বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

শিবরাত্রি

শিবরাত্রি পূজা পদ্ধতি ও ফলাফলঃ-
                                   


শিবরাত্রি ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয়। সকল ব্রতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হল এই শিবরাত্রি। রাত্রি অর্থাৎ অন্ধকার আর অজ্ঞতা দূর করার জন্য এই ব্রত পালিত হয়।  আগের দিন শিবভক্তগণ সংযম অর্থাৎ নিরামিষ আহার করেন। ব্রতের দিন সকালে গরম জল আর তিল দিয়ে স্নান করে নিজেকে শুদ্ধ করে উপবাসী থেকে রাতে চার প্রহরে শিবলিঙ্গকে দুধ, দই, ঘৃত, মধু ও গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করিয়ে বেলপাতা, নীলকন্ঠ ফুল, ধুতুরা, আকন্দ, অপরাজিতা প্রভৃতি ফুল এবং কুমকুম ও চন্দন দিয়ে পূজা করা হয়। আর  ‘ওঁ নমঃ শিবায়’ এই মহামন্ত্র জপ করা হয় । ভগবান শিবকে ভাঙ এবং সিদ্ধিপাতা মিশ্রিত দুধ ও ক্ষীর অর্পন করা হয়।

চার প্রহর ধরে শিব লিঙ্গের পুজো হয়। প্রথম প্রহরে জল দিয়ে, দ্বিতীয় প্রহরে দই দিয়ে, তৃতীয় প্রহরে ঘি দিয়ে এবং চতুর্থ প্রহরে মধু দিয়ে শিব লিঙ্গের অভিষেক করতে হবে।

হিন্দু মহাপুরাণ তথা শিবমহাপুরাণ অনুসারে এইরাত্রেই শিব সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়ের মহা তান্ডব নৃত্য করেছিলেন । আবার এইরাত্রেই শিব ও পার্বতীর বিবাহ হয়েছিল । এর নিগুঢ় অর্থ হল শিব ও শক্তি তথা পুরুষ ও আদিশক্তি বা পরাপ্রকৃতির মিলন। এই মহাশিবরাত্রিতে শিব তার প্রতীক লিঙ্গ তথা শিবলিঙ্গ রূপে প্রকাশিত হয়ে জীবের পাপনাশ ও মুক্তির পথ দিয়েছিলেন।


মহাশিবরাত্রি ব্রতকথাঃ-

শিবমহাপুরাণ অনুসারে, অতি প্রাচীনকালে কাশীধামে এক নিষ্ঠুর ব্যাধ একদিন শিকারে বেরিয়ে জঙ্গলে পথ হারিয়ে রাতে হীংস্র জন্তুর ভয়ে এক গাছের উপর আশ্রয় নেয় । কোনো শিকার না পেয়ে সে হতাশ হয়ে গাছ থেকে একটা করে পাতা ছিঁড়ে নীচে ফেলতে থাকে । সেই গাছটি ছিল বেলগাছ । আর সেই বেলগাছের নীচে একটি শিবলিঙ্গ ছিল। সেদিন ছিল শিবচতুর্দশী অর্থাৎ মহাশিবরাত্রি। আর ব্যাধও ছিল অভুক্ত। তার ফেলা বেলপাতাগুলো শিবলিঙ্গের মাথায় পড়ে এবং গায়ের ঘামও। এর ফলে তার শিবচতুর্দশী ব্রতের ফল লাভ হয় তার অজান্তেই। পরদিন ব্যাধ বাড়ী ফিরে এলে তার খাবার সে এক অতিথিকে দিয়ে দেয়। এতে তার ব্রতের পারণ ফল লাভ হয়।
এর কিছুদিন পরে সেই ব্যাধ মারা গেলে যমদূতরা তাকে নিতে আসে। সেইসময় শিবদূতরা এসে যুদ্ধ করে যমদূতদের হারিয়ে ব্যাধকে নিয়ে যায়। যমরাজ তখন শিকার করেন যে শিবচতুর্দশী ব্রত পালন করে তার উপর যমের কোনো অধিকার থাকেনা। সে মুক্তিলাভ করে। এইভাবে মর্ত্যলোকে শিবচতুর্দশী ব্রতের প্রচার ঘটে।

★******************************************★
আমাদের বিশেষ পূজাঃ-
উক্ত দিনে বিশেষ যোগে শিবের অভিষেক ও তৎসহ একমুখী ও পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ শোধন ও একলক্ষ জপ দ্বারা রুদ্রাক্ষের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করন। যারা সংগ্রহ করতে চান, নিচের লিংকে পেমেন্ট করে অর্ডার দিন।

১মুখীর দক্ষিণাঃ
২৫০০ টাকা + ডাক ২০০টাকা অতিরিক্ত
https://www.payumoney.com/merchant/billTool/#/invoicePayment?invoicePriceDetailId=17C4D29074A3A44DF3B503431C7C9231

৫মুখীর দক্ষিণাঃ
৫০০ টাকা + ডাক ১০০টাকা অতিরিক্ত
https://www.payumoney.com/merchant/billTool/#/invoicePayment?invoicePriceDetailId=BAB03282E70BEAC3007BD044CB707511

*** প্রয়োজন হলে লিঙ্কটি copy করে Address bar এ pest করুন।

★******************************************★ 

১৪ই ফেব্রুয়ারী ২০১৮, বুধবার শিবচতুর্দ্দশীর উপবাস।
চতুর্দ্দশী মঙ্গলবার রাত্রি ১০টা ৪৯মিঃ থেকে বুধবার রাত্রি ১২টা ৪২মিঃ পর্যন্ত।

১৫ই ফেব্রুয়ারী ২০১৮, বৃহস্পতিবার শিবরাত্রি ব্রতের পারণ। সকাল ৯টা ৫৮মিঃ মধ্যে।

                                 

ঐ দিন ( ১৫ই ফেব্রুয়ারী ২০১৮, বৃহস্পতিবার) আমাবস্যার উপবাস ও নিশি পালন। বুধবার রাত্রি ১২টা ৪৩মিঃ থেকে বৃহস্পতিবার রাত্রি ২টা ১৫মিঃ পর্যন্ত।

ঐ দিন আংশিক সূর্যগ্রহণ। (ভারতে অদৃশ্য)।
******************************************
যদি আপনাদের কোন উপকারে লাগে তাহলে
আপনাদের সামর্থমত সাহায্য করুন।



or Paytm করুন এই নং-
Amit Chakraborty
No. 9830637766

******************************************


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন