বৃহস্পতিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৮


১) পান অভিমন্ত্রিত করে বশীকরনঃ-

হরে পান হরিয়ালে পান।। চিকনী সুপারী শ্বৈত খৈর।। দাহিনে কর চুনা।। মোহি লেয় পান।। হাথ মে দে।। ঞাথ রস দে।। এ পেট মে ইয়া।। পেট রস লে।। শ্রী নরসিংহ বীর।। থারী শক্তি।। মেরী ভক্তি। ফুরো মন্ত্র।। ঈশ্বর মহাদেব কী বাচা।।

       উপরি লিখিত মন্ত্র একটি সতেজ পানে অভিমন্ত্রিত করে কোন নারীকে খেতে দিলে উক্ত নারী সাধকের বশ হবে। আগে মন্ত্রটি বিধি অনুযায়ী সিদ্ধ করে নিতে হবে। তারপর ৭বার বা ২১বার অভিমন্ত্রিত করতে হবে।

২) দ্রুত বশ করার মন্ত্র। এই মন্ত্রটিকে আগে বিধিমত জপ করে সিদ্ধ করে নিতে হবে। পরে কোন নারীকে উদ্দেশ্য করে ৭বার বা ২১বার জপ করলে কার্য্য সিদ্ধ হবে।

মন্ত্রঃ-  ওঁ কামদেবায় কামবশম কামবশম করায় অমুকস্য হৃদয়ম স্তম্ভয়।

৩)   (এটি একটি স্বয়ংসিদ্ধ মন্ত্র)
ওঁ নমো নমঃ বিশানী রূপ ত্রিশূলে
খড়্গহস্তে সিংহারুরে (অমুকং) মে
বশমাগচ্ছ বশমাগচ্ছ কুরু কুরু স্বাহা।।

উক্ত মন্ত্রটি একটি স্বয়ংসিদ্ধ মন্ত্র যা সিদ্ধ করার কোন প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র এই মন্ত্র পড়েই যেকোন নারীকে বশ করা যায়।

৪) সাময়িক ভাবে কোন পুরুষ বা নারীর যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির মন্ত্রঃ-
মাকরান, মাকরান, জাবরান জাবরান,
হুবাহু কুস্তুরে হায়্যুল হায়্যুল মাকজাল।

       উপরিউক্ত মন্ত্র প্রথমে ১২৩৩ বার জপ করে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এর পর কোন খাদ্যদ্রব্যের উপর ২১ বার অভিমন্ত্রিত করে কোন পুরুষ বা মহিলাকে খেতে দিতে হবে। এই বিশেষ বশীকরন কেবলমাত্র ১ঘন্টা কার্য্যকারী থাকে। এর মধ্যেই আপনাকে আপনার কার্য্য সিদ্ধ করে নিতে হবে। অন্যথায় এই মন্ত্রের কোন সুফল পাওয়া যাবে না।

৫) নারী ও পুরুষ বশীকরনের আর একটি শক্তিশালী মন্ত্র। এটি একটি সাবর মন্ত্র ও অত্যন্ত প্রাচীন। সাবর মন্ত্র উচ্চারণ সহজ হলেও অনেক সময় মনে হয় মন্ত্রে কোথাও ভুল আছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই সাবর মন্ত্র কোনরকম পরিবর্তন না করেই উচ্চারণ করতে হয়। সাবর মন্ত্র স্বয়ং সিদ্ধ তাই একে সিদ্ধ করতে হয়না।

কামরুপদেশ কামাক্ষা দেবী।
তহা বসে ইস্মায়ল। যোগী নে।
দীস্থা বীড়, পহলা বীড়া।
আতো জাতী, দূজা বীড়।
দিখাবে ছাতীং তীজা বীড়া।
অঙ্গ লিপটাই ফুরে মন্ত্র। ঈশ্বরো বাচা।
দুহাই গুরু গোরখনাথ কী।

৬) চুল দিয়ে নারী বশীকরণ। কোন নারীর চুল নিয়ে এসে নিম্নলিখিত মন্ত্র ২১ বার পাঠ করে সেই চুল আগুনে পুড়িয়ে তা কোন কবচে ভরে নিজ হাতে ধারণ করলে উক্ত নারীকে বশ করা যায়। মন্ত্রটি আগে বিধীমত জপ করে সিদ্ধ করে নিতে হবে।

ওম কঙ্কালী, মহাকালী, কেলি কলা ভ্যাঙ্গে স্বাহা।

৭) সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার সময় নিজ হাতের কড়তল দর্শন করে নিন্মোক্ত মন্ত্র পাঠ করলে প্রচুর অর্থ অর্জন করা যায়।

করাগরে বসতি লক্ষী, করমোধ্য সরস্বর্তী
করমূলে তু গোবিন্দ, প্রভাতে কর দর্শনম।।

Late Marriage / বিবাহ বিলম্ব



বিবাহ এক সামাজিক বন্ধন বা প্রথা, যা শুধু দুটি মানুষের মধ্যে নয় দুটি পরিবারে মধ্যেও নিবীঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলে। পূর্বে বাল্যকালে বিবাহ দেওয়ার প্রচলন ছিল ঠিকই কিন্তু আধুনা সরকার নির্ধারিত বয়সের পরেই বিবাহ দেওয়ার অধিক প্রচলন। অনেক সময় দেখা য়ায যে, বিবাহের বয়স অতিক্রম করা স্বত্বেও অনেকের বিবাহ হয় না। বিশেষ করে এই সমস্যা মেযেদের বা তাঁর পরিবারকে বেশী পোহাতে হয়।
বিবাহ বিলম্বের বা বিবাহ একেবারেই না হওয়া বা বিবাহ বিচ্ছেদের অনেক রকম কারণ আছে। আমরা এখানে সেই জটিলতায় যাব না। রাশিচক্রের কোন অবস্থানের জন্য এই ধরণের সমস্যা আসতে পারে বা এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় কি সেই নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা।
রাশিচক্রের সপ্তমস্থান বা কালপুরুষের সপ্তমস্থান হল তুলা রাশি বা শুক্র গ্রহ। সপ্তমস্থান থেকেই জাতক জাতিকার বিবাহ বিচার করা হয়। দাম্পত্য জীবনে যেহেতু যৌনতার সমাদর রয়েছে সেহেতু বিবাহ বিচারে শুক্রকে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়। আবার শুক্র সৌখিনতার কারক গ্রহ। তাই জীবনে সুখ ও শান্তি পেতে এর শুক্রকে বলবান হতেই হয়।
আবার মঙ্গল যোদ্ধা গ্রহ হলেও মেয়েদের বিবাহের জন্য মঙ্গলকে বিশেষ প্রধান্য দেওযা হয়। মঙ্গল হল কালপুরুষের লগ্ন ও অষ্টমভাবাধীপতি।তাই এই মঙ্গল নারীদেহকে প্রভাবিত করে। মঙ্গলের শুভ প্রভাব বিয়ের আকাঙ্খা জাগ্রত করে। আবার এই মঙ্গল যদি লগ্ন(১), চতুর্থ(৪), সপ্তম(৭), অষ্টম(৮) ও দ্বাদশ(১২) স্থানে অবস্থান করে তাহলে জাতক বা জাতিকার ভৌম্যদোষ দেখা দেয়। এটি একটি অশুভ যোগ। শাস্ত্রমতে রাশিচক্রে এই যোগ থাকলে জাতক জাতিকার বিবাহে বিড়ম্বনা দেখা দেয়, বা বিবাহে অহেতুক দেড়ি হয় বা বিবাহই হয় না। যদিও কখনো হয় বিবাহিত জীবন সুখের হয় না। দাম্পত্য কলহ, অশান্তি, বিচ্ছেদ এমন কি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোন একজনের মৃত্যু পর্য্যন্ত হতে পারে।
শনি নৈসর্গিক অশুভ গ্রহ হলেও বিবাহে এর বেশ অবদান রয়েছে। ইদানিংকালে শনিকে অনেক সময় বিবাহের ঘটক হিসাবে কাজ করতে দেখা যায়। শনির দশা বা অন্তর্দশায় বিবাহের যোগ লক্ষ্য করা যায়। আবার শনি রাশিচক্রের দ্বিতীয়ে অবস্থান করলে বিবাহে বিলম্ব দেখা দেয় বা বিবাহই হয় না।
লগ্নপতি বা সপ্তমপতি যদি শুভ ভাবে থাকে এবং লগ্ন বা সপ্তমে যদি কোন গ্রহ শুভভাবে অবস্থান করে তবে জাতক বা জাতিকার বিবাহিত জীবন অত্যন্ত সুখের হবে। কিন্তু যদি ভাবপতি অশুভ ভাবে থাকে বা লগ্ন বা সপ্তমস্থান কোন অশুভ গ্রহ দ্বারা প্রভাবিত হয় তাহলে বিবাহিত জীবন সুখের হয় না। এখানে যেমন বিবাহে নানা রকমের বাধা আসতে পারে তেমনি জীবনে নানা রকমের সমস্যাও আসতে পারে।
বিবাহের সঠিক অনুমানের জন্য নবাংশচক্র বা সাথীচক্র খুব ভালকরে বিচার প্রয়োজন। উপরে উল্লিখিত সমস্ত রকমের বিচার নবাংশচক্রের নিরিখে পুনরায খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
যদি বিবাহে বিলম্ব দেখা দেয় বা বিবাহ ঠিক হয়ে গিয়েও ভেঙ্গে যায় অথবা বিয়ের জন্য যথেষ্ট সম্বন্ধ না আসে তাহলে নিম্নে দেওয়া টিপস ও টোটকাগুলো প্রয়োগ করে দেখে নিতে পারেন।

১) নিজ হাতে পায়েস রান্না করে শিব মন্দিরে ভোগ হিসাবে দিন ও নিজেরা সেই প্রসাদ গ্রহণ করুন। দেখবেন বিয়ের বাধা কাটবে।
২) কাঁচা হলুদ মিশ্রিত জলে প্রতিদিন স্নান করুন।
৩) তুলসি গাছে জাফরাণ জল প্রতিদিন ঢালুন।  
৪) চার সপ্তাহ বা ষোল (১৬) সোমবার শিবের ব্রত করা যেতে পারে। সারাদিন উপবাস থেকে দেবী পার্বতীর মত নিজেকে সাজিয়ে পবিত্র মনে শিব / পার্বতীর মন্দিরে গিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে শীঘ্র বিয়ের সংকল্প বা মনোষ্কামনা করে পূজো দিয়ে শিব-পার্বতীকে স্বাক্ষী করে আঁচলে গিঁঠ বাধলে শীঘ্র বিয়ে হবে এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।
৫) লাল শাড়ি, চুড়ি ও সিন্দুর শিব মন্দিরে পার্বতীর উদ্দেশ্যে উপহার দিলেও বিবাহ বাধা কাটে।
৬) বাড়িতে খরগোস পুষে তাকে নিয়মিত নিজ হাতে খাওয়ালেও বিবাহের যোগ সৃষ্টি হয়।
৭) অবিবাহিত কন্যাকে তার অজান্তে তাজা জবা গাছের ডাল দিয়ে আচমকা আঘাত করলে কন্যার শীঘ্র বিবাহের সম্ভবনা দেখা দেয়।
৮) দুর্গাপুজা, কালিপূজা, লক্ষীপূজা, বাসন্তিপূজা বা অন্নপূর্ণাপূজার পর বিসর্জনের সময় দেবী মূর্ত্তি বেদী থেকে তোলা মাত্র যদি অবিবাহিত কোন কন্যাকে সেই বেদীতে জোড় করে তার অজান্তে ঠেলে বসিয়ে দেওয়া হয়, বছর ঘুরতে না ঘুরতে তার বিবাহ হয়ে যায় এতে কোন সন্দেহ নেই।
৯) রুপোর বাঁশি তৈরী করে রাধা-কৃষ্ণের মন্দিরে দান করতে হবে। রাধা-কৃষ্ণের মূর্ত্তি বা ফটো পূর্বদিকের দেওয়ালে ও ময়ূরের পালক দক্ষিণ-পূর্ব কোণে ঝোলাতে হবে। এতে বিবাহ ভাঙবে না এবং দ্রুত্র বিবাহ সম্পন্ন হবে। এখানে একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, বিবাহ হয়ে গেলে অষ্টমঙ্গলায় বর-বধু আসার আগেই সেই মূর্ত্তি ও পালক সরিয়ে ফেলতে হবে বা কোন মন্দিরে দান করে দিতে হবে। এই টোটকাটি অত্যন্ত ফলপ্রসু ও বহুজন দ্বারা পরীক্ষিত।
১০) যদি দেখা যায় বিয়ের কোন সম্বন্ধ আসছে না বা খুবই কম আসছে তাহলে প্রতি বৃহস্পতিবার হলুদ রঙের কোন নতুন পোষাক এবং শুক্রবার সাদা রঙের কোন নতুন পোষাক কন্যাকে পারাতে হবে। এইভাবে চার(৪) সপ্তাহ পালন করলে সম্বন্ধ আসা শুরু হবে। কোন সম্বন্ধ এলে তখন আবার নতুন কাপড় পরিয়ে কন্যাকে পাত্রের সামনে উপস্থিত করতে হবে। দেখবেন কথা পাকা হয়ে যাবে। যদি এতেও না হয় তাহলে পুনরায় একইভাবে চার(৪) সপ্তাহের ব্রত পালন করতে হবে।
১১) যখন বিয়ের জন্য কোন পাত্র নিজে কোন পাত্রীকে দেখতে আসবে তখন কন্যাকে চুল খোলা রেখে আনন্দ সহকারে পাত্রের সামনে বসাতে হবে এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার তাকে খেতে দিতে হবে। এতে পাত্রের মন নরম হবে এবং বিয়েতে সম্মতি দেবে।
১২) বহু ব্যবহৃত হওয়া কোন পুরান তালা (বন্ধ অবস্থায়) কোন অবিবাহিত মেয়ের মাথার উপর দিয়ে তার বিয়ের কথা চিন্তা করতে করতে সাত(৭)বার ঘুরিয়ে কোন চৌরাস্তার মোড়ে ফেলে দিয়ে আসতে হবে। ফেলার পর আর পিছনে ফিরে দেখা যাবে না। খেয়াল রাখতে হবে যাতে তাকে কেউ দেখতে না পারে। তাই এই সকল কাজ অত্যন্ত ভোরে করাই বাঞ্ছনিয়। সম্পূর্ণ কার্য্য সঠিক ভাবে করতে পারলে নিশ্চিতভাবে বিবাহ সম্পন্ন হবে বলে মনে করা হয়।
১৩) বিবাহ অনুষ্ঠান হচ্ছে এমন কোন বাড়ি থেকে যদি পাত্র বা পাত্রীর গায়ের হলুদ  লুকিয়ে নিয়ে এসে বিয়ে হচ্ছে না এমন কোন পাত্র বা পাত্রীর গায়ে লাগান যায় তাহলে নিশ্চিতভাবে বলা যায় তাদের শীঘ্র বিয়ে হয়ে যাবে। এটি বহুজনপরীক্ষিত ও প্রাচীন।
১৪) কুমোরেরা হাঁড়ি, পাতিল তৈরী করার সময় যে, ডান্ডা বা লাঠি ব্যবহার করে, সেই লাঠি বা ডান্ডা লুকিয়ে বা অর্থ ও ফল মিষ্টির বিনিময়ে নিয়ে এসে অবিবাহিত নারীর বিছানায় মাথার নিচে রেখে দিলে দ্রুত বিয়ের সম্ভবনা দেখা দেয়।
১৫) নবরাত্রীর প্রথম দিন বা দুর্গাপূজো বা বাসন্তিপূজোর ঘট স্থাপনের দিন নিজের বয়সের সমান লবঙ্গ একটা লাল সূতোয় মালার মতো বেধে দেবতার পায়ে অর্পণ করার পর পূজো শেষে তা কোন প্রবাহিত জলে বিসর্জন দিলে বিবাহের সম্ভবনা দেখা দেয়।




রাশিচক্রে বিবাহের বাধা কাটানোর কয়েকটি বিশেষ উপায়ঃ-
১) ১৫ থেকে ২০ রতি রক্তপ্রবাল ধারণ করা যেতে পারে।
২) ৪ থেকে ৬রতি পোখরাজও ধারণ করা যেতে পারে।
৩) ৩মুখী রুদ্রাক্ষ মঙ্গলের জন্য এবং ৯মুখী রুদ্রাক্ষ দেবী দুর্গার ধারণেও বিয়ের জন্য উপকারী।
৪) প্রজাপতী কবচ বা গৌরি কবচ ধারণে অসাধারণ শুভ ফল লাভ করা যায়। এব্যাপারে জানিয়ে রাখা ভাল যেকোন অভিজ্ঞ তান্ত্রীক বা কোন বৈদিক পণ্ডিত-এর কাছ থেকেই এই ধরণের কবচ বানানো যেতে পারে। তবে কবচ ধারণে বিশেষ কিছু বিধি নিয়ম রয়েছে।

বাস্তুগত কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমেও বিবাহ তরান্বিত করা যায়।
১) যে নারীর বিবাহ হচ্ছে না তাকে ঘরের উত্তর-পশ্চিম কোনে বা বায়ুকোনে যে কক্ষ আছে সেই কক্ষে উক্ত নারীর থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। বিবাহযোগ্য নারীর রুম বায়ুকোনে হলে তার বিবাহ শীঘ্র হওয়ার সম্ভবনা দেখা দেয়।
২) অনেক সময় দেখা যায় আমাদের বাড়ি বহু পুরান বিয়ের নিমন্ত্রণের কার্ড-এ ভরে থাকে। হতে পারে তার মধ্যে কিছু কার্ড নতুন বা যে সব কার্ডের বিয়ের তারিখ এখনও আসে নি। আবার কিছু কার্ড বহু পুরানো। কার্ড নতুন হোক বা পুরানো কার্ডটি পরার পর তার ছিঁড়ে জলে ফেলে দেওয়া খুবই জরুরী। এই পুরানো কার্ড আপনার ঘরের সম্ভাব্য বিবাহ আঁটকে দিতে পারে। তাই পুরানো কোন কার্ড কখনোই ঘরে জমাবেন না।
৩) বায়ুকোনে মেয়ের ঘরে শিব-পার্বতী বা রাধা-কৃষ্ণের যুগল মূর্তিই রাখতে হবে। একা রয়েছেন এমন কোন দেব দেবীর ছবি বা মূর্ত্তিও রাখা যাবে না।



অনেক সময় দেখা যায় পাত্র ও পাত্রী উভয়ে বিয়ের জন্য প্রস্তুত থাকলেও তৃতীয় কোন পক্ষের অপছন্দে বিবাহ ভেস্তে যেতে বসে। সেই সকল ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত যন্ত্রের সাহায্যে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৫৭০৫
৫৭০৯
৫৭১২
৫৭৯৮
৫৭১১
৫৭৯৯
৫৭০৮
৫৭১০
৫৭০০
৫৭১৪
৫৭০৭
৫৭০৩
৫৭০৮
৫৭০২
৫৭০১
৫৭১৩


উপরের উল্লিখিত যন্ত্রটি সাদা কাগজে বা ভূর্জপত্রে কস্তুরি ও কেশর মিশ্রিত জাফরান-এর কালি দিয়ে (সম্ভব না হলে সাদা কাগজে লাল রঙের জেল পেন দিয়ে লিখে নিতে পারেন)লিখে কোন সোনা বা রূপার তাবিজে ভরে মেয়েরা বাম হাতে বা গলায় লাল সুতো বা সোনা / রূপার চেনে মঙ্গলবার বা শনিবার ধারণ করতে পারেন।


বিবাহের বাধা দূর করার আর কয়েকটি অমোঘ তন্ত্রের প্রতিকার জানতে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বিবাহের পূর্বে ও পরে বইটি সংগ্রহ করুন অথবা আমাদের ফোন করুনঃ-

Phone : 8697190840 / 9830637766
www.digdarshan.org 

রবিবার, ৫ আগস্ট, ২০১৮

কৌশিকী অমাবস্যা # Kaushiki Amabashaya





২৩শে ভাদ্র রবিবার ১৪২৫ সাল (ইং- ৯ই সেপ্টেম্বর ২০১৮) কৌশিকী অমাবস্যা ৷ এই অমাবস্যার আরেক নাম তারা রাত্রি৷ শাস্ত্রকারেরা মনে করেন শুধু হিন্দু শাস্ত্রে নয়, বৌদ্ধ শাস্ত্রেও তন্ত্র সাধনার জন্য এই অমাবস্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে৷ কী এই কৌশিকী অমাবস্যা ?

কৌশিকী অমাবস্যা, অন্য সব অমাবস্যার থেকে একটু আলাদা কারণ তন্ত্রশাস্ত্র মতে ভাদ্র মাসের এই তিথিটিতে অনেক কঠিন ও গুপ্ত সাধনা করলে আশাতীত ফল মেলে। বৌদ্ধ ও হিন্দু তন্ত্রে এই দিনের বিশেষ 'মাহাত্ব আছে, বলা হয়, যে সকল সাধক কুন্ডলিনী চক্রকে জয় করেছেন এক বিশেষ মুহুর্তে তাঁদের সাধনায় স্বর্গ ও নরক দুই এর দুয়ার মুহূর্তের জন্য উম্মুক্ত হয় ও সাধক নিজের ইচ্ছা মতো ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক শক্তি নিজের সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করে ও সিদ্ধি লাভ করে ৷

ব্রহ্মাকে তুষ্ট করে সুম্ভ ও নিসুম্ভ এমন বর পেলেন যে, শুধু কোনও অ-যোনি সম্ভূত নারী ব্যতীত অন্য কেউ তাদের বধ করতে পারবে না। ব্রহ্মার বরে পুষ্ট সুম্ভ ও নিসুম্ভের অত্যাচারে পীড়িত দেবকূল কৈলাশে আশ্রয় নিলেন। শিব তখন পার্বতীকে 'কালিকা' নামে সম্বোধন করে বললেন দেবতাদের উদ্ধার করতে। পূর্বজন্মে পার্বতী দক্ষের যজ্ঞস্থলে আত্মাহুতি দেওয়ার কারণে তার মেঘের ন্যায় কলোরূপ দেখেই শিব তাঁকে 'কালিকা' বলে সম্বোধন করেছিলেন। ক্ষুব্ধ ও অপমানিত পার্বতী মানস সরোবরের ধারে কঠিন তপস্যা করলেন ও তপস্যান্তে শীতল মানস সরোবর এর জলে স্নান করে নিজের দেহের সব কালো কোশিকা পরিত্যাগ করলেন ও পূর্নিমার চাদের মতো গাত্র বর্ণ ধারণ করলেন ও ওই কালো কোশিকা গুলি থেকে এক অপূর্ব সুন্দর কৃষ্ণবর্ণ দেবীর সৃষ্টি হয় ইনি দেবী কৌশিকী। এই সেই তিথি যেদিন এই দেবীর উৎপত্তি হয় এবং যিনি সুম্ভ ও নিসুম্ভ কে বধ করেন, তাই এই অমাবস্যার নাম কৌশিকী অমাবস্যা, আবার এই দিনে দশ মহাবিদ্যার অন্যতম দেবী তারা মর্ত ধামে আবির্ভূতা হন। তাই প্রতি বছর কৌশিকী আমাবস্যায় পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার তারাপীঠে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধু-সন্ত ও তান্ত্রিক পণ্ডিতরা এসে তন্ত্রসাধনা করেন মানুষের কল্যাণ সাধনে ও নিজ সিদ্ধি লাভের উদ্দেশ্যে।

২৩শে ভাদ্র রবিবার ১৪২৫ সন (ইং- ৯ই সেপ্টেম্বর ২০১৮) কৌশিকী অমাবস্যার দিনে তারাপীঠে সকলের মঙ্গলার্থে বিশেষ হোম ও তন্ত্রক্রিয়া  করা হবে। ২০/০৮/২০১৮ তারিখের মধ্যে নাম নথীভুক্ত করান। Phone / WhatsApp এ বিশদে জেনে নিন।

অমিতশ্রী (অমিত চক্রবর্ত্তী)
Call : 9830637766
www.astrokolkata.com