শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০

 


নবরাত্রির নয় আরাধ্য দেবী ও তাঁর মন্ত্র।


১ম দিন- মা শৈলপুত্রী।

(৩০শে আশ্বিন ১৭ই অক্টোবর শনিবার প্রতিপদ রাত্রি ১১টা ২২মি ৫৯সে পর্য্যন্ত)

ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের শক্তি রয়েছে এনার কাছে। ইনি শক্তির দেবী। আমরা শক্তি লাভের আশায় এনার পূজা করি।  মন্ত্রঃ ওম্ হ্রীং শ্রী শৈলপুত্রী দুর্গায়ৈ নমঃ।।


২য় দিন- মা ব্রহ্মচারিণী।

(১লা কার্ত্তিক ১৮ই অক্টোবর রবিবার দ্বিতীয়া রাত্রি ০৯টা ০মি ০১সে পর্য্যন্ত)

ইনি হলেন মোক্ষ লাভের দেবী। আমরা এনার পূজা করি মোক্ষ লাভের আশায়।  বিশেষত সাধু-সন্ত বা যোগীরা এনার সাধনা করেন মোক্ষ লাভের আশায়।  মন্ত্রঃ ওম্ হ্রীং শ্রী ব্রহ্মচারিণী দুর্গায়ৈ নমঃ।।


৩য় দিন- মা চন্দ্রগন্ধা। 

(২রা কার্ত্তিক ১৯শে অক্টোবর সোমবার তৃতীয়া সন্ধ্যা ০৬টা ৪৩মি ০৩সে পর্য্যন্ত)

ইনি হলেন যুদ্ধের দেবী। যুদ্ধে জয়লাভের জন্য এনার  আশির্বাদ অত্যন্ত প্রয়োজন।  মন্ত্রঃ ওম্ হ্রীং শ্রী চন্দ্রগন্ধা দুর্গায়ৈ নমঃ।।


৪র্থ দিন- মা কুশমুণ্ডা।

(৩রা কার্ত্তিক ২০শে অক্টোবর মঙ্গলবার চতুর্থী বিকাল ০৪টা ৩৬মি ০৫সে পর্য্যন্ত)

মা কুশমুন্ডা হলেন আলোর প্রকাশ। যেমন আলো প্রতিফলিত না হলে অন্ধকার হয়ে যায় পৃথিবী ঠিক তেমনি নিজের জাবনের সকল অন্ধকার দূর করতে এবং জীবনে আলোর প্রকাশ ঘটাতে মা কুশমন্ডার পূজা করা হয়।  মন্ত্রঃ ওম্ হ্রীং শ্রী কুশমুণ্ডা দুর্গায়ৈ নমঃ।।


৫ম দিন-  স্কন্দমাতা।

(৪ঠা কার্ত্তিক ২১শে অক্টোবর বুধবার পঞ্চমী দুপুর ০২টা ৪৪মি ৩১সে পর্য্যন্ত)

স্কন্দমাতা হলেন কার্ত্তিকের মা। ইনি শত্রু বিনাশক। তাই শত্রুর বিনাশ ঘটাতে এনার পূজা করা হয়। মন্ত্রঃ ওম্ হ্রীং শ্রী স্কন্দমাতা দুর্গায়ৈ নমঃ।।


৬ঠ দিন- মা কাত্যায়নী।

(৫ই কার্ত্তিক ২২শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার ষষ্ঠী দুপুর ০১টা ১২মি ১০সে পর্য্যন্ত)

কাটো নামে এক সাধু বা যোগী ঋষি তাঁর কঠোর সাধনার দ্বারা  দেবীকে তুষ্ট করে  দেবীকে নিজের কন্যা সন্তানরূপে কামনা করেছিলেন। তার ফল স্বরূপ দেবী স্বয়ং তাঁর কন্যা হয়ে জন্ম নিয়েছিলেন। এই করাণে  সুসন্তান লাভের আশায় বা যারা বহু দিন ধরে সন্তান সুখ থেকে বঞ্চিত বা সন্তান লাভে অপারগ  তারা এই দিন মা কাত্যায়নীর পূজা করেন।  মন্ত্রঃ ওম্ হ্রীং শ্রী কাত্যায়নী দুর্গায়ৈ নমঃ।।


৭ম দিন- মা কালারাত্রি।

(৬ই কার্ত্তিক ২৩শে অক্টোবর শুক্রবার সপ্তমী দুপুর ১২টা ০৪মি ১৯সে পর্য্যন্ত)

মা কালরাত্রি কৃষ্ণবর্ণের দেবী। যার এলোমেলো চুল, যার নাক দিয়ে অবিরত অগ্নিশিখা নির্গত হয়। নির্ভিক তার চোখ। মানুষ ভয় দূর করতে এনার পূজা করেন।  মন্ত্রঃ ওম্ হ্রীং শ্রী কালারাত্রি দুর্গায়ৈ নমঃ।।


৮ম দিন- মা মহাগৌরী।

(৭ই কার্ত্তিক ২৪শে অক্টোবর শনিবার অষ্টমী দুপুর ১১টা ২২মি ৪১সে পর্য্যন্ত)

ইনি প্রথমে ছিলেন কৃষ্ণবর্ণের দেবী। ভগবান শিব গঙ্গা জলে তার গাত্র ধৌত করে তাকে উজ্জ্বল গৌরবর্ণের দেবীতে রূপান্তরিত করেন। আমরা যারা দ্রুত ফল লাভের আশা করি তারা অবশ্যই মা মহাগৌরীর পূজা করে থাকি।   মন্ত্রঃ ওম্ হ্রীং শ্রী মহাগৌরী দুর্গায়ৈ নমঃ।।


৯ম দিন- মা সিদ্ধিদাত্রী।

(৮ই কার্ত্তিক ২৫শে অক্টোবর রবিবার নবমী দুপুর ১১টা ১১মি ১৫সে পর্য্যন্ত)

ইনি সকলকে সিদ্ধি প্রদান করেন। যোগী, সাধক, সন্ন্যাসী, তান্ত্রিক সকলেই নিজ নিজ সাধনায়  সিদ্ধি লাভের আশায় এনার পূজা করে থাকেন। মন্ত্রঃ ওম্ হ্রীং শ্রী সিদ্ধিদাত্রী দুর্গায়ৈ নমঃ।।


নয় দিন ধরে মায়ের এই নব রূপের আরাধনা করলে কোন কিছুই তার পথের বাধা হতে পারে না। সে হয়ে ওঠে অজেয়, অমর। অমর এখানে নিরোগ দেহ বোঝায়। পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি দেখা দেয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন