শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫


                                             https://www.facebook.com/share/p/1Ac6psqroU/


অম্বুবাচী ব্রত: তত্ত্ব, পালন ও বিধিনিষেধ

অম্বুবাচী, হিন্দু ধর্মের এক গুরুত্বপূর্ণ পবিত্র তিথি, যা মূলত ধরিত্রী মাতার ঋতুকাল হিসেবে বিবেচিত হয়। এই সময় মাটি ‘অশুচি’ হয়ে পড়েছে বলে ধরা হয়, ঠিক যেমন নারীর ঋতুকাল চলাকালে বিশ্রামের প্রয়োজন হয়, তেমনি ধরিত্রীকেও এই সময় বিশ্রাম দেওয়াই এই ব্রতের মূল ভাবনা। এই ব্রত প্রধানত আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষে পালিত হয় এবং কামাখ্যা মন্দিরসহ ভারত-বাংলাদেশের নানা অঞ্চলে ধর্মপ্রাণ মানুষেরা শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার সঙ্গে এটি পালন করেন।


২০২৫ সালে অম্বুবাচীর সময়সূচি

👉 অম্বুবাচী শুরু হবে : (রবিবার দুপুরে)

২২শে জুন ২০২৫, রবিবার দুপুর ২:৫৬ মিনিটে (2:56PM)

👉 অম্বুবাচী শেষ হবে : (বুধবার রাত পোহালে)

২৬শে জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার ভোর রাত্রি ৩:১৯ মিনিটে (3:19AM)


এই সময়কালে পালিত হয় ধরিত্রী মাতার ‘ঋতুকাল’ এবং তাই এই সময় শারীরিক ও আধ্যাত্মিক শুচিতার বিশেষ গুরুত্ব থাকে।

এই বিশেষ সময়  আসামের কামাখ্যা মন্দিরপুরীর জগন্নাথ মন্দির এবং বীরভূমের তারাপীঠে মা তারার মন্দির বন্ধ থাকে। এই সময় দেবী দেবতার মুখ ঢেকে রাখা হয়। 


কারা পালন করতে পারেন অম্বুবাচী?

অম্বুবাচী ব্রত পালন করতে পারেন নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণির মানুষ। যেমন:

বিধবা মহিলারা,  তন্ত্রসাধক ও তান্ত্রিকরা,  ব্রহ্মচারী সাধু ও সন্ন্যাসীরা,  যে কোনও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ব্রতী।

তবে এই ব্রত সধবা (স্বামীস্থিত) নারীদের জন্য নয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, সধবাদের এই ব্রত পালন করা নিষিদ্ধ।


অম্বুবাচী পালনের নিয়মাবলি

অম্বুবাচী পালনের সময় কিছু কঠোর বিধিনিষেধ পালন করা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো নিজেকে ও চারপাশকে শুদ্ধ রাখা এবং ধরিত্রীকে বিশ্রাম দেওয়ার আধ্যাত্মিক অনুশীলন করা।

🔥 ১. রান্না নিষিদ্ধ

ব্রতের সময় কোনওভাবেই আগুনে বা গ্যাসে রান্না করা খাবার খাওয়া যাবে না। এই সময় ধরিত্রী ‘অশুচি’ বলে ধরে নেওয়া হয়, তাই আগুন ব্যবহার নিষিদ্ধ।

🍎 ২. নিরামিষ ও কাঁচা খাদ্য

ফলমূল, সাবুদানা, জল—এই সব সহজপাচ্য, আগুন ছাড়া খাবার খেয়ে থাকতে হয়। গ্যাস বা চুলায় রান্না করা খাবার একেবারেই নিষিদ্ধ।

🛁 ৩. ব্যক্তিগত পরিচর্যা বর্জন

তেল, সাবান, শ্যাম্পু—এই সকল প্রসাধনী ও পরিচর্যার সামগ্রী ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তিন দিন শেষে ভালোভাবে স্নান করে, শুদ্ধ বস্ত্র পরে ব্রত ভাঙতে হয়।

🛐 ৪. দেবী প্রতিমার মুখ ঢেকে রাখা

এই বিশেষ সময় বাড়ির সকল দেবী মূর্তির মুখ লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। তাঁদের মুখ দেখা বা পূজা করা যায় না। ব্রত শেষ হওয়ার পর দেবীকে স্নান করিয়ে নতুন বস্ত্র পরিয়ে পূজার আয়োজন করতে হয়।

🧺 ৫. ব্যবহৃত জিনিসপত্র আলাদা রাখা

এই তিন দিনে ব্যবহৃত জামাকাপড়, বিছানার চাদর প্রভৃতি শুদ্ধ বস্ত্রের সংস্পর্শে আনা যাবে না। ব্রত শেষ হওয়ার পর এগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

🧼 ৬. ঘরবাড়ি শুদ্ধকরণ

নিজে স্নান করার আগে ঘর, বিছানা, কাপড়—সবকিছু ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হয়। তারপরে নিজে শুদ্ধ হয়ে দেবীদের শুদ্ধ করতে হয়।


উপসংহার :

অম্বুবাচী কেবল একটি ব্রত নয়—এটি প্রকৃতি, নারীশরীর ও শুদ্ধতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি আধ্যাত্মিক অনুশীলন। ব্রতের মাধ্যমে আত্মনিয়ন্ত্রণ, ত্যাগ ও শুচিতার একটি বার্তা সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। এটি একদিকে যেমন ব্যক্তিগত শুদ্ধতার চর্চা, তেমনি ধর্মীয় দায়িত্ব পালনেরও অংশ।

রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫

২৯শে মার্চ ২০২৫ থেকে ৩১শে মে ২০২৫ পর্যন্ত রাশিচক্র ব্যপক পরিবর্তন দেখা যাবে।



এই সময়কালে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রহ পরিবর্তন হবে, যা ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। নিচে উল্লেখযোগ্য গ্রহগত পরিবর্তন ও তার সম্ভাব্য প্রভাব দেওয়া হলো—

১. শনি মীন রাশিতে প্রবেশ করবে  তারিখ: ২৯ মার্চ ২০২৫

প্রভাব: শনি যখন মীন রাশিতে প্রবেশ করবে, তখন এটি আত্মবিশ্লেষণ, আধ্যাত্মিকতা ও ধৈর্যের সময় হবে। বাস্তবজ্ঞান ও কল্পনার মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে।

২. নেপচুন মেষ রাশিতে প্রবেশ করবে  তারিখ: ৩১ মার্চ ২০২৫

প্রভাব: নেপচুন মেষ রাশিতে গেলে নতুন উদ্ভাবনী চিন্তা, আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে। আত্মবিশ্বাস ও অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে নতুন কিছু শুরু করার সম্ভাবনা থাকবে।

৩. শুক্র মীন রাশিতে বক্রী হবে  তারিখ: ২৭ মার্চ ২০২৫

প্রভাব: এই সময়ে সম্পর্ক, ভালোবাসা ও আর্থিক বিষয়ে পুনর্মূল্যায়ন প্রয়োজন হবে। পুরনো সম্পর্ক ও অনুভূতি ফিরে আসতে পারে।

৪. বুধ বক্রী (Mercury Retrograde) সময়কাল: ১৫ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল ২০২৫

প্রভাব: যোগাযোগের ভুল বোঝাবুঝি, প্রযুক্তিগত সমস্যা ও যাত্রার বিঘ্ন ঘটতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পুনর্বিবেচনা করা উচিত।

৫. সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ

আংশিক সূর্যগ্রহণ (মেষ রাশি) তারিখ: ২৯ মার্চ ২০২৫

প্রভাব: নতুন সূচনা, নেতৃত্বের সুযোগ ও আত্মপরিচয়ের উন্নতির সম্ভাবনা।

সম্পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ (কন্যা রাশি) তারিখ: ১৪ মার্চ ২০২৫

প্রভাব: অতীতের কিছু বিষয় সমাপ্ত করার সময়। স্বাস্থ্য, কাজ ও আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।

৬. সূর্য, বুধ, শুক্র, শনি ও রাহুর সংযোগ (মীন রাশি)

সময়কাল: ২৯ থেকে ৩০ মার্চ ২০২৫

প্রভাব: আধ্যাত্মিকতা, অন্তর্দৃষ্টি ও ধৈর্যের পরীক্ষা হতে পারে। বাস্তবিক ও আবেগের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।

৭. শুক্র মেষ রাশিতে প্রবেশ করবে

তারিখ: ৩১ মে ২০২৫

প্রভাব: প্রেম, সম্পর্ক ও সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে নতুন জোয়ার আসতে পারে। আত্মবিশ্বাস ও উদ্যম বাড়তে পারে।

৮. রাহু কেতুর রাশি পরিবর্তন তারিখ: ১৮ মে ২০২৫

রাশি পরিবর্তন: কেতু কন্যা রাশি থেকে সিংহ রাশিতে এবং রাহু মীনরাশি থেকে কুম্ভরাশিতে প্রবেশ করবে।

সময়কাল: এই অবস্থানে রাহু-কেতু থাকবে পরবর্তী ১৮ মাস। 

প্রভাব: সিংহ রাশিতে কেতুর অবস্থান সৃজনশীলতা, নেতৃত্বগুণ এবং আত্মপ্রকাশের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। এই সময়ে, ব্যক্তিরা তাদের ব্যক্তিত্ব ও সৃজনশীল প্রকল্পগুলিতে নতুন দৃষ্টিকোণ পেতে পারেন। তবে, অহংকার ও আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে বিরত থাকা গুরুত্বপূর্ণ। কুম্ভরাশিতে রাহুর প্রবেশ হঠাত অর্থ প্রাপ্তিতে সাহায্য করবে। তবে রাহু যেহেতু রহস্যময় ছায়া গ্রহ তাই এই সময় হঠাত বিশাল পরিমান অর্থ ক্ষতিরও সম্ভবনা থাকবে। অর্থ লগ্নীর ক্ষেত্রে সবদিক ভালো করে বিচার বিশ্লেষণ করে তবেই লগ্নী করবেন। 

উপসংহার

এই সময়কালে গ্রহগত পরিবর্তন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ হবে। আধ্যাত্মিকতা, আত্মবিশ্লেষণ ও বাস্তবতাকে মিলিয়ে চললে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫

Law of Attraction : Unlocking the Power of Mind!

 


Law of Attraction (আকর্ষণের আইন) সহজ ভাষায়

Law of Attraction মানে হলো আপনি যা ভাবেন বা বিশ্বাস করেন, তাই আপনার জীবনে আকর্ষিত হয়। সহজ করে বললে—

🔹 ভালো চিন্তা করলে ভালো কিছু ঘটে।
🔹 খারাপ চিন্তা করলে খারাপ কিছু ঘটে।

এটি মূলত মানসিক শক্তি ও ইতিবাচক ভাবনার একটি নিয়ম যা বলে, আপনার মন যা চায়, আপনি সেটাই পাবেন, যদি আপনি সেটার প্রতি পুরোপুরি বিশ্বাসী হন।


কীভাবে কাজ করে?

👉 আপনার মন একটা চুম্বকের মতো। আপনি যদি বারবার সফলতা, সুখ, ভালোবাসা নিয়ে ভাবেন, তাহলে সেসব জিনিস আপনার জীবনে আসবে।
👉 আবার, যদি আপনি দুঃখ, ভয়, হতাশা নিয়ে ভাবেন, তাহলে সেটাই জীবনে ঘটবে।

উদাহরণ:
🔸 যদি আপনি ভাবেন— "আমি জীবনে সফল হব, আমি ধনী হব"— তাহলে আপনার মন এমনভাবে কাজ করবে যে, আপনি সফল হওয়ার রাস্তা খুঁজে পাবেন।
🔸 কিন্তু যদি আপনি ভাবেন— "আমার কিছুই হবে না, আমার জীবন খুব খারাপ"— তাহলে বাস্তবেও খারাপ জিনিস ঘটতে শুরু করবে।


Law of Attraction কাজে লাগানোর সহজ ৩টি ধাপ

চিন্তা করুন ও নির্ধারণ করুন আপনি কী চান।
→ পরিষ্কারভাবে ভাবুন, "আমি কী চাই?" যেমন, ভালো ক্যারিয়ার, ভালো সম্পর্ক, সুস্থ জীবন।

সেই বিষয় নিয়ে ইতিবাচকভাবে ভাবুন ও অনুভব করুন।
→ মনে করুন আপনি সেটি ইতিমধ্যে পেয়ে গেছেন এবং কৃতজ্ঞতা অনুভব করুন।

বিশ্বাস ও ধৈর্য ধরে কাজ করুন।
→ শুধু ভাবলেই হবে না, তার জন্য কাজ করতে হবে এবং ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে।


Law of Attraction-এর কিছু বাস্তব উদাহরণ

সফল ব্যক্তিরা সবসময় ইতিবাচক ভাবেন, তাই তারা সফল হন।
যারা মনে করে ‘আমি ব্যর্থ হব’, তারা সত্যিই ব্যর্থ হয় কারণ তাদের মন সেই দিকেই চালিত হয়।
পড়াশোনা বা চাকরিতে সফল হতে চাইলে, আপনি যদি মনে মনে বিশ্বাস করেন "আমি পারবো", তাহলে আপনার মন সেভাবে কাজ করবে এবং সুযোগ তৈরি হবে।


শেষ কথা

Law of Attraction মানে আপনার মন যা বিশ্বাস করবে, সেটাই আপনার জীবনে ঘটবে। তাই সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করুন, কৃতজ্ঞ থাকুন, এবং আপনার স্বপ্ন সত্যি করার জন্য কাজ করুন। ✨💡

Law of Attraction (আকর্ষণের আইন) গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে বলা যায় - Law of Attraction (LoA) হল এমন একটি বিশ্বজনীন নিয়ম, যা বলে আপনার চিন্তা, অনুভূতি ও বিশ্বাস বাস্তবে রূপ নেয়। এটি Quantum Physics, Neuroscience এবং Spirituality-এর ওপর ভিত্তি করে কাজ করে। চলুন গভীরভাবে বিশ্লেষণ করি—


🔹 Law of Attraction-এর মূল ভিত্তি

১. “Like Attracts Like” – যা ভাববেন, সেটাই পাবেন

আপনার চিন্তা, আবেগ, বিশ্বাস = আপনার বাস্তবতা সৃষ্টি করে।

উদাহরণ:
✅ আপনি যদি ভাবেন: "আমি সফল হব, আমি আনন্দিত"— তাহলে আপনার মস্তিষ্ক ও শক্তি সেভাবে কাজ করবে এবং সফল হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
❌ কিন্তু যদি ভাবেন: "আমি ব্যর্থ হব, আমি দুঃখী"— তাহলে আপনার মন ও শক্তি সেই নেতিবাচক বাস্তবতাকে আকর্ষণ করবে।

👉 যেমন, আপনি যদি রেডিওতে FM 98.4 শুনতে চান, তাহলে আপনাকে সেই ফ্রিকোয়েন্সিতেই টিউন করতে হবে। ঠিক তেমনই, Law of Attraction বলে— আপনি যা চান, আপনার মনকে সেই ফ্রিকোয়েন্সিতে রাখতে হবে।


২. Vibrations & Energy (কম্পন ও শক্তি) – LoA কেন কাজ করে?

Albert Einstein বলেছেন—
"Everything in life is vibration." অর্থাৎ, আমাদের চিন্তা, আবেগ, দেহ, বস্তু— সবই একধরনের শক্তি বা Energy

📡 আপনার চিন্তা = শক্তির তরঙ্গ
আপনি যে ধরনের কম্পন (vibration) বা এনার্জি পাঠাবেন, ঠিক সেই মিলের জিনিস আপনার জীবনে ফিরে আসবে।

ইতিবাচক চিন্তা = উচ্চ কম্পন (high vibration) → সুখ, সফলতা, সমৃদ্ধি আসবে।
নেতিবাচক চিন্তা = নিম্ন কম্পন (low vibration) → দুঃখ, সমস্যা, ব্যর্থতা আসবে।


৩. Reticular Activating System (RAS) – LoA-এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

🔍 RAS হলো আমাদের ব্রেইনের ফিল্টারিং সিস্টেম যা আমাদের মনোযোগ (focus) ঠিক করে দেয়।

👉 যখন আপনি Law of Attraction ব্যবহার করে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ে চিন্তা করেন, তখন RAS আপনার জন্য সেই জিনিসগুলো খুঁজতে শুরু করে।

✅ উদাহরণ: আপনি যদি নতুন লাল গাড়ি কেনার কথা ভাবেন, তাহলে হঠাৎ চারপাশে অনেক লাল গাড়ি দেখতে শুরু করবেন।

📌 অর্থাৎ, আপনি যদি সফলতা, ভালোবাসা বা সমৃদ্ধি আকর্ষণ করতে চান, তাহলে আপনার ব্রেইন সেটির সুযোগ খুঁজতে শুরু করবে!


🔹 Law of Attraction ব্যবহার করার ৩টি ধাপ

(🌱 সহজ ভাষায় বলা যায় → “Think It, Feel It, Receive It”)

১. “Ask” – নির্দিষ্টভাবে চাইতে হবে

✔️ পরিষ্কারভাবে নির্ধারণ করুন— আপনি কি চান?
✔️ একে লিখুন এবং মনের মধ্যে স্পষ্ট ছবি তৈরি করুন।
✔️ প্রতিদিন এটি নিয়ে ভাবুন এবং মনে করুন যেন আপনি ইতিমধ্যে পেয়ে গেছেন।

📌 ভুল: “আমি অনেক টাকা চাই” 😵
ঠিক: “আমি প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা ইনকাম করছি” 😇


২. “Believe” – দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করুন

✔️ এমনভাবে ভাবতে হবে যেন আপনি ইতিমধ্যে এটি পেয়ে গেছেন।
✔️ সংশয় বা সন্দেহ করলে কাজ হবে না।
✔️ “আমি এটা পাবোই” – এই আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে।

📌 ভুল: “আমি চাকরি পাবো কি না জানি না...”
ঠিক: “আমি জানি, আমার স্বপ্নের চাকরি আসছেই!”


৩. “Receive” – অনুভব করুন এবং প্রস্তুত থাকুন

✔️ প্রতিদিন ধন্যবাদ জানান (Gratitude)।
✔️ যে সুযোগ আসবে, তা গ্রহণ করুন।
✔️ নিজেকে সেই লক্ষ্য অর্জনের উপযুক্ত বানান।

📌 ভুল: সুযোগ এলেও কাজে না লাগানো।
ঠিক: নিজের স্কিল বাড়ানো, সুযোগের জন্য প্রস্তুত থাকা।


🔹 Law of Attraction-এর কার্যকরী টেকনিক

👉 কীভাবে LoA কে বাস্তবে রূপ দেবেন?

১. Visualization (কল্পনা করুন)

📌 প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট চোখ বন্ধ করে আপনার স্বপ্নের জীবন কল্পনা করুন।
✔️ মনে করুন আপনি ইতিমধ্যে সফল হয়ে গেছেন।
✔️ রঙ, দৃশ্য, শব্দ – সবকিছু স্পষ্টভাবে কল্পনা করুন।


২. Affirmations (ইতিবাচক বাক্য বলুন)

📌 প্রতিদিন সকালে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলুন—
✔️ “আমি সফল।”
✔️ “আমি ধনী।”
✔️ “আমি সুস্থ ও সুখী।”

ভুল: নেতিবাচক কথা বলা – "আমি পারবো না", "আমার টাকা নেই", ইত্যাদি।


৩. Gratitude (কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন)

📌 প্রতিদিন যা আছে তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
✔️ “আমি আজ যা কিছু পেয়েছি, তার জন্য কৃতজ্ঞ।”
✔️ “আমি সুস্থ, নিরাপদ ও সুখী – আমি কৃতজ্ঞ।”


🔹 Law of Attraction ব্যর্থ হলে কেন হয়? (Common Mistakes)

সন্দেহ করা (Doubt করা)।
ধৈর্য না থাকা।
নেতিবাচক চিন্তা করা।
বিশ্বাসের অভাব।
কাজ না করা (Action না নেওয়া)।

👉 Law of Attraction + Hard Work = ১০০% সফলতা!


🔹 উপসংহার

Law of Attraction = মন, আবেগ, বিশ্বাস + সঠিক কর্মপদ্ধতি

✔️ আপনি যা ভাববেন, সেটাই পাবেন।
✔️ নেতিবাচক চিন্তা দূর করুন।
✔️ স্বপ্ন দেখুন, বিশ্বাস করুন, কাজ করুন – সফলতা আসবেই!

শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২

 

রাশিফল ২০২৩ 

২০২৩ সালের গ্রহ নক্ষত্রের গতিবিধি, গ্রহের দৃষ্টি এই সবকিছুর ওপর নির্ভর করেই ১২ (বারোটি) রাশির ২০২৩ সাল কেমন যাবে তা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধাণত শনি, বৃহস্পতি, রাহু ও কেতু এই চারটি ধীরগতি সম্পন্ন গ্রহের উপর নির্ভর করেই এই ফলাফল নির্ণয় করা হয়েছে। শনি আগামী ১৭ই জানুয়ারী ২০২৩ সাল মকর রাশি ছেড়ে কুম্ভ রাশিতে প্রবেশ করবে। বৃহস্পতি আগামী ২২শে এপ্রিল ২০২৩ সাল মীন রাশি ছেড়ে মেষ রাশিতে প্রবেশ করবে। রাহু ও কেতু আগামী ৩০শে অক্টোবর ২০২৩ সাল যথাক্রমে মীন রাশিতে এবং কন্যা রাশিতে প্রবেশ করবে। এছাড়ও মঙ্গল, শুক্র, রবি ও বুধের অবস্থানও বিচারে স্থান পেয়েছে। যেমন শুক্র আগামী বছরে ২০২৩-এ মকর রাশি থেকে বৃশ্চিক রাশি পর্যন্ত পরিভ্রমণ করবে।  মঙ্গল ২০২৩-এ বৃষরাশি থেকে ধনুরাশি পর্যন্ত পরিভ্রমণ করবে। 

( সকলের জ্ঞাতার্থে বলে রাখি -  রবির এক একটি রাশি অতিক্রম করতে একমাস বা ৩০ দিন সময় লাগে। সাধারণতঃ বৈশাখ মাসে- মেষরাশিতে, জ্যৈষ্ঠ মাসে বৃষরাশিতে এবং এইভাবে চৈত্র মাসে মীনরাশিতে যাত্রা শেষ করে। মঙ্গল ৪৫দিনে একরাশি অতিক্রম করে। বুধ ২১ দিনে রাশি পরিবর্তণ করে। বৃহস্পতি একবছর পনের দিন বা প্রায় এক বছরে এক একটি রাশি অতিক্রম করে। শুক্র ২৬দিনে এক রাশি অতিক্রম করে। শনি সবথেকে ধীরগতি সম্পন্ন গ্রহ। এর আড়াই বছর সময় লাগে এক একটি রাশি অতিক্রম করতে। রাহু ও কেতুর সময় লাগে প্রায় ১৯মাস। চন্দ্র সোয়া দুই দিনে এক একটি রাশি অতিক্রম করে। )

** চন্দ্র রাশির ওপর নির্ভর করে একটা সামগ্রিক বার্ষিক ফলাফল প্রকাশ করা হল।   ব্যক্তিগত রাশিফল জানতে জ্যোতিষীর পরামর্শ নিন।   8697 1908 40 এই নম্বরে ফোন করে অনলাইন / অফলাইন অ্যাপয়নমেন্ট বুক করুন।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------

মেষরাশি ২০২৩


আগামী ১৭ই জানুয়ারি ২০২৩ শনি মহারাজ কুম্ভ রাশিতে প্রবেশ করবেন অর্থাৎ রাশির একাদশে অবস্থান করবেন। এরপর ২২শে এপ্রিল বৃহস্পতি মেষ রাশিতে প্রবেশ করবে। মেষ রাশিতে ইতিমধ্যেই রাহু অবস্থান করছে। ফলে বৃহস্পতির মেষ রাশিতে প্রবেশ গুরু চন্ডাল যোগ তৈরি করবে। বছরের শেষের দিকে ৩০শে  অক্টোবর ২০২৩ রাহু মীন রাশিতে প্রবেশ করলে এই গুরু চন্ডাল যোগ ভঙ্গ হবে।

ভাগ্য -  একাদশে শনি এই সময়ে আপনাকে তৃষ্ণা শূণ্য করে তুলবে।  একাদশে শনির গোচরে আর্থিক উন্নতির যোগ রয়েছে। কোন নিকট আত্মীয় অথবা অন্য কারো সম্পত্তি লাভ হতে পারে। একাদশে শনির স্বক্ষেত্রে অবস্থানের ফলে শত্রুরা পরাজিত হবে।  ২২শে এপ্রিল বৃহস্পতির মেষ রাশিতে প্রবেশ, মেষ রাশির মানুষকে বিশেষ শুভ ফল প্রদান করবে। রাশিতে রাহুর উপস্থিতি আপনাকে জেদি ও হটকারী করে তুলবে। এই সময় নিজের রাগের ওপর যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ রাখা প্রয়োজন। রাশিতে রাহু উপস্থিতি আপনাকে নতুন কিছু সৃষ্টির নেশায় মত্ত করে রাখবে। তার সঙ্গে রাশিতে বৃহস্পতির উপস্থিতি এই সকল ইচ্ছা পূর্ণ করতে সাহায্য করবে। অন্যদিকে বৃহস্পতির নবমে দৃষ্টি আপনাকে সৌভাগ্যশালী করে তুলবে। এই সময় ধর্ম লাভ বা তীর্থ ভ্রমণের সুযোগ আসবে। এই সময় আপনি বিলাসবহুল গাড়ি বা বাড়ি ক্রয় করবেন।

স্বাস্থ্য - বছরের শুরুতেই স্বাস্থ্য নিয়ে সমস্যা দেখা দেবে।  ১৩ই মার্চ থেকে ১লা জুলাই এই সময় রাশিপতি এবং  অষ্টম পতি মঙ্গল তৃতীয় এবং চতুর্থে অবস্থান করবে। তৃতীয় স্থান অশুভ এবং চতুর্থ স্থান মঙ্গলের নীচ ক্ষেত্র।  ফলে এই সময় শরীর সম্পর্কে বিশেষ সাবধান হওয়া উচিত। জ্বর, টাইফয়েড রোগ, ভাইরাস জনিত সমস্যা আপনাকে কষ্ট দিতে পারে। এই সময়ে বিশেষ মানসিক চাপ আসতে পারে। স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য এই সময় প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস করুন বা শরীরচর্চা করুন।

বিদ্যা / শিক্ষা -  এপ্রিল মাসের পর মেষ রাশির পঞ্চমে অর্থাৎ সিংহ রাশিতে বৃহস্পতির দৃষ্টি মেষ রাশির বিদ্যাস্থান কে সুদৃঢ় ও মজবুত করেছে। বিদ্যায় বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করতে পারবেন। বিদ্যায় বিশেষ সম্মান লাভ করতে পারবেন।  

পরিবার - বৃহস্পতি মেষ রাশিতে প্রবেশ করলে পারিবারিক সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। পিতা-মাতার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এই সময়ে সন্তানকে নিয়ে গর্ববোধ করার সময়। সন্তানের জীবনের উন্নতি লক্ষ্য করবেন। এই সময়ে সন্তানের বিয়ের যোগ প্রবল। এ সময় স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো হবে। তবে আগে থেকে তুলা রাশিতে কেতুর অবস্থানে আপনার জীবন সাথী আগের মতোই খুঁতখুঁতে খিটখিটে থাকবেন। সবকিছুতে অসন্তোষ প্রকাশ করবেন।

প্রেম ও বিবাহ -  ২০২২ এর মত ২০২৩ ও মেষরাশির প্রেমের জোয়ার চলবে। অবিবাহিতদের বিয়ের প্রবল যোগ রয়েছে। নতুন নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে।  যাদের বহুদিন ধরে বিয়ে হচ্ছে না তারাও এসময় বিয়ের আশা করতে পারেন।

প্রতিকার -  

১) অনন্তমূল বা রক্ত প্রবাল ধারণ করতে পারেন। 

২) লাল, মেরুন বা গেরুয়া বস্ত্র পরিধান করতে পারেন।

৩) হনুমান চল্লিশা পাঠ করতে পারেন। 

৪) বগলামুখীর মন্ত্র পাঠ করতে পারেন।

        মন্ত্রটি হল- ওঁ হ্রীং বগলামুখীম্ সর্বদুষ্টানাম বাচম মুখম পদম স্তম্ভয় জিহ্বাম কীলয় কীলয় বুদ্ধি বিনাশায় হ্রীং ওঁ স্বাহা।

৫) রাহুর মন্ত্র জপ করতে পারেন।

       মন্ত্রটি হল-  ওম ভ্রাং ভ্রীং ভ্রৌং সঃ রাহবে নমঃ।    অথবা     ওঁ রাং রাহবায় নমঃ।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------

বৃষ রাশি : ২০২৩


বছরের শুরুতেই সপ্তম ভাবে বৃহস্পতি ও শনি যথাক্রমে নবম ও দশম দৃষ্টিতে ব্যবসায় প্রভূত উন্নতির যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ব্যবসা ক্ষেত্রে বা কর্মক্ষেত্রে অনুভবী মানুষের সহায়তা পাবেন। আপনার অংশীদারের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকতে অংশীদারি ব্যবসায় অধিক মুনাফা লাভ সম্ভব হবে এবং গৃহে কোনো শুভ অনুষ্ঠান হতে পারে । আপনি এই সময়ে মানসিকভাবে যথেষ্ট স্টেবল এবং সন্তুষ্ট থাকবেন।

ভাগ্য - নতুন বছরে নবম প্রতি ও দশম প্রতি শনি দশমে অবস্থানের জন্য নিজ প্রচেষ্টায় ভাগ্যের উন্নতি করতে সক্ষম হবেন। ২২ শে এপ্রিলের পর একাদশ পতি বৃহস্পতির দ্বাদশে রাহুর সাথে অবস্থান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সাহায্য করবে। এছাড়া এপ্রিলে বৃহস্পতির মেষ রাশিতে গোচরে জমি ,বাড়ি, গাড়ি ইত্যাদি স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয়ের যোগ সৃষ্টি হয়। ২২ এপ্রিলের পর শনি ও বৃহস্পতি চতুর্থে দৃষ্টি জমি ,বাড়ি ,গাড়ি ইত্যাদি ক্রয়ের সুযোগ করে দেবে। বছরের শুরুতেই শনির দশম এ অবস্থান কর্ম ক্ষেত্রে বিশেষ শুভ ফল প্রদান করবে । এই যোগ নতুন চাকরি বা উন্নতির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে তবে শনির কর্মস্থানে অবস্থানে যথেষ্ট সততার সাথে পরিশ্রম করতে হবে। তবেই উন্নতি আসবে। তবে দ্বাদশে বৃহস্পতির গোচর আপনার জন্য সুখের নয় এই সময় বৃহস্পতি রাহুর সাথে যুক্ত হয়ে গুরুচন্ডাল যোগ সৃষ্টি করেছে। এর ফলে আপনাকে যথেষ্ট সাবধান হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

স্বাস্থ্য - প্রথম ছয় মাস স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকতে হবে নিয়ম করে যোগাভ্যাস ও শরীর চর্চা করতে হবে। বছরের শুরুতে মার্চ মাস পর্যন্ত রাশিতে মঙ্গলের কারণে কর্মজীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন, ফলে শারীরিক পরিশ্রম ও মানসিক চাপ বৃদ্ধি পাবে ।এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।

বিদ্যা / শিক্ষা - বাইশে এপ্রিল পর্যন্ত রাশিতে পঞ্চম স্থানে বৃহস্পতির দৃষ্টি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ শুভ ফল প্রদান করবে। পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল লাভ করবে এবং সঠিক পথে এগিয়ে যাবে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফলতা পাওয়া ডিসেম্বরের আগে সম্ভব নয় যারা বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করতে চান তাদের জন্য খুবই ভালো সময়। আবার যারা বহুদিন ধরে দেশের মাটিতে পা রাখতে পারেননি, তারা দেশে জন্মস্থানে ফেরার সুযোগ পাবেন। 

পরিবার -  যদিও এই সময় আপনি কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত ব্যস্ত থাকবেন, আপনার নানা মানসিক চাপ থাকবে তবুও আপনি বছরের শুরু থেকেই পরিবার সদা সতর্ক থাকবেন। পারিবারিক সুখ শান্তি বজায় রাখার জন্য সর্বদা সচেষ্ট হবেন। এই সময় প্রিয়জনের স্বাস্থ নিয়ে চিন্তায় থাকবেন। বাড়িতে কোন শুভ অনুষ্ঠান বা কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। এই বছর বাড়িতে লোকজনের সমাগম থাকবে। 

প্রেম ও বিবাহ -  বছরের শুরুতে বৃহস্পতির বৃষ রাশির পঞ্চমে দৃষ্টি থাকছে ফলে এই সময় বৃষ রাশির জীবনে প্রেমের ফুল ফুটবে। বৃষ রাশি এমনিতে রোমান্টিক আর এই  ২০২ -এর অক্টোবর মাস নাগাদ আরো বেশি রোমান্টিক হয়ে উঠবে।  প্রেমিক প্রেমিকার সম্পর্ক হবে অত্যন্ত মজবুত।  ২২শে এপ্রিলের আগে পর্যন্ত স্বস্থানে বৃহস্পতির ও শনির দৃষ্টি বিবাহ যোগ কে বলবান করেছে। বর্তমানে শনির উপস্থিতি ছাড়া বিয়ে হয় না। তাই এই সময় বিয়ের খুব শক্তিশালী যোগ সৃষ্টি হচ্ছে। যাদের বহুদিন ধরে বিয়ে হচ্ছে না তাদেরও এই সময় বিয়ের আশা রয়েছে। তবে এপ্রিলের পর থেকে বিয়ের প্রতি অনীহা দেখা দিতে পারে কিন্তু প্রেমের তীব্রতা ক্রমশ বাড়তে থাকবে।

প্রতিকার -  

১)  হীরা, জারকান বা স্ফটিকের মালা ধারণ করতে পারেন। 

২) সাদা অথবা অফহোয়াইট বা স্টীল কালারের বস্ত্র পরিধান করতে পারেন।

৩) প্রচুর পরিমানে সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করুন। শুক্র প্রসন্ন হবে। শুভফল লাভ করবেন।

৪) মালক্ষ্মীর মন্ত্র জপ করুন।

মন্ত্রটি হল- ওঁ শ্রীং শ্রীং শ্রীং কমলে কমলায়ে প্রসীদ প্রসীদ শ্রীং ওঁ মহালক্ষ্যৈ নমঃ।


-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------


মিথুন রাশি - ২০২৩


২০২৩ সাল মিথুন রাশির জন্য শুভ হতে চলেছে তার কারণ ১৭ই জানুয়ারি ২০২৩ শনি মকর রাশির ছেড়ে কুম্ভ রাশিতে প্রবেশ করবে। ফলে মিথুন রাশির অষ্টমস্থ ধাইয়া শেষ হবে এবং মিথুন রাশি তার সমস্ত রকম জড়তা  ও মানসিক চাপ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে। যে সকল কাজ শনির ধাইয়ার জন্য আটকে ছিল সেই সকল কাজ নতুন বছরের অনায়াসে শেষ করতে পারবেন। চারপাশের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়ে আপনার অনুকূলে আসবে। ভ্রমণ বা বিদেশ ভ্রমণের সম্ভাবনাও রয়েছে। এই সময়ে ধর্মের প্রতি আসক্তি আসতে পারে।

ভাগ্য - ২২শে এপ্রিল পর্যন্ত কর্মে উন্নতি অব্যহত থাকবে। এই সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যঙ্ক শিল্পকলার সাথে যারা যুক্ত তাদের  বৃহস্পতির শুভ প্রভাবে ব্যাপক উন্নতি লখ্য করা যাচ্ছে। শনির নবমে কুম্ভ রাশিতে প্রবেশের ফলে কর্মে পরিবর্তন, মনোনিত স্থানে স্থানান্তর প্রভূতি শুভ ফল লাভ করতে পারেন। ২২শে এপ্রিলের পর একাদশ ভাবে বৃহস্পিতির উপস্থিতি আপনার কর্মে প্রভূত উন্নতি সাধন করবেন। প্রভূত অর্থ উপার্জন ও সঞ্চয় করতে সক্ষম হবেন।  কর্মে পদন্নতি হবে।  বেতন বৃদ্ধি পাবে। সাথে দ্বায়িত্ব ও মর্যদা বৃদ্ধি পাবে। বছরের মাঝামাঝি সময়ে নিশ্চিতভাবে কেরিয়ারে সফলতা পাবেন।  আর যারা ব্যবসার সাথে যুক্ত তারা এই বছর বৃহস্পতির অনুগ্রহে ব্যবসা বহুদূর বিস্তার করতে সক্ষম হবেন। এমনকি বিদেশের মাটিতেও ব্যবসার ইট স্থাপন করতে পারবেন। 

স্বাস্থ্য - বছরের শুরুতেই সপ্তমে রবি, পঞ্চমে কেতু এবং অষ্টমে শনির অবস্থানে শুরু থেকেই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেবে।  কেতুর অশুভ প্রভাবে পেটের সমস্যা এবং শনি ও মঙ্গলের অশুভ প্রভাবে দুর্ঘটনা, ফাঁড়া বা অশ্ত্রপচার সম্ভবনা রয়েছে। বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে স্বাস্থের উন্নতি হতে শুরু করবে।  বছরের শেষের দিকটায়, ফুড পয়জন, কোন বিষক্রিয়া বা শারীরিক নিগ্রোহের শিকার হতে পারেন। 

বিদ্যা / শিক্ষা - বছরের শুরুটা ঠিক ঠাক না হলেও সারাটা বছর মন্দ যাবে না।  রাহু, কেতু  ও শনির প্রভাবে শিক্ষাক্ষেত্র বেশ কিছু বাধার সন্মুখীন হতে হবে। তবে কেতু প্রতিযোগীতা মূলক পরীক্ষার বছরের প্রথম দিকেই সফলতা দিতে পারে।  ২২শে এপ্রিলের পর বৃহস্পতির গোচরে বিদ্যার উন্নতি হবে। রাহুর শুভ প্রভাবে বিদেশে গিয়ে উচ্চ বিদ্যা লাভের আশা পূর্ণ হতে পারে। 

পরিবার - এই সময়ে আপনার সন্তানদের অগ্রগতি লখ্য করবেন। মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তার কারণ আছে। কোন রকম শোক বা মানসিক আঘাত পাওয়ার সম্ভবনা আছে। ২২শে জানুয়ারীর পর সন্তানের ক্ষেত্রে শুভ পরিবর্তনের আশা আছে।

প্রেম ও বিবাহ -  বছর শুরুর ১৬ / ১৭ দিন বাদ দিলে আপনার বিবাহিত জীবন যথেষ্ট ভালো বলা যায়।  শুরুতে রবি আপনার রাশির সপ্তমে অবস্থান করায় আপনার বিবাহিত জীবনে টানা পোরেন আসতে পারে।  ২২শে এপ্রিলের পর বৃহস্পতি আপনার সপ্তম ভাবটিতে দৃষ্টি দিলে  বিবাহিত জীবনে প্রেম এবং আত্মীয়তার অনুভূতি বাড়িয়ে তুলবে। একে অপরের প্রতি দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার এবং আপনার স্ত্রীর মধ্যে সম্প্রীতি বাড়বে ও সম্পর্ক মধুর হয়ে উঠবে এবং মজবুত হবে। এই সময় অবিবাহিতদের প্রমের যোগ সৃষ্টি হবে। যারা ইতিমধ্যেই প্রেম করছেন তাদের বিয়ের যোগ সৃষ্টি হবে। এই বছরের শেষ মাসগুলিতে আপনি আপনার জীবন সঙ্গীর সাথে তীর্থযাত্রা বা ভাল জায়গায় যেতে পারেন যা আপনার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।

প্রতিকার- ১) পান্না ধারণ করতে পারেন। 

২)  ত্রিপুরাসুন্দরীর বীজমন্ত্র পাঠ করতে পারেন।

মন্ত্রটি হল- ওঁ শ্রী মাত্রে নমঃ

অথবা- এং ক্লীং সৌঃ সৌঃ ক্লীং এং।

অথবা- ওঁ ঐং হ্রীং শ্রীং ঐং ক্লীং সওম ক্লীং ঐং ওঁ নমো ভগবতী ত্রিপুরা দেবী মম ভাসাম কুরু কুরু স্বাহা।


-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------

কর্কট রাশি - ২০২৩


আগামী ১৭ই জানুয়ারী  শনি দেব মকর রাশি ছেড়ে কুম্ভ রাশিতে প্রবেশ করছেন। এটি কর্কট রাশির অষ্টম স্থান। এই কারণে এই সয়ম কর্কট রাশির শনির ধ্যাইয়া শুরু হবে। এই ধ্যাইয়া আনুমানিক আড়াই বছর থাকবে। শনির এই ধ্যাইয়া কর্কট রাশির কাছে খুবই চ্যালেঞ্জিং। এই সময় জীবনে বিশাল মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। এতে আপনার কর্মজীবন প্রভাবিত হবে। তবে সৎ পথে থাকলে এবং নিজে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারলে এই যোগই শুভ প্রভাব দিতে পারে।  

ভাগ্য - দেব গুরু বৃহস্পতির কৃপা ভাগ্যকে মজবুত করতে পারে, যার কারণে আপনি আপনার জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই ভাল ফল পেতে পারেন।  ২২শে এপ্রিলের আগে বৃহস্পতি আপনার ভাগ্য স্থানে বসে আপনার রাশিকে দৃষ্টি দেবে। যার ফলে আপনার জীবনের সকল অশুভ প্রভাব নিয়ন্ত্রনে থাকবে। ২২শে এপ্রিলের পর নবমপতির দশমে কর্মস্থানে রাহু এ তুঙ্গী রবির সাথে সহবস্থান আপনরা কেরিয়ারে উল্লেখযোগ্য  পরিবর্তন  ঘটাবে। এই সময় আপনি অর্থিক সমৃদ্ধির শীর্ষে পৌঁছে যাবেন।  অর্থ রোজগারের চেষ্টা চালিয়ে যান। সাফল্য পাবেনই।  দশমপতি ও পঞ্চমপিত মঙ্গল  হওয়ায় রিয়েল এস্টেট এর ব্যবসায় প্রভূত উন্নতির যোগ আছে। যারা ব্যবসা করছেন তাঁরা নিজের পুঁজি না লাগিয়ে অন্যের অর্থে ব্যবসা করলে সফলতা লাভ করবেন। 

স্বাস্থ্য -   ২০২৩ সালে শনি আপনার রাশির অষ্টমে প্রবেশ করবে। এই সময় বিভিন্ন রকমের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঠান্ডা লাগা, কফ কাশি ইত্যাদি থেকে সাবধান থাকতে হবে। পুরানো কোন অসুখে কষ্ট পেতে পারেন। গ্যাটের ব্যথা, স্কিনের সমস্যা, দাঁতের সমস্যা, ফুসফুসের সংক্রামণ,  প্রভৃতি থেকে সাবধান থাকবেন। পা, হাঁটু বা গোড়িলিতে অসহ্য ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন। দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতা আপনাকে বিচলিত করতে পারে। ২২শে এপ্রিল পর্যন্ত রাশিতে বৃহস্পতির দৃষ্টিতে এই সব কিছুই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মে মাসে এই সকল সমস্যা বেড়ে যাবে। জুন জুলাই-এ কিছুটা স্বস্তি মিলবে। পুরানো রোগ থেকে মুক্তি মিলবে। নভেম্বর ডিসেম্বরে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে।

বিদ্যা / শিক্ষা -  ২২শে এপ্রিল পর্যন্ত বিদ্যায় শুভ ফল লাভ হবে।  এর পর পঞ্চম স্থানের ওপর বৃহস্পতির দৃষ্টি সরে গেলে বিদ্যায় চাপ সৃষ্টি হবে। অষ্টমস্থ শনির পঞ্চমে দৃষ্টি বিদ্যা স্থানে অশুভ প্রভাব ফেলবে। এই সময় পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটবে। মাইনিং, ডাইরি, কৃষি, পলট্রি বা শল্য চিকিৎসা নিয়ে যারা পড়াশুনা করছেন তাদের জন্য কিছুটা শুভ ফল প্রদান করবে। বছরের শেষের দিকে বিদেশে গিয়ে পড়াশুনার সুযোগ পাবেন। 

পরিবার -  চতুর্থে কেতুর অবস্থানে  আপনাদের পারিবারিক সম্পর্কে অনিশ্চয়তা থাকবে। এপ্রিল মাস পর্যন্ত সন্তানের জন্য শুভ সময়। বিবাহ যোগ্য সন্তানের বিয়ের যোগ রয়েছে।  মে মাসে রবি, রাহু ও বৃহস্পিতির চতুর্থস্থানে দৃষ্টি পারিবারিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। রবি সরে গেলে রাহু বৃহস্পতির গুরুচণ্ডাল যোগে পরিবারে সকলের মধ্যে একটা একরোখা মনোভাব দেখা দেবে। পিতা ও মাতা উভয়ের স্বাস্থ নিয়েই চিন্তা রয়েছে। অষ্টমে শনির প্রভাবে মানসিক শোক পাওয়ারও সম্ভবনা রয়েছে। মে জুন মাসে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকবেন। বছরের শেষটায় পারিবারিক সুখ লাভ সম্ভব হতে পারে। 

প্রেম ও বিবাহ -  বছরের শুরুতে পঞ্চমস্থানে মঙ্গলের দৃষ্টি প্রেমে উত্তেজনা এবং দ্বন্দ্বের কারণ হতে পারে। তবে বৃহস্পতির কৃপা দৃষ্টিতে আপনার সম্পর্ক টিকে থাকবে। ২২শে এপ্রিল পর্যন্ত হাজার ঝামেলা সত্ত্বেও আপনাদের সম্পর্ক বজায় থাকবে।  পঞ্চমে বৃহস্পতির দৃষ্টি সরে গেলে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। বছরের শেষের দিকে এই সমস্যা মিটতে পারে।  এব্যাপারে সচেতন থাকুন। উত্তেজনাকে সংযত রাখুন। অন্যদিকে সপ্তমপতি ও অষ্টমপতি শনির অষ্টমে অবস্থান বিবাহিত জীবনেও কিছু সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। জীবনসাথীর শরীর স্বাস্থ্য  নিয়েও সমস্যা হতে পারে। তবে আপনি আপনার সঙ্গীর ভালোবাসা পাবেন। 

প্রতিকার - 

১) মুক্তা বা মুনষ্টোন ধারণ করতে পারেন। 

২) রাহুর মন্ত্র জপ করতে পারেন।

       মন্ত্রটি হল-  ওম ভ্রাং ভ্রীং ভ্রৌং সঃ রাহবে নমঃ।    অথবা     ওঁ রাং রাহবায় নমঃ।

৩) শনিদেবার মন্ত্র জপ করতে পারেন।

মন্ত্রটি হল - ওঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনিশ্চরায় নমঃ।

৪) বৃদ্ধ বা কুষ্ঠ রুগিকে খাদ্য বস্ত্র দান করতে পারেন বা সাহার্য্য করতে পারেন। 

৫) প্রতিদিন সকালে উঠে গুরুজনের চরণ ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিতে পারেন।

৬) শনিবার নিরামিষ আহার গ্রহণ করতে পারেন। 

৭) শনিবার শনিমন্দিরে বা বজরঙ্গবলীর মন্দিরে তেল সিন্দুর দান করতে পারেন।


-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সিংহরাশি ২০২৩


১৭ই জানুয়ারী শনি আপনার ষষ্ঠভাব থেকে সপ্তমভাবে প্রবেশ করবে। ফলে শনি এই সময় বলী হবেন। আপনার জন্য শুভ প্রভাব প্রদান করবেন। দেবগুরু বৃহস্পতি শুরুতে ২২শে এপ্রিল পর্যন্ত অষ্টমভাবে অবস্থান করলেও ২২শে এপ্রিল নবমে প্রবেশ করবেন। বৃহস্পতির ভাগ্যস্থানে প্রবেশ শুধুমাত্র আপনার ভাগ্যের উন্নতিই করবেন না আপনাকে সমাজে এক বিশেষ সন্মান প্রদান করবেন। আপনার অর্থভাগ্যকে অত্যন্ত বাড়িয়ে তুলবেন। আপনি সুখের মুখ দেখতে পারবেন।  এই সময় রাহু ও বৃহস্পতির একত্রে অবস্থানে অর্থাৎ গুরুচণ্ডাল যোগের অশুভ প্রভাবে গুরুর সাথে আপনার মতভেদ বাড়তে পারে এবং ধর্মীয় কাজে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারেন। বছরের শেষের দিকে রাহুর অষ্টমে প্রবেশে এই অবস্থার উন্নতি হবে। তবে অষ্টমস্থ রাহুর প্রভাবে আপনার আকষ্মিত দুর্ঘটনার সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে। এই সময় যানবাহন থেকে সাবধান থাকতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই সময় অত্যাধীক ক্রোধ বা রাগ আপনার জীবনে সমস্য বয়ে আনতে পারে। মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন।  আপনার জীবনের কোন সিক্রেট ফাঁস হয়ে যেতে পারে।  আপনার বিরুদ্ধে কোন আইনি মামলা থাকলে জানুয়ারী মাসে শনির রাশি পরিবর্তনের জন্য তা দ্রুত নিষ্পত্তি হতে পারে। যা আপনার পক্ষে অত্যন্ত মঙ্গলদায়ক হবে। 

ভাগ্য - ২২শে এপ্রিল গুরু বৃহস্পতির অষ্টমস্থান পরিত্যাগ করে নবমে প্রবেশ আপনার জীবনে প্রভূত সুখ নিয়ে আসছে। এই সময় আপনার সামাজিক মর্জাদা অত্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। হঠাৎ প্রচুর অর্থ লাভ আপনার জীবনকে নতুন দীশা দেখাবে। নবমে রাহুর উপস্থিতেতে বিদেশের সঙ্গে ব্যবসা বা যোগাযোগ সৃষ্টি হতে পারে। ইম্পোর্ট এক্সপোর্ট এর ব্যবসার সাথে যারা যুক্ত তাদের জন্য এই যোগ অত্যন্ত শুভ ফলদায়ক প্রতিপন্ন হবে। যারা সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে চান তাদের জন্য এই যোগ অত্যন্ত শুভ। অংশীদারী ব্যবসায় শুভ ফল লাভ হবে। অংশীদারগণ সততার সাথে আপনার সঙ্গে থাকবেন। এই বছর আপনার অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতায় আপনি অনেক কিছু হাসিল করার সুযোগ পাবেন। তাই অন্তিম চেষ্টা চালিয়ে যান, সফলতা নিশ্চিত পাবেন। 

স্বাস্থ্য - বছরের শুরুতে রবি ও বুধ পঞ্চমে, শনি ও শুক্র ষষ্টে, বৃহস্পতি অষ্টমে এবং রাহু নবমে অবস্থান করবে। এই সময় বিভিন্ন রকমের শারীরিক সমস্যা আসতে পারে। তাই শরীর সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন হন। যথা সময়ে আহার গ্রহণ করুন। পেটের সমস্য, স্নায়ুর সমস্যা, অন্ত্রে সমস্যা, বিষন্নতা বা মানসিক চাপ দেখা দিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ২২শে এপ্রিল বৃহস্পতি নবমস্থানে প্রবেশ করলে শারীরিক ব্যপারে কিছুটা স্বস্তি মিলবে। 

বিদ্যা / শিক্ষা - এই বছর আপনার বিদ্যা খুবই ভালো হবে। বছরের প্রথমেই রবি ও বুধের পঞ্চমস্থানে অবস্থান আপনার বুদ্ধিমত্তাকে দীপ্ত করবে। ফলে আপনি অনায়াসেই যেকোন বিদ্যা আয়ত্ব করতে স্বক্ষম হবেন। অষ্টমস্থ বৃহস্পতি অজানা ও রহস্যময় বিষয়গুলির প্রতি আপনাকে আকৃষ্ট করবে।  এপ্রিলের পরে বৃহস্পতির পঞ্চমে দৃষ্টি  শিক্ষার প্রতি আপনার মনোযোগকে বাড়িয়ে তুলবে। এই সময় আপনি  শিক্ষায় সর্বোত্তম সফলতা পাবেন।   

পরিবার - মার্চের পর পারিবারিক সুখ বৃদ্ধি পাবে। রাহুর নবমে অবস্থানের দরুন আপনি আপনার কাজে খুব ব্যস্ত হয়ে পরবেন। এবং আপনাকে কিছু সময়ের জন্য পরিবার থেকে দূরে থাকেতে হবে। এই বছর বিবাহিতদের জন্য দাম্পত্য অশান্তি বা অসন্তোষ লেগেই থাকবে। জীবনসাথীর স্বাস্থ নিয়েও আপনাকে বারবার বিব্রত হতে হবে। পিতা মাতার স্বাস্থ নিয়ে চিন্তার কারণ আছে। বছরের শুরুতে রবি ও বুধের সংযোগে আপনার সন্তানের মধ্যে জ্ঞাণের বিকাশ ঘটবে এবং পড়াশুনায় সাফল্য লাভ করবে। মঙ্গলের প্রভাবে সন্তানের শারীরিক সমস্য দেখা দিতে পারে। ২২শে এপ্রিল বৃহস্পতির পঞ্চম স্থানে দৃষ্টি পররে অবস্থার পরিবর্তন হবে। বিদ্যায় এবং কর্মে উন্নতি লাভ করবে। 

প্রেম ও বিবাহ - বছরের শুরুতে পঞ্চমভাবে রবি বুধের সংযোগ আপনার মনের মানুষকে বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ করে তুলবে। এই বছর প্রেমের জন্য অত্যন্ত শুভ। প্রেমে সাফল্য আশা করতে পারেন। সপ্তমে শনির গোচরে যারা প্রেম করছেন তারা নিশ্চিন্তে বিয়ে করতে পারেন। বছরের শেষের দিকে বিয়ের যোগ প্রবল হবে। অবিবাহিতদের বিয়ের জোড়াল যোগ লখ্য করা যাচ্ছে। যারা সিঙ্গেল রয়েছেন তারাও ২২শে এপ্রিলের পর প্রেমের উষ্ণতা পাবেন। আপনাদের মনেও ভালোবাসা ও প্রেমের অনুভূতি জেগে উঠবে। 

প্রতিকার - 

১) অফলা বিল্ব মূল বা মাণিক ধারণ করতে পারেন। 

২) গেরুয়া বস্ত্র পরিধান করতে পারেন।

৩) সূর্যার্ঘ্য দান বা সূর্য প্রণাম করতে পারেন।

      


-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------

কন্যারাশি ২০২৩ 


শনিদেব ১৭ই জানুয়ারী ষষ্ঠ স্থানে গমন করলে আপনার কর্ম জীবনে বিশেষ শুভ ফল প্রদান করবে। চাকরীক্ষেত্রে আপনার অবস্থান দৃঢ় হবে। আপনার সহকর্মী বা প্রতিপক্ষ পরাজিত হবে।  তারা আর আপনার বিরুদ্ধে কোন রকম শত্রুতার মনোভাব প্রদর্শন করবে না।  বিগত দিনের সকল সমস্যা চিরতরে বন্ধ হবে। এক কথায় শত্রুরা পরাজিত হবে। 

ভাগ্য - এই সময় বিভিন্ন ধরণের প্রতিযোগিতায় আপনি সফল হবেন। কর্মজীবনে সাফল্য লাভ করবেন।  বছরের শুরুতে আপনার নবম স্থানে মঙ্গলের বক্রী অবস্থান হঠাৎ কিছু শুভফল প্রাপ্তির যোগকে ত্বরান্বিত করবে। হঠাৎ কিছু প্রাপ্তি আপনার আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে তুলবে।  কিছু দুর্ভার্গ্য জনক ঘটনা ঘটলেও আপনার আত্মবিশ্বাসের জোরে সব প্রতিকূলতা আপনি কাটিয়ে উঠতে পারবেন। ২২শে এপ্রিলের পর বৃহস্পতির চতুর্থ স্থানে দৃষ্টি প্রভূত ধন সম্পত্তি ও গাড়ি বাড়ির যোগকে নির্দেশ করছে। 

স্বাস্থ্য - বছরের শুরুর দিকে অষ্টম স্থানে শনির দৃষ্টি রোগ ভোগের সম্ভবনাকে অত্যাধিক বাড়িয়ে তুলছে। হাতে পায়ে যন্ত্রনা, মাথার যন্ত্রনা, বাত, নার্ভের সমস্যা প্রভৃতি অসুস্থতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অষ্টম স্থানে ইতিমধ্যে রাহুর অবস্থানে এই সময় দুর্ঘটনা ফাঁড়া প্রভৃতি থেকেও সাবধান থাকতে হবে।  ২২শে এপ্রিল বৃহস্পতি অষ্টমে প্রবেশ করলে এই অবস্থার কিছুটা উন্নতি হতে পারে। 

বিদ্যা / শিক্ষা - ২২শে এপ্রিলের পর বৃহস্পতির চতুর্থ স্থানে দৃষ্টি উচ্চমাধ্যমিক (10+2) পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীর জন্য অত্যন্ত শুভ ফলদায়ী হবে। প্রতিযোগীতা মূলক পরীক্ষায় সফলতার যোগ আছে। বিদেশে গিয়ে শিক্ষা লাভের সুযোগও আসতে পারে। 

পরিবার -  চতুর্থ পতি ও সপ্তমপতি বৃহস্পতির ২২শে এপ্রিল মেষরাশিতে অর্থাৎ অষ্টমে গোচরের ফলে আপনার মাতা ও সঙ্গীর স্বাস্থের হানী হওয়ার যোগ রয়েছে। এই সময় আপনার বহু অর্থ এই শারীরিক সমস্যার কারণে ব্যয় করতে হতে পারে। এই সময়ে ধর্মের প্রতি আস্থা বাড়তে পারে। 

প্রেম ও বিবাহ - বছরের শুরুতে শনি ও শুক্রের পঞ্চম রাশিতে অবস্থান প্রেমে নতুন জোয়ার আনবে।  এই সময় প্রেমের সম্পর্ক নিবীঢ় হবে। উভয়ের মধ্যে এক অদ্ভুত টান অনুভব করবেন। ২২শে এপ্রিল পর্যন্ত আপনাদের দাম্পত্য জীবন মধুর থাকবে। উভয়ের মধ্যে সখ্যতা বাড়বে। ২২শে এপ্রিলের পর সঙ্গীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হবে। এই সময় স্ত্রীর স্বাস্থ্যহানী হওয়ার যোগ আছে। বিয়ের জন্য এই বছর বিশেষ শুভ নয়। তবে বৃহস্পতি মীন রাশিতে থাকাকালীন বিয়ের সুযোগ আসবে। 

প্রতিকার- ১) পান্না ধারণ করতে পারেন। 

২)  ত্রিপুরাসুন্দরীর বীজমন্ত্র পাঠ করতে পারেন।

মন্ত্রটি হল- ওঁ শ্রী মাত্রে নমঃ

অথবা- এং ক্লীং সৌঃ সৌঃ ক্লীং এং।

অথবা- ওঁ ঐং হ্রীং শ্রীং ঐং ক্লীং সওম ক্লীং ঐং ওঁ নমো ভগবতী ত্রিপুরা দেবী মম ভাসাম কুরু কুরু স্বাহা।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------

তুলারাশি ২০২৩


এই বছর ১৭ই জানুয়ারী শনি চতুর্থ স্থান ছেড়ে পঞ্চম স্থানে প্রবেশ করবে। ফলে তুলারাশির চতুর্থে ধ্যাইয়া কেটে যাবে। আপনি অনেকটা টেনশান ফ্রি জীবন কাটাতে পারবেন। শনির সকল বাধা কেটে যাবে। আপনি অনেকটা রিলাক্স অনুভব করবেন। 

ভাগ্য -  বছরের শুরুতেই যোগকারক গ্রহ শনি এবং লগ্ন ও ভাগ্যপতি শুক্র চতুর্থে অবস্থান করবে। এটি অত্যন্ত শুভ যোগ। শনি তুরারাশির  যোগকারক গ্রহ।  এর ফলে শুরুতেই আপনি নিজের পছন্দের বাহন ক্রয় করতে পারবেন। এই সময় ফ্ল্যাট বাড়ি কেনার যোগও পরিলক্ষিত হয়। ২২শে এপ্রিলের পর বৃহস্পতি সপ্তমস্থানে প্রবেশ করে দশম স্থানকে দৃষ্টি দেবে ফলে কর্মে বিশেষ উন্নতি, কর্মলাভ প্রভৃতি শুভ প্রভাব পাবেন। ব্যবসার ক্ষেত্রে  সপ্তমে বৃহস্পতি, রবি ও রাহুর উপস্থিতি নতুন ব্যবসার পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করবে। তবে কিছু অবাঞ্ছিত বাধা আসতে পারে। মাথা ঠাণ্ডা রেখে সিদ্ধান্ত নিন। এই সময় কাজ কর্ম ও ব্যবসায় উন্নতি লখ্য করা গেলেও সঞ্চয়  বা লাভ অপেক্ষাকৃত ভাবে কম হবে। বছরের শেষের দিকে মানহানী এবং আর্থিক ক্ষতির সম্ভবনা আছে। ভেবেচিন্তে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেবেন। এই সময় দীর্ঘ মেয়াদী অর্থ লগ্নী করলে শুভ ফল লাভের সম্ভবনা আছে। 

স্বাস্থ্য -  বছরের শুরুতে বক্রী মঙ্গলের প্রভাবে স্বাস্থ নিয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। পেটের সমস্যা, রক্তপাত, জন্ডিস বা রক্ত সংক্রান্ত কোন অসুখ দেখা দিতে পারে। 

বিদ্যা / শিক্ষা -  এই বছরের শুরুতেই শনির পঞ্চমে অবস্থানে শিক্ষাক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে।  এই সয়ম অত্যাধীক পরিশ্রম করলে তবেই ভাল ফল আশা করা যাবে। কৃষি, ডায়ারি, পলট্রি, মাইনিং প্রভৃতি বিষয় নিয়ে যারা পড়াশুনা করছেন তাদের জন্য এবছর অপেক্ষাকৃত ভালো বলা যায়।

পরিবার -   শনির  পঞ্চমে অবস্থানে সবসময় সন্তান নিয়ে উদ্বেগ থাকবে। সন্তানকে নিয়ে নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে।  মাতার স্বাস্থের উন্নতি হবে। গ্রহরাজ বৃহস্পতি সপ্তম স্থানে গেলে বিবাহিত জীবনের সমস্যাগুলো কেটে যাবে। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়বে।

প্রেম ও বিবাহ - ১৭ই জানুয়ারী যোগকারক গ্রহ শনি চতুর্থ স্থান থেকে পঞ্চম স্থানে প্রবেশ করবে। শনি প্রেমে বিচ্ছেদ ঘটায়। তাই এই সময় প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হলেও উভয় উভয়ের কাছে যোগ্য প্রতিপন্ন না হলে সম্পর্ক ভেঙ্গে যেতে পারে। ২২শে এপ্রিলের পর বৃহস্পতির উপস্থিতিতে অবিবাহিতদের বিয়ের যথেষ্ট সম্ভবনা আছে। 

প্রতিকার -  

১)  হীরা, জারকান বা স্ফটিকের মালা ধারণ করতে পারেন। 

২) সাদা অথবা অফহোয়াইট বা স্টীল কালারের বস্ত্র পরিধান করতে পারেন।

৩) প্রচুর পরিমানে সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করুন। শুক্র প্রসন্ন হবে। শুভফল লাভ করবেন।

৪) মালক্ষ্মীর মন্ত্র জপ করুন।

মন্ত্রটি হল- ওঁ শ্রীং শ্রীং শ্রীং কমলে কমলায়ে প্রসীদ প্রসীদ শ্রীং ওঁ মহালক্ষ্যৈ নমঃ।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------

বৃশ্চিকরাশি ২০২৩


বছরের শুরুতেই রাশিপতি মঙ্গল সপ্তমে  এবং শনিদেব মকরে অবস্থান করবে।  ১৭ই জানুয়ারী শনিদেব মকর রাশি ছেড়ে কুম্ভ রাশিতে প্রবেশ করবে। শনির চতুর্থে অবস্থান যদিও শনির ধ্যাইয়া সৃষ্টি করেছে কিন্তু ২২শে এপ্রিলের আগে পর্যন্ত স্বক্ষেত্রী বৃহস্পতির রাশিতে নবম দৃষ্টি সকল অশুভ প্রভাবকে প্রতিহত করতে সক্ষম হবে। এছাড়া  ১৭ই জানুয়ারী শনিদেব কুম্ভরাশিতে নিজ স্বক্ষেত্রে বসছেন এবং শশ যোগ বা শশ পঞ্চমহাপুরুষ যোগ সৃষ্টি করেছে। এটি একটি অত্যন্ত শুভ যোগ। সুতরাং বৃশ্চিকরাশির বছর শুরুতেই থাকবে একাধীক চকম।  ২২শে এপ্রিল বৃহস্পতি মেষে প্রবেশ করলে বৃশ্চিকরাশির দশম স্থানে দৃষ্টি দেবে। ফলে কেরিয়ারে বা কর্মক্ষেত্রে এর উল্লেখযোগ্য সুফল লক্ষ্য করা যাবে। 

ভাগ্য -  বছরের শুরু থেকেই একাধীন উন্নতি লখ্য করা যাচ্ছে। শশ পঞ্চমহাপুরুষ যোগের কারণে মাতৃকূল থেকে নানা ধরণের সহায়তা লাভের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রভূত আর্থিক উন্নতির যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ীদের জন্য এই বছর অত্যন্ত শুভ। নতুন ব্যবসা শুরুর যোগ আছে। ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা করলে প্রভূত আর্থিক উন্নতি সম্ভব হবে। ব্যবসায় সফলতা আসবে। ২২শে এপ্রিল বৃহস্পতি মেষরাশিতে অবস্থান করে রাশির দশমে দৃষ্টি দেবে। এই সময় নতুন কর্ম লাভ, কর্মে প্রভূত উন্নতি লাভ সম্ভব হবে। এই সময় আপনারা কর্মক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভ করবেন। সহকর্মীদের টেক্কা দেওয়ার উপযুক্ত সময়। ডিসেম্বর মাসে বিদেশ ভ্রমণ বা বিদেশে কর্ম লাভের সুযোগ আসতে পারে। এই সময় ব্যয় কমবে।

স্বাস্থ্য -  ২২শে এপ্রিলের পর বৃহস্পতি ষষ্ঠস্থানে রাহুর সাথে মিলিত হবে। ফলে একাধীক শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে। পেটের সমস্যা, লিভারের সমস্যা, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি, স্থূলতা, অনিদ্রা ইত্যাদির সমস্যা দেখা দিতে পারে। বছরের শেষের দিকে অর্থাৎ ৩০শে নভেম্বর রাহু মীন রাশিতে প্রবেশ করলে কিছুটা স্বস্তি মিলবে।

বিদ্যা/  শিক্ষা -  ২২শে এপ্রিলের আগে পর্যন্ত বিদ্যা শিক্ষায় তেমন কোন পরিবর্তন নেই। গতবছরের মতোই বিদ্যাস্থান শুভ থাকছে। ২২শে এপ্রিল থেকে প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষায় সাফল্যের সম্ভবনা আছে। 

পরিবার -   এই সময় পারিবারিক সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ করবেন। জীবনসাথীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে। আপনি জীবন সাথীর থেকে প্রয়োজনীয় সম্মান পাবেন। মায়ের শরীর স্বাস্থ্য ক্রমশ ভালোর দিকে যাবে। 

প্রেম ও বিবাহ - বছরের শুরুতে প্রমের যোগ অত্যন্ত শুভ। বৃহস্পতি নিজ ঘরে অবস্থান করছে। এই সময় প্রেমিক প্রেমিকার পারস্পরিক সম্পর্ক মধুর থাকবে। এই সময় বিয়ের জন্য আদর্শ সময়।  ২২শে এপ্রিলের পর সামান্য সমস্যা আসতে পারে। সেই সময় দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি, মতের অমিল হতে পারে। ৩০শে অক্টোবরের পর রাহু পঞ্চমস্থানে প্রবেশ করলে তৃতীয় কোন ব্যক্তির উপস্থিতি নিয়ে  আপনাদের সম্পর্কে ভাঙ্গন ধরাতে পারে। 

প্রতিকার -  

১) অনন্তমূল বা রক্ত প্রবাল ধারণ করতে পারেন। 

২) লাল, মেরুন বা গেরুয়া বস্ত্র পরিধান করতে পারেন।

৩) হনুমান চল্লিশা পাঠ করতে পারেন। 

৪) বগলামুখীর মন্ত্র পাঠ করতে পারেন।

        মন্ত্রটি হল- ওঁ হ্রীং বগলামুখীম্ সর্বদুষ্টানাম বাচম মুখম পদম স্তম্ভয় জিহ্বাম কীলয় কীলয় বুদ্ধি বিনাশায় হ্রীং ওঁ স্বাহা।

৫) রাহুর মন্ত্র জপ করতে পারেন।

       মন্ত্রটি হল-  ওম ভ্রাং ভ্রীং ভ্রৌং সঃ রাহবে নমঃ।    অথবা     ওঁ রাং রাহবায় নমঃ।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------

ধনুরাশি ২০২৩


ধুনুরাশির জন্য ২০২৩ শুভ ফলদায়ক হতে পারে। বছরের শুরুতে শনিদেব দ্বিতীয়ে অবস্থান করবেন। ১৭ই জানুয়ারী শনি দ্বিতীয় স্থান ছেড়ে তৃতীয়ে কুম্ভরাশিতে প্রবেশ করলে আপনার সাহস ও পরাক্রম বৃদ্ধি পাবে। ভাই বোনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতী ঘটে থাকলে সেই সম্পর্ক পুনরায় সুদৃঢ় হওয়ার যোগ আছে।  

ভাগ্য -  চতুর্থে বৃহস্পতি আপনাকে নিজ চেষ্টায় উন্নতির আলো দেখাবে। ২৮শে মার্চ থেকে ২৭ শে এপ্রিল পর্যন্ত বৃহস্পতি অস্তমিত থাকবে। ফলে কর্মক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা এসে হাজির হবে। ২২শে এপ্রিলের পর ভাগ্য স্থানে বৃহস্পতির দৃষ্টি আপনার সব কাজে সফলতা এনে দেবে।  বিভিন্ন দিক থেকে আপনার স্বপ্ন পূরণ হতে শুরু করবে। একাদশে বৃহস্পতির দৃষ্টি আপনার আয় উন্নতি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।  এই সময় আপনি প্রভূত অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন। এই সময় আপনার ধর্মভাব জাগ্রত হবে।  তীর্থ ভ্রমণের বা ছোট খাট ভ্রমণের যোগ আসবে। 

স্বাস্থ্য -  ২০২৩ সালে শরীর স্বাস্থ্য নিয়েও সমস্যার সন্মুখীন হতে হবে। বছরের শুরুতে আপনাদের স্বাস্থ বিশেষ ভালো যাবে না। হজমের সমস্যা, লিভারের সমস্যা প্রভূতি নিয়ে ভুগতে হবে। গ্রহরাজ বৃহস্পতি মেষরাশিতে প্রবেশ করলে রাশিকে নবম দৃষ্টি দেবে। এই সময় স্বাস্থের উন্নতি হবে। 

বিদ্যা / শিক্ষা -  বছরের শুরুর দিকে বিদ্যায় অমনযোগীতা বা অনীহা দেখা দিতে পারে। তবে ২২শে এপ্রিলের পর বৃহস্পতির প্রবেশে বিদ্যায় কিছু শুভ ফল লাভ করা যাবে। তবে নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ না রাখলে পড়াশুনায় মন বসানো মুশকিল হবে। কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স বা কলাবিভাগের ছাত্রের জন্য শুভ সময়। 

পরিবার -   ২০২৩ সাল সন্তানের জন্য বিশেষ শুভ নয়। পঞ্চমে রাহুর উপস্থিতিতে তারা ভুল পথে পরিচালিত হবে। এবং একাধীক ভুল পদক্ষেপ নিয়ে ফেলবে। এরা অন্যের কথায় প্রভাবিত হবে। এই সময় এদের পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট হবে।  ৩০শে নভেম্বর রাহু মীন রাশিতে প্রবেশ করলে এই সমস্যা কাটবে। 

প্রেম ও বিবাহ -  ২২শে এপ্রিল দেবগুরু বৃহস্পতি চতুর্থ স্থান পরিত্যাগ করে পঞ্চমে রাহুর সাথে মিলিত হবে এবং গুরুচণ্ডাল যোগ সৃষ্টি করবে। এই সময়  আপনার জীবনে প্রেমর উত্থান-পতন লখ্য করা যাবে।  এই সময় প্রেম নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক থাকবে হবে। বাক্যের উপর নিয়ন্ত্রণ হারালে প্রেমের সম্পর্কে ভাটা পরতে পারে।  প্রমের ব্যাপারে কোন তরিঘরি সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হবে না।  

প্রতিকার -  

১) পোখরাজ বা টোপাজ ধারণ করুন।

২) সোনার গহনা ধারণ করুন বা তর্জনীতে সোনার আংটি ধারণ করুন।

৩) প্রতি পূর্ণিমায় বা বৃহস্পতিবার কেশর এবং হলুদ জলে ফেলে স্নান করুন। শুভ ফল লাভ করবেন।

৪) সাদা বা হালকা হলুদ বস্ত্র ব্যবহার করুন।

৫) মালক্ষ্মীর মন্ত্র জপ করুন।

মন্ত্রটি হল- ওঁ শ্রীং শ্রীং শ্রীং কমলে কমলায়ে প্রসীদ প্রসীদ শ্রীং ওঁ মহালক্ষ্যৈ নমঃ।


-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------

মকররাশি ২০২৩


২০২৩ সাল মকররাশির সব দিক থেকে সেরা যাবে। শুরুতে শনিদেব মকর রাশিতে অবস্থান করলেও ১৭ই জানুয়ারী  দ্বিতীয়ে কুম্ভরাশিতে অর্থাৎ তার নিজ রাশিতে প্রবেশ করবে। বৃহস্পতি শুরুতে তৃতীয় স্থানে স্বক্ষেত্রী থাকবে।  ২২শে এপ্রিল দেবগুরু বৃহস্পতি চতুর্থে মেষ রাশিতে প্রবেশ করবে। বছরের শেষের দিকে অর্থাৎ ৩০শে অক্টোবর রাহু কেতু এই দুই ছায়া গ্রহ যথাক্রমে মীন ও কন্যা রাশিতে প্রবেশ করবে। 

ভাগ্য -  ২২শে এপ্রিলের পর কর্মস্থানে বৃহস্পতির ৭ম দৃষ্টিতে আপনার কর্মজীবনে নানা দিক থেকে শুভ প্রভাব ফেলবে। বেকারদের নতুন কর্মপ্রাপ্তি, যারা ইতিমধ্যে কোন সরকারী বা বেসরকারী কাজে যুক্ত তাদের কর্মে পদন্নতি, উন্নতি, এমন কি বছরের শেষের দিকে অর্থাত ৩০শে অক্টোবরের পরে বিদেশে কর্মলাভের সুযোগ আসবে।  ১৭ই জানুয়ারী শনিদেব দ্বিতীয়ে কুম্ভরাশিতে অর্থাৎ তার নিজ রাশিতে প্রবেশ করবে। দ্বিতীয় শনি প্রচুর আর্থিক উন্নতি নিয়ে আসবে। শেয়ার বা দীর্ঘ মেয়াদী স্কীমে অর্থ লগ্নী করলে প্রচুর মুনাফা লাভের সম্ভবনা থাকবে। সম্পত্তি ক্রয় বিক্রয়ের মাধ্যমে মোটা টাকা রোজগারের সুযোগ আসবে। এই সময় জমি বাড় ক্রয় বিক্রয় করা লাভের হবে।  যারা ব্যবসার ধরণ পরিবর্তন করতে চাইছেন বা যারা চাকরী ক্ষেত্রে একটু অন্য রকমের কাজ খুঁজছেন তাদের জন্য এই সময় অত্যন্ত শুভ।  নভেম্বর ডিসেম্বর মাসেও আপনার কর্ম জীবনে ব্যাপক সাফল্যের সম্ভবনা থাকবে। 

স্বাস্থ্য -  বছরের শুরু থেকেই আপনার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেবে।  চোখের সমস্যা, নাভীর নিচে থেকে সমস্যা ইত্যাদি। ২২শে এপ্রিলের পর বৃহস্পতি মেষ রাশিতে প্রবেশ করলে অষ্টমে বৃহস্পতির দৃষ্টিতে শারীরিক সমস্যা থেকে বেশ কিছুটা স্বস্তি মিলবে। 

বিদ্যা / শিক্ষা -  বছরের শুরুতেই বিদ্যাস্থানে বৃহস্পতির দৃষ্টিতে বিদ্যায় শুভ ফল আশা করা যায়। ২২শে এপ্রিল পর্যন্ত আপনার নবম ভবে বৃহস্পতির দৃষ্টিতে উচ্চ বিদ্যায় বিশেষ শুভ ফল লাভের যোগ আছে। পরীক্ষায় বিশেষ সাফল্য বা কৃতিত্ব লাভ করতে পারবেন।  তবে বৃহস্পতি রাহু যুক্ত হওয়ায় আপনার মধ্যে অন্যমনস্কতা দেখা দিতে পারে। 

পরিবার -   বছরের শুরুতে বৃহস্পতি মীনরাশিতে অর্থাৎ তৃতীয়ে অবস্থান করবে। এই সময় আপনার পরাক্রম বৃদ্ধি পাবে। ভাই বোনের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক বজায় থাকবে। ৩০শে অক্টোবর রাহু মীন রাশিতে প্রবেশ করলে ভাই বোনের সাথে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। মাতা স্বাস্থের উন্নতি হবে। ২২শে এপ্রিলের পর রাহু মীন রাশিতে প্রবেশ করলে পারিবারিক জীবন উত্তেজনা ছড়াবে। জীবনসাথীর সঙ্গে সম্পর্ক ওঠা নামা করবে।  ৩০শে অক্টোবরের পর শ্বশুর শ্বাশুরীর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হবে।  সন্তানের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে সামান্য টেনশান থাকলেও সন্তানের কর্মজীবনে শুভ প্রভাব পড়বে। 

প্রেম ও বিবাহ -  ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস আপনার জন্য  অত্যন্ত শুভ।  ৬ই এপ্রিল থেকে ২রা মে শুক্র আপনার পঞ্চমভাবে থাকবে। শুক্র আপনার ৫ম  ভাবেরই অধিপতি। এই সময় আপনার মনে প্রমের ফুল ফুটবে।  এই সময় আপনি প্রেমের গভীরতা অনুভব করবেন।  যারা সিঙ্গেল তারা এই সময় প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন। অবিবাহিতদের বিয়ের যোগ রয়েছে। মে মাস থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে আপনাদের বিয়ের প্রস্তাব পাকা হয়ে যাবে। 

প্রতিকার -  

১) নীলা, এমেথিষ্ট, লিলি অথবা শ্বেত বেড়লার মূল ধারণ করুন।

২) সীসা ধারণ করলে অত্যন্ত শুভ ফল পাবেন।

৩) শনিদেবার মন্ত্র জপ করতে পারেন।

মন্ত্রটি হল - ওঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনিশ্চরায় নমঃ।

৪) বৃদ্ধ বা কুষ্ঠ রুগিকে খাদ্য বস্ত্র দান করতে পারেন বা সাহার্য্য করতে পারেন। 

৫) প্রতিদিন সকালে উঠে গুরুজনের চরণ ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিতে পারেন।

৬) শনিবার নিরামিষ আহার গ্রহণ করতে পারেন। 

৭) শনিবার শনিমন্দিরে বা বজরঙ্গবলীর মন্দিরে তেল সিন্দুর দান করতে পারেন।


-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------

কুম্ভরাশি ২০২৩


২০২৩ সালে কুম্ভরাশিও একাধিক সুফল পেতে চলেছে। তবে বছরের শুরুতেই অত্যাধিক খরচের যোগ রয়েছে। তবে ১৭ই জানুয়ারী শনিদেব দ্বাদশস্থান পরিত্যাগ করে রাশিতে প্রবেশ করলে কুম্ভরাশির সামগ্রিক ভাবে উন্নতি লখ্য করা যাবে। নিজ রাশির অধিপতি রাশিতে প্রবেশ করলে আপনি কর্মক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করতে সক্ষম হবেন। ২২শে এপ্রিলের পর বৃহস্পতি রাশির নবমস্থানে দৃষ্টি দিলে সৌভাগ্য বৃদ্ধি পাবে। সপ্তমভাবে শনিদেবের দৃষ্টিতে আইনি সমস্যার সমাধান হতে পারে বা কোন আটকে থাকা কাজ হয়ে যেতে পারে। 

ভাগ্য -  আপনার নিজ রাশিতে শনি প্রবেশ করায় আপনার কর্মক্ষেত্রে নতুন দিক খুলে যাবে। নতুন নতুন লোকের সাথে আপনার পরিচয় হবে এবং আপনার ব্যবসা প্রসারিত হবে। নতুন কোন ব্যবসায়িক চুক্তি এই সময় আপনি সম্পাদন করতে পারবেন। ২২শে এপ্রিল পর্যন্ত দ্বিতীয়ে বৃহস্পতির অবস্থান আপনার আর্থিক দিক অত্যন্ত মজবুত করছে। বৈদেশিক বাণিজ্য বা বৈদেশিক অর্থ রোজগার করা আপনার পক্ষে এই সময় খুবই সহজ হয়ে উঠবে। যারা ইউটিউব, ফেসবুক, ইষ্টাগ্রাম প্রভৃতি সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে অর্থ রোজগার করছেন তাদের জন্য এই সময় অত্যন্ত শুভ প্রতিপন্ন হবে। কর্মক্ষেত্রে আপনি নিষ্ঠা ও সততার সাথে কাজ করবেন। তৃতীয়ে শনিদেবের দৃষ্টি আপনাকে অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি করে তুলবে। আপনি যদি নেতা, অভিনেতা বা কোন সরকারী আমলা হল তাহলে আপনার পদমর্যাদা ও ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে চলেছে।  ২২শে এপ্রিলের পর বৃহস্পতির আপনার ভাগ্যস্থানে দৃষ্টি আপনার সৌভাগ্য আরও বাড়িয়ে তুলবে। একাদশে বৃহস্পতির দৃষ্টিতে আপনার সঞ্চিত ধনের বৃদ্ধি হবে। শেয়ার মার্কেটে লগ্নী করলে লাভের মুখ দেখতে পাবেন। বহুদিনের আটকে থাকা টাকা ফেরৎ পাওয়ার যোগ দেখা যাচ্ছে। ৩০শে অক্টোবর রাহু দ্বিতীয় স্থানে গোচরের ফলে ধনহানী বা অর্থনষ্ট হওয়ার সম্ভবনা আছে। তাই অক্টোবরের মধ্যেই সকল আর্থিক লেনদেন করে ফেলা উচিত।

স্বাস্থ্য -  বছরের শুরুতেই শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে ১৭ই জানুয়ারীর পর শনিদেব নিজ রাশিতে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূলে আসবে। তবে হাতে পায়ে বা গাটে ব্যাথায় কষ্ট পাবেন। ২২শে এপ্রিলের পর বৃহস্পতির রাশি পরিবর্তনের ফলে আপনার শারীরিক সমস্যা আবার বাড়তে পারে। সুগার, প্রসার প্রভৃতির সমস্যা দেখা দিতে পারে। ৩০শে অক্টোবরের পর ফুড পয়েজন, বিশধর প্রাণীর দংশন ইত্যাদি থেকে সাবধান।

বিদ্যা / শিক্ষা -   ২২শে এপ্রিলের পর নবম স্থানে বৃহস্পতির দৃষ্টি উচ্চ বিদ্যালাভের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে। যারা বিদেশে শিক্ষা লাভ করতে আগ্রহী তাদের জন্য এই সময় অত্যন্ত শুভ। 

পরিবার -   সপ্তম স্থানে শনির দৃষ্টি আপনাদের দাম্পত্য জীবনকে অস্থির করে তুলবে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হতে পারে। এই সময়ে সম্পর্কের ব্যপারে আপনাদের যথেষ্ট ধৈর্য্যশীল হতে হবে।  ২২শে এপ্রিলের পর ঐ স্থানে বৃহস্পতির দৃষ্টি পরলে সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে। 

প্রেম ও বিবাহ -  বছরের শুরুতেই প্রেমের যোগ মোটামুটি ভালোই। এই সময় আপনার মধুর বাণী সকলের মন আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে।  জীবনসাথীর সঙ্গে আপনার সম্পর্কও মধুর হবে।  ১৭ই জানুয়ারীর পর প্রেমে উত্তেজনা বাড়বে। সংযত থাকুন।  ২২শে এপ্রিলের পর বৃহস্পতির সপ্তমে দৃষ্টিতে সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে। এই সময় যাদের বিয়ে হয় নি তাদের বিয়ের প্রবল যোগ লখ্য করা যাচ্ছে।  যারা ইতিমধ্যে প্রমে করছেন তারাও বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হতে পারেন।  প্রেমের ব্যপারে পারিবারিক বিপত্তি অনেকাংশে কেটে যাবে। 

প্রতিকার -  

১) নীলা, এমেথিষ্ট, লিলি অথবা শ্বেত বেড়লার মূল ধারণ করুন।

২) সীসা ধারণ করলে অত্যন্ত শুভ ফল পাবেন।

৩) শনিদেবার মন্ত্র জপ করতে পারেন।

মন্ত্রটি হল - ওঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনিশ্চরায় নমঃ।

৪) বৃদ্ধ বা কুষ্ঠ রুগিকে খাদ্য বস্ত্র দান করতে পারেন বা সাহার্য্য করতে পারেন। 

৫) প্রতিদিন সকালে উঠে গুরুজনের চরণ ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিতে পারেন।

৬) শনিবার নিরামিষ আহার গ্রহণ করতে পারেন। 

৭) শনিবার শনিমন্দিরে বা বজরঙ্গবলীর মন্দিরে তেল সিন্দুর দান করতে পারেন।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------

মীনরাশি ২০২৩


বছরের শুরুতে আপনার রাশিতে দেবগুরু বৃহস্পতির অবস্থান আপনাকে প্রজ্ঞাবান, বিদ্বান ও বিচক্ষণ করে তুলবে। আপনার দৃঢ়তা ও গাম্ভীর্য আপনাকে সকল বাধা বিপত্তি থেকে রক্ষা করবে। দ্বিতীয়ে রাহুর অবস্থানে আপনার আর্থিক উন্নতিতে উত্থান-পতন দেখা দেবে। ভাগ্যস্থানে বৃহস্পতির দৃষ্টিতে আপনার সব দিক থেকে সাফল্য আসবে। ২২শে এপ্রিল ২০২৩ এর পর বৃহস্পতির কর্মস্থানে দৃষ্টি পরলে আপনার কর্মে উন্নতি, পদমর্যাদা লাভ, নতুন কর্মলাভের পথ সুগম হবে। 

ভাগ্য -  ২০২৩ এর শুরুতে দ্বিতীয়ে রাহুর অবস্থানে আপনার আর্থিক উন্নতিতে উত্থান-পতন দেখা দিলেও ২২শে এপ্রিল রাশিপতি দেবগুরু বৃহস্পতির দ্বিতীয়ে প্রবেশের ফলে আপনার আর্থিক স্থিরতা আসবে।  নানা দিক থেকে অর্থ প্রাপ্তির যোগ সৃষ্টি হবে। তবে ১৭ই জানুয়ারী  শনিদেব দ্বাদশে গোচরের ফলে আপনার ব্যয়ের পরিমান বাড়তে থাকবে। অর্জিত সকল অর্থ খরচ করার প্রয়োজন হয়ে পরবে। এই সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে সমস্যায় পড়তে হবে। ২২শে এপ্রিলের পর সমস্যা অনেকটা কাটবে। এই সময় কর্মস্থানে বৃহস্পতির দৃষ্টিতে এবং দশমস্থানে বৃহস্পতির নিজ ক্ষেত্র হওয়াতে কর্মক্ষেত্রে নানা দিক থেকে সাফল্য আসবে। কর্মে উন্নতি, নতুন কর্ম লাভ, ব্যবসায় উন্নতি, নতুন ব্যবসার সূচনা প্রভৃতি শুভ প্রভা ব লখ্য করা যায়। নবম স্থানে শনির দৃষ্টিতে পিতার কর্মক্ষেত্রে সমস্যা বা পারিবারিক ব্যবসায় সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। 

স্বাস্থ্য -  শনিদেব দ্বাদশে প্রবেশ করলে দাঁতে ব্যাথা, হাতে পায়ে ব্যথা, মচকে যাওয়া, স্কিনের সমস্যা, চোখে জল পড়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। অষ্টমে কেতু দুর্ঘটনা বা কোন গুপ্তরোগের কারণ হতে পারে। সাবধান থাকুন। 

বিদ্যা / শিক্ষা -  শুরুতে বিদ্যায় শুভ ফল লাভ হলেও পরে সামান্য বাধা আসতে পারে। নবম স্থানে শনির দৃষ্টিতে  মাইনিং, মেটালার্জি, এগ্রিকালচার, ফার্টিলাইজার, ফার্মাসি প্রভৃতি শাখায় যারা অধ্যায়ন করছেন তাদের জন্য বিশেষ শুভ ফল আশা করা যায়।

পরিবার -   বছরের শুরুতে পারিবারিক পরিস্থিত তেমন অনুকূল নয়।  ২২শে এপ্রিলের পর বৃহস্পতি দ্বিতীয় স্থানে গোচর করলে পারিবারিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে। পরিবারের সদস্যগণ একে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হবে।  সন্তানের দিক থেকে এই বছর শুভ বলা চলে।  বিবাহযোগ্য সন্তাদের বিয়ের যোগ রয়েছে।  বিবাহ বা জন্মের সূত্র ধরে বাড়িতে নতুন সদস্যের আগমন হবে।  সন্তান ধারণের জন্য এই সময় আদর্শ বিবেচিত হচ্ছে। শ্বশুরবাড়ির সাথে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে। 

প্রেম ও বিবাহ -  বছরের শুরুতেই প্রমের যোগ অত্যন্ত শুভ। বৃহস্পতির পঞ্চমে দৃষ্টি প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে মধুর সম্পর্ক স্থাপন করবে।  সামাজিক উচ্চ পদমর্যাদা সম্পন্ন বা সম্ভ্রান্ত পরিবারে আপনার সম্পর্ক স্থাপন হতে চলেছে।  এই সময় আপনাদের বিবাহের শুভ যোগ রয়েছে। তাই অযথা বিলম্ব না করে সময় থাকতেই বিয়ে সম্পন্ন করা উচিত হবে।  ২২শে এপ্রিলের পর বৃহস্পতি দ্বিতীয় স্থানে প্রবেশ  করবে এবং বৃহস্পতি রাহু যুক্ত হয়ে তার শক্তি হারাবে। এই সময় রাহুর অশুভ প্রভাবে কথায় অহংকার প্রকাশ পাবে। ফলে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকবে। এই সময় নিজের কথার প্রতি নিয়ণ্ত্রণ বজায় রাখতে হবে।  অন্যথায় সমস্যা হতে পারে। ৩০শে অক্টোবর রাহু রাশিতে প্রবেশ করলে পুনরায় প্রেমের ভাব জাগ্রত হবে।  

প্রতিকার -  

১) পোখরাজ বা টোপাজ ধারণ করুন।

২) সোনার গহনা ধারণ করুন বা তর্জনীতে সোনার আংটি ধারণ করুন।

৩) প্রতি পূর্ণিমায় বা বৃহস্পতিবার কেশর এবং হলুদ জলে ফেলে স্নান করুন। শুভ ফল লাভ করবেন।

৪) সাদা বা হালকা হলুদ বস্ত্র ব্যবহার করুন।

৫) মালক্ষ্মীর মন্ত্র জপ করুন।

মন্ত্রটি হল- ওঁ শ্রীং শ্রীং শ্রীং কমলে কমলায়ে প্রসীদ প্রসীদ শ্রীং ওঁ মহালক্ষ্যৈ নমঃ।