শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

#রাশিফল (আশ্বিন ১৪২৫)




রাশিফল (আশ্বিন ১৪২৫)

জ্যোতিষ দেবজ্ঞ অমিতশ্রী।
Call : 9830637766


আশ্বিন মাসে রবি কন্যা রাশিতে বিরাজ করে। কন্যা রাশি রাশিচক্রের ষষ্ঠস্থান। কন্যা রাশির অধিপতী বুধ, বালক গ্রহ বা বুদ্ধির কারক গ্রহ। কন্যা রাশিতে বুধ তুঙ্গে থাকে। এই মাসে রাশিচক্রে একটা বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ১১ই অক্টোবর ২০১৮তে রাত সারে আটটা নাগাদ বৃহস্পতি তুলারাশি ছেড়ে বৃশ্চিকরাশিতে প্রবেশ করবে।

মেষরাশিঃ মেষরাশির মাসটা মোটামুটি ভালো গেলেও ১১ই অক্টোবরের পর আর্থিক ক্ষতির সম্ভোবনা আছে। ভাগ্য সে সময় সাথ দেবে না।

বৃষরাশিঃ বৃষরাশির আয় উন্নতি বাড়বে। কর্মক্ষেত্রে যোগাযোগ বাড়বে। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়েও শুভ প্রভাব পড়বে। শেষের দিকে ব্যবসায় উন্নতি লখ্য করা যায়। প্রেমের বা বিবাহের সম্ভোবনা দেখা দিতে পারে।

মিথুনরাশিঃ যানবাহন বা সম্পত্তি লাভ হতে পারে।
কর্মপ্রাপ্তির সম্ভবনা আছে। শেষের দিকে ভাগ্য সাথ না দেওয়ায় সমস্যায় পড়তে পারেন।

কর্কটরাশিঃ আয় বৃদ্ধি পাবে। পারিবারিক সমস্যা কিছুটা মিটবে। বিদ্যায় শুভ ফল লাভ হবে। কর্মপ্রাপ্তির সম্ভবনা থাকছে। সুদিন আসছে বলা যায়।

সিংহরাশিঃ এই মাসের বেশিটা সমস্যায় কাটলেও শেষের দিকে সময়টা আপনার অনুকূলে আসবে।

কন্যারাশিঃ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভবনা আছে। ১১ই অক্টোবরের পর কর্মক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আসতে পারে। প্রয়োজনীয় কাজ যথাসময়ে শেষ করুন।

তুলারাশিঃ কর্মক্ষেত্রে শুভ প্রভাব থাকবে। শেষের দিকে কিছু আর্থিক ক্ষতির সম্ভোবনা আছে। নিকট আত্মীয়ের সথে সম্পর্কের অবনতী হবে।

বৃশ্চিকরাশিঃ ব্যয় বৃদ্ধি পেলেও মাসের শেষের দিকে আয় ব্যয়ের সমতা রক্ষা পাবে। শরীর স্বাস্থ্য ভালো যাবে।

ধনুরাশিঃ চাকুরী প্রাপ্তির যোগ রয়েছে। এমাসে যথেষ্ট সঞ্চয়ের যোগ আছে।

মকররাশিঃ আর্থিক উন্নতি লখ্য করা যায়। দাম্পত্যকলহ থাকবে। রোগ মুক্তির সম্ভোবনা আছে। কর্মক্ষেত্রে শুভ প্রভাব থাকবে।

কুম্ভরাশিঃ পতি/পত্নীর স্বাস্থহানী এমনকি মৃত্যু পর্য্যন্ত হতে পারে। ব্যবসায় ক্ষতি। অন্যান্য দিকে শুভ ফল আশা করা যায়। কর্মপ্রাপ্তির সম্ভবনা আছে।

মীনরাশিঃ দাম্পত্য কলহ এমন কি বিচ্ছেদও অসম্ভব নয়। ১১ই অক্টোবরের পর সমস্যা অনেকটাই কেটে যাবে। এবং সেই সময় ভাগ্য আপনার আজ্ঞাবহ হবে।



সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

দেবীর আগমন ও প্রত্যাবর্তন



শিউলীর মিষ্টি গন্ধ, কাশফুলে ঢাকা মাঠ, এসেগেলো বাঙ্গালির সবচেয়ে প্রিয় দুর্গোৎসব। ঢাকে কাঠি পড়তেই বাঙ্গালি মেতে ওঠে, বাপের বাড়িতে মেয়ে আসলে ঠিক যেমনটি হয়; তেমনই। ষষ্ঠীতে অধিবাসের পর সপ্তমীতেই দেবী প্রবেশ করেন পিতৃগৃহে। এবছর দেবী দুর্গা আসছেন অশ্ব বা ঘোটকে। ফিরে যাবেন দোলায় বা পালকিতে।

নিজের বাহন থাকতেও প্রতিবছর দেবী দুর্গা চারটি বাহনে ভর করে আসেন ও যান। এই চারটি বহন হল- গজ/হাতি, অশ্ব/ঘোটক, দোলা/পালকি এবং নৌকা। বার অনুযায়ী এই বাহনগুলি নির্ধারিত হয়েছে। যেমন-
রবি ও সোমবার- গজ বা হস্তি।
মঙ্গল ও শনিবার - অশ্ব বা ঘোটক।
বুধবার - নৌকা।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার - দোলা বা পালকি।

দেবীর বিভিন্ন বাহনে আগমন ও গমন এর ফলাফল-
১. হস্তী বা গজ : অত্যন্ত শুভ প্রতীক। যে বছর হস্তীতে আগমন হয় দেবীর সেই বছর তাঁর আশীর্বাদে মানবজীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
২. নৌকা: নৌকায় যে বছর আসেন দেবী, সেই বছর বন্যার পাশাপাশি কৃষি-সমৃদ্ধিও দেখা দেয়।
৩. দোলা বা পালকি : দোলায় আগমনও ক্ষতিকর। কারণ দোলায় আগমন হলে, সেটি নানান রোগ ও মহামারীর ইঙ্গিত বহন করে। সেই বছর মহামারীতে সমাজ ভুগবে বলে আশঙ্কা করা হয়। তাই শাস্ত্রীয় মতে, সবাই সবার পাশে থাকলে, তবেই এই পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।
৪. অশ্ব বা ঘোটক: দেবীর অশ্ব বা ঘোটকে আগমন এক ঘোরতর সর্বনাশের  ইঙ্গিত দেয়। এককথায় ছত্রভঙ্গম।

যেহেতু সপ্তমিতেই দেবীর পিতৃগৃহে প্রবেশ ধরা হয় তাই সপ্তমি যেই বার হবে সেই বারের নির্ধারিত বাহনেই তার আগমন ঘটবে। দশমীর বার অনুযায়ী নির্ধারিত হবে তার প্রস্থানের বাহন। এবছর ১৪২৫ সালে অর্থাৎ ২০১৮তে সপ্তমি ১৬ই অক্টোবর মঙ্গলবার। তাই দেবী আসছেন অশ্ব বা ঘোটকে। এবং দশমী ১৯শে অক্টোবর শুক্রবার। অর্থাৎ দেবী বিদায় নেবেন দোলা বা পালকিতে।

বার অনুযায়ী বাহন নির্ধারনে একটা জিনিষ স্পষ্ট যে, শনি ও মঙ্গলবার যাত্রা (ঘোটক) অশুভ। রবি ও সোমবার যাত্রা (গজ) শুভ। বুধবার যাত্রা (নৌকা) মধ্যম। কথায় আছে 'মঙ্গলে উষা, বুধে পা যথা ইচ্ছা তথা যা'। মঙ্গল পার করে বুধের উষাকলে যাত্রাও শুভ হয়।
এবং বৃহস্পতি ও শুক্রবারও যাত্রা (দোলা) তেমন শুভ হয় না।

এখানে একটা কথা অনস্বীকার্য, ঘোটকে আগমনের আগাম ফল আমরা পেতে শুরু করেছি। মৃত্যু, হানাহানি ইত্যাদি। দোলায় গমনের ফলে আসবে মহামারি। এখন আমাদের আরও সংঙ্গবদ্ধ হতে হবে যে কোন কঠিন পরিস্থিতির মোকেবেলায়।