মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৯

পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনের দৈব টেকনিক



এখন চারিদিকে পরীক্ষার মরশুম। শুধু পরীক্ষার্থী নয়, তার মা-বাবারও একই চিন্তা রেজাল্ট কেমন হবে। কিভাবে একটু বেশী নম্বর পাওয়া যাবে। পড়াশুনার কোন বিকল্প নেই। প্রচুর পড়তে হবে। যারা সারাবছর ধরে পড়াশুনা করে তাদের অপেক্ষাকৃত চিন্তা কম। তবু টেনশনতো থাকেই। তারই ফলস্রুতিতে অনেকে পরীক্ষার সময় সব গুলিয়ে ফেলে। কন্ফিডেন্স হারিয়ে ফেলে। এতে পরীক্ষা আরও খারাপ হয়।

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে বুধ, রবি ও বৃহস্পতি এই তিনটি গ্রহ সরাসরিভাবে বিদ্যার সঙ্গে যুক্ত। ১) বুধ হল বুদ্ধির কারক গ্রহ। বুধ দুর্বল হলে স্মৃতিশক্তি দূর্বল হবে, পড়া ভুলে যাবে অথবা এতটাই চঞ্চল হবে পড়তেই বসবে না। ২) রবি হল confidence এর প্রতিক গ্রহ। রবি দূর্বল হলে আত্মবিশ্বাস থাকবে না। নিজেকে প্রকাশ করার ক্ষমতাও থাকবে না। শুধু পড়াশুনা করলেই হবে না, নিজের উপলব্ধি সঠিক ভাবে প্রকাশ করতে না পারলেও পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব নয়। ৩) বৃহস্পতিকে ফল দায়ী গ্রহ হিসাবে জানি। অর্থাৎ রেজাল্টটা পুরোপুরিভাবে নির্ভর করে এই বৃহস্পতির দ্বারা। বৃহস্পতি শুভ হলে জাতক ছোটবেলা থাকেই একটা standered result maintain করে আসে।

সমস্যাগুলোই শেষ কথা নয়। এর থেকে পরিত্রাণের অতি সহজ উপায় ও আছে। প্রতিদিন স্নান করে সূর্য্যদেবকে নিন্মোক্ত মন্ত্রে অর্ঘ দিলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া যায়।

নিয়মাবলী - তামার ঘটীতে বা কোশা বা কুশীতে জল নিয়ে তাতে সামান্য একটু আতপ চাল, দূর্বা ও একটি জবা ফুল (ফুলের অভাবে শুধু আতপ চাল ও দূর্বা দিলেও চলবে।) দিয়ে দুহাতের অঞ্জলীতে নিয়ে পূর্ব নিন্মোক্ত মন্ত্র পাঠ করে অন্য কোন তামার পাত্রে (যা পরে জলে ফেলতে হবে) বা তুলসী গাছের গোড়ায় অথবা অশথ্ব বা অন্য কোন গাছের গোড়ায় পুরোটা ঢেলে দিতে হবে। বাড়ীতে যদি কুয়া বা পুকুর থাকে বা বাড়ীর কাছে যদি নদী থাকে তো সোনায় সোহাগা।

ব্রাহ্মণগণ-

কাশ্যপ গোত্রায় প্রকাশ শক্তি সহিতায় শ্রী সূর্য্যায়
ওঁ নমঃ বিবস্বতে ব্রহ্মণ্ ভাস্বতে বিষ্ণুতেজসে জগৎ সবিত্রে সূচয়ে কর্মদায়িনে, ইদমর্ঘ্যং ভগবতে শ্রীসূর্য্যায় স্বাহা।

অথবা,

কাশ্যপ গোত্রায় ছায়া সঙ্ঘা সহিতায় শ্রী সূর্য্যায়
ওঁ নমঃ বিবস্বতে ব্রহ্মণ্ ভাস্বতে বিষ্ণুতেজসে জগৎ সবিত্রে সূচয়ে কর্মদায়িনে, ইদমর্ঘ্যং ভগবতে শ্রীসূর্য্যায় স্বাহা।

অব্রাহ্মণ বা মহিলারা-

এহি সূর্য্যঃ সহস্রাংশো তেজরাশে জগৎপতে।
অনুকম্পয় মাং ভক্তং গৃহানার্ঘ্যং দিবাকরম্।।
এষোহর্ঘ্যঃ ভগবতে শ্রীসূর্য্যায় নমঃ।।

প্রণাম মন্ত্র- (সবার জন্য)

ওঁ জবা কুসুম সংঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যূতিং।
ধান্তারিং সর্ব্বপাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরম্।।



২টি মন্তব্য:

  1. মন্ত্র পাঠ কে করবে? ছাত্র না তার মাতা, পিতা।

    উত্তরমুছুন
  2. যদি ব্রাহ্মণ মেয়ে হয় তাহলে তার জন্য কি ওই একই মন্ত্র হবে

    উত্তরমুছুন