে রাশিচক্রের নবম ও দ্বাদশপতি হওয়ায় বিদেশ ভ্রমণ বা বিদেশে স্থায়ী ভাবে বসবাসের জন্য এর গুরুত্ব অপরিসীম। বিদেশ ভ্রমণ ও প্রতিষ্ঠা লাভে রাহু কেতুরও যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। রাহুর প্রভাবে খ্রীষ্টান দেশে এবং কেতুর প্রভাবে মুসলিম দেশে যাওয়ার সুযোগ হয়।

বিদেশে যাওয়ার অন্য কয়েকটি বিশেষ যোগঃ-
১) যখন লগ্নপতি নবমে ও নবমপতি লগ্নে অবস্থান করে।
২) যখন লগ্নপতি দ্বাদশে ও দ্বাদশপতি লগ্নে অবস্থান করে।
৩) যখন চতুর্থস্থান বা চতুর্থপতি অশুভ গ্রহ দ্বারা দৃষ্ট হয়।
৪) যখন চতুর্থপতি ৬,৮ ও ১২ স্থানে অবস্থান করে।
৫) যখন চতুর্থস্থান বা চতুর্থপতি রাহু বা কেতু দ্বারা প্রভাবিত হয় তখন নিশ্চিৎ ভাবে বলা যায় জাতক স্থায়ীভাবে বিদেশে বসবাস করবে।
৬) চতুর্থপতি দ্বাদশে অবস্থান করলে এবং নবমপতি বলবান হলেও জাতক স্থায়ীভাবে বিদেশে বসবাস করবে।

বিদেশে যাওয়ার সময়ঃ-
১) নবমপতির দশা বা অর্ন্তদশায়।
২) নবমস্থানে অবস্থিত গ্রহের দশা বা অর্ন্তদশায়।
৩) নবমস্থানে দৃষ্ট গ্রহের দশা বা অর্ন্তদশায়।
৪) নবমপতির সাথে যুক্ত গ্রহের দশা বা অর্ন্তদশায়।
৫) নবমপতি যে স্থানে বসেছে তার লর্ডের দশা বা অর্ন্তদশায়।
৬) দ্বাদশস্থানে অবস্থিত গ্রহের দশা বা অর্ন্তদশায়।
৭) রাহু বা কেতুর দশা বা অর্ন্তদশায়।


জ্যোতিষ দেবজ্ঞ অমিতশ্রী
ফোন - 09830637766

www.astrokolkata.com
www.amitsree.com




তন্ত্রের টুকিটাকি


মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

ফাল্গুন ১৪২৪ রাশিফল

ফাল্গুন ১৪২৪ 
জ্যোতিষ দেবজ্ঞ অমিতশ্রী
ফোনঃ 09830637766




ফাল্গুন মাসে রবি কুম্ভ রাশিতে বিরাজ করে। কুম্ভ রাশি একাদশ স্থানন অর্থাৎ আয় স্থান। কুম্ভরাশির অধিপতী শনি সৎ ও পরিশ্রমী গ্রহ।

মেষরাশিঃ ব্যবসায়ী ও চাকুরীজীবিদের জন্য এই মাস অত্যন্ত শুভ। ব্যবসায়ীরা নতুন প্রজেক্ট এই সময়ের মধ্যে শেষ করুন। এই সময় বিশেষ সন্মান পাবেন। চাকুরীতে সুযোগ আসবে। বিদ্যার্থীদের শুভ। সম্পত্তি যোগ রয়েছে।

বৃষরাশিঃ ভ্রাতা ভগ্নির অশুভ। দুর্ঘটনা ও পায়ে আঘাত লাগার সম্ভবনা আছে। দাম্পত্যকলহ চলবে।

মিথুনরাশিঃ মানসিক অস্থিরতা ও নার্ভের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভাগ্যের শুভ পরিবর্তন। বিবাহ যোগ রয়েছে।

কর্কটরাশিঃ মাসের শেষের দিকে কর্মক্ষেত্রে সমস্যা বাড়বে। সম্মানহানির সম্ভবনা আছে। বিদ্যায় কিছুটা শুভ ফল পাওয়া যেতে পারে।

সিংহরাশিঃ দাম্পত্যকলহ দেখা দিতে পারে। সরকারী চাকরীর সুযোগ আসতে পারে। ব্যাবসায় সুফল পাওয়া যাবে।

কন্যারাশিঃ ভাগ্য সাথ দিলেও অর্থের যোগান কমবে। বিদ্যার্থীদের বিদ্যায় বাধা পরবে।

তুলারাশিঃ বিদ্যাস্থান শুভ। ভাগ্য ও অর্থ আপনার হাতের মুঠোয় থাকবে। কর্মক্ষেত্রে স্থানান্তর অব্যাহত।

বৃশ্চিকরাশিঃ বিবাহে বাধা বা সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে।গলার সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিদ্যায় মধ্যম ফললাভ হবে।

ধনুরাশিঃ বিদ্যায় শুভ ফল আশা করা যেতে পারে। পায়ে আঘাত বা দূর্ঘটনার সম্ভবনা আছে। আর্থিক চাপ বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসা ও কর্মে অশুভ প্রভাব।

মকররাশিঃ কর্মক্ষেত্রে শুভপ্রভাব অব্যাহত থাকবে। গলা বা মুখের সমস্যায় কষ্ট পেতে পারেন। দাম্পত্য অশান্তি থাকবে। বিদ্যায় শুভফল আশা করা যায়।

কুম্ভরাশিঃ দাম্পত্য সমস্যা আসতে পারে। প্রেমের যোগাযোগও হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সুফল আশা করা যায়। অংশীদারিতে লোকসান। ভাগ্য সাথ দেবে।

মীনরাশিঃ কর্মক্ষেত্রে সামান্য পরিবর্তন। প্রযুক্তি বিদ্যায় শুভ ফল। ব্যয় বৃদ্ধি পাবে।

*****************************************
যদি আপনাদের কোন উপকারে লাগে তাহলে
আপনাদের সামর্থমত সাহায্য করুন।



or Paytm করুন এই নং-
Amit Chakraborty
No. 9830637766

******************************************



বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

শিবরাত্রি

শিবরাত্রি পূজা পদ্ধতি ও ফলাফলঃ-
                                   


শিবরাত্রি ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয়। সকল ব্রতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হল এই শিবরাত্রি। রাত্রি অর্থাৎ অন্ধকার আর অজ্ঞতা দূর করার জন্য এই ব্রত পালিত হয়।  আগের দিন শিবভক্তগণ সংযম অর্থাৎ নিরামিষ আহার করেন। ব্রতের দিন সকালে গরম জল আর তিল দিয়ে স্নান করে নিজেকে শুদ্ধ করে উপবাসী থেকে রাতে চার প্রহরে শিবলিঙ্গকে দুধ, দই, ঘৃত, মধু ও গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করিয়ে বেলপাতা, নীলকন্ঠ ফুল, ধুতুরা, আকন্দ, অপরাজিতা প্রভৃতি ফুল এবং কুমকুম ও চন্দন দিয়ে পূজা করা হয়। আর  ‘ওঁ নমঃ শিবায়’ এই মহামন্ত্র জপ করা হয় । ভগবান শিবকে ভাঙ এবং সিদ্ধিপাতা মিশ্রিত দুধ ও ক্ষীর অর্পন করা হয়।

চার প্রহর ধরে শিব লিঙ্গের পুজো হয়। প্রথম প্রহরে জল দিয়ে, দ্বিতীয় প্রহরে দই দিয়ে, তৃতীয় প্রহরে ঘি দিয়ে এবং চতুর্থ প্রহরে মধু দিয়ে শিব লিঙ্গের অভিষেক করতে হবে।

হিন্দু মহাপুরাণ তথা শিবমহাপুরাণ অনুসারে এইরাত্রেই শিব সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়ের মহা তান্ডব নৃত্য করেছিলেন । আবার এইরাত্রেই শিব ও পার্বতীর বিবাহ হয়েছিল । এর নিগুঢ় অর্থ হল শিব ও শক্তি তথা পুরুষ ও আদিশক্তি বা পরাপ্রকৃতির মিলন। এই মহাশিবরাত্রিতে শিব তার প্রতীক লিঙ্গ তথা শিবলিঙ্গ রূপে প্রকাশিত হয়ে জীবের পাপনাশ ও মুক্তির পথ দিয়েছিলেন।


মহাশিবরাত্রি ব্রতকথাঃ-

শিবমহাপুরাণ অনুসারে, অতি প্রাচীনকালে কাশীধামে এক নিষ্ঠুর ব্যাধ একদিন শিকারে বেরিয়ে জঙ্গলে পথ হারিয়ে রাতে হীংস্র জন্তুর ভয়ে এক গাছের উপর আশ্রয় নেয় । কোনো শিকার না পেয়ে সে হতাশ হয়ে গাছ থেকে একটা করে পাতা ছিঁড়ে নীচে ফেলতে থাকে । সেই গাছটি ছিল বেলগাছ । আর সেই বেলগাছের নীচে একটি শিবলিঙ্গ ছিল। সেদিন ছিল শিবচতুর্দশী অর্থাৎ মহাশিবরাত্রি। আর ব্যাধও ছিল অভুক্ত। তার ফেলা বেলপাতাগুলো শিবলিঙ্গের মাথায় পড়ে এবং গায়ের ঘামও। এর ফলে তার শিবচতুর্দশী ব্রতের ফল লাভ হয় তার অজান্তেই। পরদিন ব্যাধ বাড়ী ফিরে এলে তার খাবার সে এক অতিথিকে দিয়ে দেয়। এতে তার ব্রতের পারণ ফল লাভ হয়।
এর কিছুদিন পরে সেই ব্যাধ মারা গেলে যমদূতরা তাকে নিতে আসে। সেইসময় শিবদূতরা এসে যুদ্ধ করে যমদূতদের হারিয়ে ব্যাধকে নিয়ে যায়। যমরাজ তখন শিকার করেন যে শিবচতুর্দশী ব্রত পালন করে তার উপর যমের কোনো অধিকার থাকেনা। সে মুক্তিলাভ করে। এইভাবে মর্ত্যলোকে শিবচতুর্দশী ব্রতের প্রচার ঘটে।

★******************************************★
আমাদের বিশেষ পূজাঃ-
উক্ত দিনে বিশেষ যোগে শিবের অভিষেক ও তৎসহ একমুখী ও পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ শোধন ও একলক্ষ জপ দ্বারা রুদ্রাক্ষের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করন। যারা সংগ্রহ করতে চান, নিচের লিংকে পেমেন্ট করে অর্ডার দিন।

১মুখীর দক্ষিণাঃ
২৫০০ টাকা + ডাক ২০০টাকা অতিরিক্ত
https://www.payumoney.com/merchant/billTool/#/invoicePayment?invoicePriceDetailId=17C4D29074A3A44DF3B503431C7C9231

৫মুখীর দক্ষিণাঃ
৫০০ টাকা + ডাক ১০০টাকা অতিরিক্ত
https://www.payumoney.com/merchant/billTool/#/invoicePayment?invoicePriceDetailId=BAB03282E70BEAC3007BD044CB707511

*** প্রয়োজন হলে লিঙ্কটি copy করে Address bar এ pest করুন।

★******************************************★ 

১৪ই ফেব্রুয়ারী ২০১৮, বুধবার শিবচতুর্দ্দশীর উপবাস।
চতুর্দ্দশী মঙ্গলবার রাত্রি ১০টা ৪৯মিঃ থেকে বুধবার রাত্রি ১২টা ৪২মিঃ পর্যন্ত।

১৫ই ফেব্রুয়ারী ২০১৮, বৃহস্পতিবার শিবরাত্রি ব্রতের পারণ। সকাল ৯টা ৫৮মিঃ মধ্যে।

                                 

ঐ দিন ( ১৫ই ফেব্রুয়ারী ২০১৮, বৃহস্পতিবার) আমাবস্যার উপবাস ও নিশি পালন। বুধবার রাত্রি ১২টা ৪৩মিঃ থেকে বৃহস্পতিবার রাত্রি ২টা ১৫মিঃ পর্যন্ত।

ঐ দিন আংশিক সূর্যগ্রহণ। (ভারতে অদৃশ্য)।
******************************************
যদি আপনাদের কোন উপকারে লাগে তাহলে
আপনাদের সামর্থমত সাহায্য করুন।



or Paytm করুন এই নং-
Amit Chakraborty
No. 9830637766

******************************************


শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৮

সরস্বতী ও নীল সরস্বতী পূজার মন্ত্র ও জপ

        আগামী ২২/০১/২০১৮ তারিখ সোমবার মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথি। এই শুভ দিনে আমরা বিদ্যার অধিষ্টাত্রী দেবী সরস্বতীর বন্দনা করি। তিনি আমাদের বিদ্যা ও জ্ঞাণ প্রদান করেন।
         যাদের বিদ্যায় বার বার বাধা আসছে অথবা যারা বিশেষ স্থানাধীকার করতে আগ্রহী তারা এই শুভ দিনে সরস্বতীপূজার সাথে সাথে "নীল সরস্বতী"র আরাধনা করতে পারেন। "নীল সরস্বতীর কবচ" এবং চারমুখী রুদ্রাক্ষ ও ধারণ করতে পারেন। অথবা "সরস্বতী যন্ত্র" বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।
          সকালে স্নান সেরে সাদা বস্ত্র পরে এইভাবে ক্রম অনুযায়ী আরাধনা করতে হবে।

                                 



সরস্বতীর বন্দনাঃ
যা কুন্দেনু তুষার হার ধবলা যা শুভ্রবস্ত্রাবৃতা
যা বীণা বরদণ্ডমণ্ডিত করা যা শ্বেত পদ্মাসনা।
যা ব্রহ্মাচ্যুতশংকর প্রভৃতির্দেবৈঃ সদাবন্দিতা
সা মাং পাতুসরস্বতী ভগবতী নিঃশেষ জাড্যাপহাম্॥১॥

শুক্লাং ব্রহ্ম বিচার সার পরমাদ্যাং জগদ্ব্যাপিনীম্
বীণা পুষ্পক ধারিণীমভয়দাম্ জাড্যান্ধকারাপহাম।
হস্তে স্ফটিক মালিকাম্ বিদধতীম্ পদ্মাসনে সংস্থিতাম্
বন্দে ত্বাং পরমেশ্বরীম্ ভগবতীম্ বুদ্ধিপ্রদাম্ সারদাম্॥২॥

সরস্বতীর ধ্যানঃ
ওঁ সরস্বতী ময়া দৃষ্টবা, বীণা পুস্তক ধারণীম্।
হংস বাহিনী সমাযুক্তা মা বিদ্যা দান করেতু মে ওঁ।।

সরস্বতীর জপ মন্ত্রঃ
ওঁ বদ্ বদ্ বাগ্বাদিনি স্বাহা।

সরস্বতীর প্রণাম মন্ত্রঃ
ওঁ সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে।
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষি বিদ্যাং দেহি নমোহস্তু তে।।

সরস্বতীর প্রণাম মন্ত্রঃ (বিদ্যারম্ভে প্রণাম মন্ত্র)
ওঁ সরস্বতী নমস্তুভ্যং বরদে কামরূপিণি।
বিদ্যারম্ভং করিষ্যামি সিদ্ধির্ভবন্তু মে সদা।।

অঞ্জলিঃ
ওঁ ভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈ নমো নমঃ।
বেদ-বেদাঙ্গ-বেদান্ত-বিদ্যাস্থানেভ্যঃ এব চ।।

সরস্বতী যন্ত্র ঃ 
            এই যন্ত্র স্থাপন করলে বিদ্যায় অত্যন্ত শুভ ফল লাভ সম্ভব।  নিদানপক্ষে যন্ত্রটি লাল কালিতে কাগজে লিখে বা প্রিন্ট করে পড়ার টেবিলে রাখলে বা বই-এর উপরে লাগিয়ে রাখলেও খানিক শুভ ফল পাওয়া যায়।
                                           


সরস্বতী কবচ ঃ ধারণেও অত্যন্ত শুভ ফল লাভ হয়। তবে এক্ষেত্রে সাধকের সাহায্য নেওয়া উচিৎ।

*********************************************
এর পর নীল সরস্বতীর মন্ত্র জপ করতে হবে। দশ মহাবিদ্যার অন্যতম দেবী তাঁরা কে নীল সরস্বতী রূপে বন্দনা করা হয়।
                                   


নীল সরস্বতীর মূল মন্ত্রঃ
ঐং ওং হ্রীং স্ত্রীং হূং ফট্।

নীল সরস্বতীর মহামন্ত্রঃ
ওং হ্রীং শ্রীং হ্রীং ঐং হূং নীল সরস্বতী ফট্ স্বাহা।

                                   

এছাড়া আর কিছু উপায় বিদ্যার উন্নতি সাধন সম্ভব। যেমন চারমুখী রুদ্রাক্ষ ও জপ করে ধারণ করা যেতে পারে।
ত্রিপুরা সুন্দরীর পূজাও এই বিশেষ দিনে করা যেতে পারে। ত্রিপুরা সুন্দরী বুধের দেবতা। বুদ্ধির কারক। তাই জড়বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিগণও ত্রিপুরা সুন্দরীর মন্ত্র জপ করে সুফল পেতে পারেন। যারা নিজে জপ করতে অসামর্থ তাদের পরিবারের যে কোন সদস্য বিশেষতঃ মা, বাবা, ভাই অথবা বোন তাদের হয়ে জপ করতে পারেন।

                                          


ত্রিপুরা সুন্দরীর মূলমন্ত্রঃ
"ওঁ এং হ্রীং শ্রীং ত্রিপুরা সুন্দরীয়ৈ নমঃ।"
অথবা "হুম শ্রীং হ্রীং বজ্র  ভারচান্যে হুম হুম ফট্ এং।"

*****************************************
যদি আপনাদের কোন উপকারে লাগে তাহলে
আপনাদের সামর্থমত সাহায্য করুন।



or Paytm করুন এই নং-
Amit Chakraborty
No. 9830637766

******************************************